ঠোঁটে কালো দাগ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
Published: 18th, April 2025 GMT
সাধারণত মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ডার্ক লিপস্টিক অথবা ম্যাট কালারের লিপস্টিক দীর্ঘদিন ব্যবহারের কারণে ঠোঁট কালো হয়ে যায়। কারণ এতে ক্ষতিকর কিছু হেভি মেটাল থাকে। এই মেটালগুলো আমাদের লিপ কালার অ্যানার্জিক রিয়্যাকশনের মাধ্যমে কালো করে ফেলে।
ডা. সিনথিয়া আলম বলেন, ‘‘লিপস্টিকে ‘মিথাইল প্যারাবেন’ নামক একটি মেটাল আছে, যার প্রভাবে ঠোঁট কালো হতে পারে। এছাড়াও আরও অনেক কারণে ঠোঁট কালো হয়, বংশগত কারণে ঠোঁট কালো হতে পারে। স্মোকিংয়ের জন্যও ঠোঁট কালো হতে পারে। আবার অনেকের পানি কম পান করার অভ্যাস থাকে। দেখা যায়, ল্যাক অব হাইড্রেশনের কারণে ঠোঁট কালো হয়। কোনো কোনো রোগের কারণেও ঠোঁট কালো হতে পারে। ’’
এই চিকিৎসকের পরামর্শ:
১.
২. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
৩. দীর্ঘ সময় ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিযে রাখা যাবে না।
৪. ব্যালেন্স ডায়েট মেইনটেইন করতে হবে।
৫. যে লিপবাম ব্যবহার করবেন, খেয়াল রাখবেন সেটা যেন মেয়াদোত্তীর্ণ না হয়।
আরো পড়ুন:
মন ভালো করার জাপানি উপায় ‘রুইকাতসু’
‘ডাবল ক্লিনজিং’ ত্বকের জন্য ভালো, নাকি খারাপ
এ ছাড়া কেমিকেল ফিলিং এবং লেজার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করা যায়।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফেসবুকের বন্ধুতালিকা ‘রিসেট’ করার ভাবনা ছিল জাকারবার্গের
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিযোগিতা নস্যাৎ করে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে মেটার বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত মামলার বিচার। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ সোমবার এই মামলায় সাক্ষ্য দেন। শুনানিতে আদালতে উপস্থাপন করা হয় মেটার অভ্যন্তরীণ কিছু ই–মেইল, যেখানে উঠে আসে এক সময় সবাইকে ফেসবুকে বন্ধু তালিকা ‘শূন্য’ থেকে শুরু করতে বাধ্য করার এক অভিনব প্রস্তাব।
২০২২ সালে পাঠানো একটি ই–মেইলে জাকারবার্গ লেখেন, বন্ধু তৈরিতে দ্বিগুণ জোর। সবাইকে তাঁদের বন্ধুতালিকা (গ্রাফ) মুছে দিয়ে নতুন করে শুরু করতে দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিশোর-তরুণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ায় ফেসবুকের ব্যবহার কমছিল। এই প্রেক্ষাপটে ফেসবুকে ব্যবহারকারীদের সক্রিয়তা বাড়াতে নতুন কিছু ভাবনার অংশ হিসেবেই জাকারবার্গ ওই প্রস্তাব দেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে মেটার অভ্যন্তরেই প্রস্তাবটি নিয়ে আপত্তি ওঠে। ফেসবুক বিভাগের প্রধান টম অ্যালিসন ই–মেইলের জবাবে লেখেন, আপনার প্রস্তাবিত প্রথম বিকল্পটি (বন্ধু সংযোগে জোর) আমার কাছে বাস্তবসম্মত বলে মনে হচ্ছে না। ইনস্টাগ্রামে বন্ধু সুবিধাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটি অকার্যকর হলে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
জাকারবার্গ আরও একটি বিকল্প প্রস্তাব করেছিলেন। ফেসবুককে বন্ধুভিত্তিক মাধ্যমের বদলে অনুসরণভিত্তিক (ফলোয়ার) মাধ্যমে রূপান্তর করার চিন্তা ছিল তাঁর। যদিও এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন হয়নি, তবে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে উঠে আসা এসব ভাবনা থেকে প্রযুক্তি মাধ্যমটি ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটতে চায়, তার একটা ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়।
মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) ২০২০ সালে মেটার বিরুদ্ধে এই প্রতিযোগিতা-বিরোধী মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার জন্য পরিকল্পিতভাবে প্রতিযোগীদের ঠেকিয়ে দিয়েছে। এফটিসির ভাষ্য, সম্ভাবনাময় প্রতিযোগীরা যখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল, তখন মেটা তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার বদলে কিনে নিয়ে সেই ‘হুমকি’ দূর করেছে। এভাবে প্রতিষ্ঠানটি উদ্ভাবনশীল মাধ্যমগুলোকে হুমকিস্বরূপ মনে করে অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতাবিরোধী একক আধিপত্য গড়ে তুলেছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস