ভারতে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের টিকিট হাতে পেয়েছে পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দল। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে টানা চার জয়ে বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছে তারা। 

বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডকে ৮৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। ছয় দলের বাছাইপর্বে এটি স্বাগতিক দলের চতুর্থ জয়। এর আগে স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে পাকিস্তান। 

এদিন শুরুতে ব্যাট করে পাকিস্তান ৬ উইকেটে ২০৫ রান তোলে। দলটির হয়ে তিনে নামা সিদ্রা আমিন ১০৫ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলেন। ফাতিমা সানা ৫৯ বলে ৬২ রান যোগ করেন। থাইল্যান্ড ১১৮ রানে অলআউট হয়। রামিন শামিম, ফাতেমা সানা ও নাশ্রা সাধু তিনটি করে উইকেট নিয়ে থাইল্যান্ডকে ধসিয়ে দেন। 

ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে আট দল অংশ নেবে। এর মধ্যে ছয় দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছে। ওই ছয় দল হলো স্বাগতিক ভারত, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। 

বাছাইপর্ব থেকে দুই দল যাবে বিশ্বকাপে। এর মধ্যে পাকিস্তানের বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেল। বাকি একটি জায়গার লড়াইয়ে আছে বাংলাদেশ, ওয়েষ্ট ইন্ডিজ ও স্কটল্যান্ড। বাংলাদেশ রবিন রাউন্ড গ্রুপে শেষ ম্যাচ খেলবে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে জিতলে বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে নিগার সুলতানা জ্যোতির দলের। 

অন্য ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থাইল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বড় ব্যবধানে জিতলে এবং পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশ হারলে নেট রান রেটের প্যাচে পড়ে যাবে বাংলাদেশ। একইভাবে আয়ারল্যান্ডকে যদি স্কটল্যান্ড হারিয়ে দেয় তারাও বিশ্বকাপে খেলার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়াবে। এই তিন দলের মধ্যে থেকে পয়েন্টে এগিয়ে থেকে নয়তো নেট রান রেটের হিসাবে একদল বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। এর মধ্যে আজ মাঠে নামছে আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড।  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ক স ত ন ক র ক ট দল আইস স স কটল য ন ড ট ইন ড জ ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকের বন্ধুতালিকা ‘রিসেট’ করার ভাবনা ছিল জাকারবার্গের

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিযোগিতা নস্যাৎ করে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে মেটার বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত মামলার বিচার। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ সোমবার এই মামলায় সাক্ষ্য দেন। শুনানিতে আদালতে উপস্থাপন করা হয় মেটার অভ্যন্তরীণ কিছু ই–মেইল, যেখানে উঠে আসে এক সময় সবাইকে ফেসবুকে বন্ধু তালিকা ‘শূন্য’ থেকে শুরু করতে বাধ্য করার এক অভিনব প্রস্তাব।

২০২২ সালে পাঠানো একটি ই–মেইলে জাকারবার্গ লেখেন, বন্ধু তৈরিতে দ্বিগুণ জোর। সবাইকে তাঁদের বন্ধুতালিকা (গ্রাফ) মুছে দিয়ে নতুন করে শুরু করতে দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিশোর-তরুণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ায় ফেসবুকের ব্যবহার কমছিল। এই প্রেক্ষাপটে ফেসবুকে ব্যবহারকারীদের সক্রিয়তা বাড়াতে নতুন কিছু ভাবনার অংশ হিসেবেই জাকারবার্গ ওই প্রস্তাব দেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে মেটার অভ্যন্তরেই প্রস্তাবটি নিয়ে আপত্তি ওঠে। ফেসবুক বিভাগের প্রধান টম অ্যালিসন ই–মেইলের জবাবে লেখেন, আপনার প্রস্তাবিত প্রথম বিকল্পটি (বন্ধু সংযোগে জোর) আমার কাছে বাস্তবসম্মত বলে মনে হচ্ছে না। ইনস্টাগ্রামে বন্ধু সুবিধাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটি অকার্যকর হলে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

জাকারবার্গ আরও একটি বিকল্প প্রস্তাব করেছিলেন। ফেসবুককে বন্ধুভিত্তিক মাধ্যমের বদলে অনুসরণভিত্তিক (ফলোয়ার) মাধ্যমে রূপান্তর করার চিন্তা ছিল তাঁর। যদিও এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন হয়নি, তবে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে উঠে আসা এসব ভাবনা থেকে প্রযুক্তি মাধ্যমটি ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটতে চায়, তার একটা ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়।

মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) ২০২০ সালে মেটার বিরুদ্ধে এই প্রতিযোগিতা-বিরোধী মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার জন্য পরিকল্পিতভাবে প্রতিযোগীদের ঠেকিয়ে দিয়েছে। এফটিসির ভাষ্য, সম্ভাবনাময় প্রতিযোগীরা যখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল, তখন মেটা তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার বদলে কিনে নিয়ে সেই ‘হুমকি’ দূর করেছে। এভাবে প্রতিষ্ঠানটি উদ্ভাবনশীল মাধ্যমগুলোকে হুমকিস্বরূপ মনে করে অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতাবিরোধী একক আধিপত্য গড়ে তুলেছে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ