Prothomalo:
2025-04-19@09:39:34 GMT

‘সত্যি বলাই কি আমার অপরাধ’ 

Published: 18th, April 2025 GMT

ফেডারেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও জাতীয় দলের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জহির রায়হানকে ছয় মাসের জন্য অ্যাথলেটিকসের সব ধরনের কার্যক্রমে নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। কিন্তু দেশের অন্যতম সেরা অ্যাথলেট এই নিষেধাজ্ঞা মানতেই পারছেন না। 

জহিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ব ইনডোর চ্যাম্পিয়নশিপের পর সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘বিদায়ই আমাদের ভাগ্য, কারণ আমাদের জন্য অনুশীলনের পর্যাপ্ত কোনো ব্যবস্থা ছিল না। নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে অনুশীলন করেছি। এভাবে কি পদক জয়ের স্বপ্ন দেখা যায়?’

আরও পড়ুনরাষ্ট্রীয় সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী হচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ১৫ ঘণ্টা আগে

তাঁর এমন বক্তব্যে ফেডারেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। এ ছাড়া ঈদের ছুটি শেষে ফেডারেশনের অনুমতি না নিয়ে বিকেএসপিতে অনুশীলন, ফেডারেশন জানতে চাইলেও সেখানে কার অধীনে অনুশীলন করছেন, তা না জানানো—এসবকেও শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে দেখছে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। 

একা অনুশীলন করে কী শৃঙ্খলা ভাঙলাম! আমি তো কিছু গোপন করিনি। ক্যাম্প ছেড়ে কোথাও ঘুরে বেড়াইনি।জহির রায়হান, অ্যাথলেটশৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে নিষিদ্ধ হয়েছেন জহির.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ১

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির একটি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে করা মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে লোহাগাড়া উপজেলার কুন্দশী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করার কথা আছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম পাপন সিকদার (৩৮)। তিনি ওই মামলার ৬৭ নম্বর আসামি ও একই উপজেলার বাসিন্দা।

গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে লোহাগড়া থানায় মামলাটি করেন ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা এলাকার রবিউল ইসলাম শেখ। তিনি নিজেকে ওই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পরিচয় দিয়েছেন। ওই মামলায় একই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান সিহানুক রহমানসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে লোহাগড়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলার পরপরই এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলার এজাহারে বাদী রবিউল অভিযোগ করেন, ১৩ এপ্রিল ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা হাটে বিএনপির একটি স্থানীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য তহবিল ও জনমত গড়ার বিষয়ে আলাপ করছিলেন তিনিসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান সিহানুকের নেতৃত্বে আসামিরা অবৈধ পিস্তল, দেশীয় অস্ত্রসহ কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে খুন ও জখমের ভয় দেখিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বের করে দেন তাঁরা। এরপর সেখানে ৮-১০টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় তাঁরা ‘দুই-একটি বিএনপি ধর, ধরে ধরে জবাই কর’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, বিএনপির ওই দলীয় কার্যালয়ের কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ