টস জিতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া কন্ডিশনের পূর্ণ সুবিধা নেয়। দারুণভাবে তা কাজে লাগিয়ে আসরের তৃতীয় জয় তুলে নেয় মুম্বাই। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অস্বাভাবিকভাবে ধীরগতির উইকেটে হায়দরাবাদকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় মুম্বাই। সফরকারীদের ইনিংস ৫ উইকেটে ১৬২ রানে সীমাবদ্ধ থাকে। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শিশিরের সামান্য সাহায্যে ১১ বল ও ৪ উইকেট হাতে নিয়েই ১৬৬ রান করে ফেলে মুম্বাই।

এই ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স করেন মুম্বাইয়ের অলরাউন্ডার উইল জ্যাকস, এই ইংলিশ ক্রিকেটার মৌসুমের শুরুতে নিষ্প্রভ ছিলেন। নিজের ষষ্ঠ ম্যাচেই প্রমাণ করে দিলেন কেন তাকে দলে নেওয়া হয়েছে। ব্যাট হাতে ২৬ বলে ৩৬ রানের ইনিংস ছিল গুরুত্বপূর্ণ, তবে অফস্পিনটা আরও বড় প্রভাব ফেলেছে। জ্যাকস হায়দরাবাদের বাঁহাতি টপ থ্রির বিপক্ষে ৩ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।

জ্যাকসের এই তিন ওভার মুম্বাইকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের সার্ভিস না পাওয়ার ক্ষট ভুলিয়ে দেয়। স্বাগতিকরা তাদের ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার কর্ণ শর্মাকে ইনজুরির কারণে এক বলও করানোর আগেই হারিয়ে ফেলে। যিনি আগের ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচসেরা ছিলেন। কর্ণের বদলে কোনো বোলার আনা বাধ্যতামূলক না হওয়ায় মুম্বাই ব্যাটিংয়ের শুরুতেই রোহিত শর্মাকে ইমপ্যাক্ট বদলি হিসেবে নামাতে পারে। যিনি একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু ঝোড়ো ইনিংস খেলে শুরুতেই গতি এনে দেন।

আরো পড়ুন:

ধোনি ম‌্যাজিকে পাঁচ ম‌্যাচ পর চেন্নাইয়ের জয়

১০ ছক্কায় অভিষেকের রেকর্ড গড়া ১৪১, এরপর চিঠি রহস্য

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটির ৫৯ রান তুলেও ১৪ ওভার শেষে হায়দরাবাদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৯৫ রান। শেষমেশ ১৬২ রানের পুঁজি পায় তারা। অষ্টম থেকে থেকে ১৫তম ওভার পর্যন্ত মাত্র চারটি চার মারতে পারে সফরকারী দল। হাইনরেখ ক্লাসেন ও নীতিশ কুমার রেড্ডি মিলে এই সময়ে ৩১ রান তোলেন ৩৩ বলে। ট্রেন্ট বোল্টের বলে রেড্ডি সাজঘরে ফিরলে স্কোর দাঁড়ায় ১১৫/৪।

শেষ তিন ওভারে আসে ৪৭ রান। শিশিরের প্রভাব বোঝা যায় সাতটি ফুলটস থেকে, যদিও বুমরাহের এক ফুলটসে ক্লাসেন বোল্ড হয়ে যান। তিনি ১৯তম ওভারে মাত্র ৪ রান দেন। তবে শেষের দিকে ক্লাসেন, অনিকেত বর্মা ও প্যাট কামিন্স মিলে পাঁচটি ছক্কা মারলে দেড়শর উপর রান পায় হায়দরাসবা। ১৮ ও ২০তম ওভারে আসে ২১ ও ২২ রান।

অভিষেক শর্মা ২৮ বলে ৪০, ট্র্যাভিস হেড ২৯ বলে ২৮ আর ক্লাসেনের ২৮ বলে ৩৭ ও অনিকেত করেন ৮ বলে ১৮ রান। বুমরাহ ও বোল্ট যথাক্রমে ২১ ও ২৯ রান খরচ করে ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

রোহিত ৩ ছক্কায় ১৬ বলে ২৬ করে আউট হন। রায়ান রিকেলটন ও উইল জ্যাকস জুটি মিলে ৩৭ রান তুলে বোর্ডে। রিলেকটন ২৩ বলে ৩১ করে ফিরে যায়। সেখান থেকে জ্যাকস ও সুর্যকুমার যাদব ২৯ বলে ৫২ রানের জুটি গড়েন। শেষদিকে কামিন্স এই জুটি ভাঙলেও, হার্দিক ১ ছয় ও ৩টি চার মেরে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। যদিও ১৮তম ওভারে মালিঙ্গা ১ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়ে নাটকীয় মুহুর্তের জন্ম দেন। তবে ১৯তম ওভারের শুরুতেই জয় তুলে নেয় মুম্বাই। কামিন্স ২৬ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেন।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ য়দর ব দ উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

হায়দরাবাদের বিপক্ষে ধীর উইকেটের সুবিধা নিল মুম্বাই

টস জিতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া কন্ডিশনের পূর্ণ সুবিধা নেয়। দারুণভাবে তা কাজে লাগিয়ে আসরের তৃতীয় জয় তুলে নেয় মুম্বাই। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অস্বাভাবিকভাবে ধীরগতির উইকেটে হায়দরাবাদকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় মুম্বাই। সফরকারীদের ইনিংস ৫ উইকেটে ১৬২ রানে সীমাবদ্ধ থাকে। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শিশিরের সামান্য সাহায্যে ১১ বল ও ৪ উইকেট হাতে নিয়েই ১৬৬ রান করে ফেলে মুম্বাই।

এই ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স করেন মুম্বাইয়ের অলরাউন্ডার উইল জ্যাকস, এই ইংলিশ ক্রিকেটার মৌসুমের শুরুতে নিষ্প্রভ ছিলেন। নিজের ষষ্ঠ ম্যাচেই প্রমাণ করে দিলেন কেন তাকে দলে নেওয়া হয়েছে। ব্যাট হাতে ২৬ বলে ৩৬ রানের ইনিংস ছিল গুরুত্বপূর্ণ, তবে অফস্পিনটা আরও বড় প্রভাব ফেলেছে। জ্যাকস হায়দরাবাদের বাঁহাতি টপ থ্রির বিপক্ষে ৩ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।

জ্যাকসের এই তিন ওভার মুম্বাইকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের সার্ভিস না পাওয়ার ক্ষট ভুলিয়ে দেয়। স্বাগতিকরা তাদের ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার কর্ণ শর্মাকে ইনজুরির কারণে এক বলও করানোর আগেই হারিয়ে ফেলে। যিনি আগের ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচসেরা ছিলেন। কর্ণের বদলে কোনো বোলার আনা বাধ্যতামূলক না হওয়ায় মুম্বাই ব্যাটিংয়ের শুরুতেই রোহিত শর্মাকে ইমপ্যাক্ট বদলি হিসেবে নামাতে পারে। যিনি একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু ঝোড়ো ইনিংস খেলে শুরুতেই গতি এনে দেন।

আরো পড়ুন:

ধোনি ম‌্যাজিকে পাঁচ ম‌্যাচ পর চেন্নাইয়ের জয়

১০ ছক্কায় অভিষেকের রেকর্ড গড়া ১৪১, এরপর চিঠি রহস্য

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটির ৫৯ রান তুলেও ১৪ ওভার শেষে হায়দরাবাদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৯৫ রান। শেষমেশ ১৬২ রানের পুঁজি পায় তারা। অষ্টম থেকে থেকে ১৫তম ওভার পর্যন্ত মাত্র চারটি চার মারতে পারে সফরকারী দল। হাইনরেখ ক্লাসেন ও নীতিশ কুমার রেড্ডি মিলে এই সময়ে ৩১ রান তোলেন ৩৩ বলে। ট্রেন্ট বোল্টের বলে রেড্ডি সাজঘরে ফিরলে স্কোর দাঁড়ায় ১১৫/৪।

শেষ তিন ওভারে আসে ৪৭ রান। শিশিরের প্রভাব বোঝা যায় সাতটি ফুলটস থেকে, যদিও বুমরাহের এক ফুলটসে ক্লাসেন বোল্ড হয়ে যান। তিনি ১৯তম ওভারে মাত্র ৪ রান দেন। তবে শেষের দিকে ক্লাসেন, অনিকেত বর্মা ও প্যাট কামিন্স মিলে পাঁচটি ছক্কা মারলে দেড়শর উপর রান পায় হায়দরাসবা। ১৮ ও ২০তম ওভারে আসে ২১ ও ২২ রান।

অভিষেক শর্মা ২৮ বলে ৪০, ট্র্যাভিস হেড ২৯ বলে ২৮ আর ক্লাসেনের ২৮ বলে ৩৭ ও অনিকেত করেন ৮ বলে ১৮ রান। বুমরাহ ও বোল্ট যথাক্রমে ২১ ও ২৯ রান খরচ করে ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

রোহিত ৩ ছক্কায় ১৬ বলে ২৬ করে আউট হন। রায়ান রিকেলটন ও উইল জ্যাকস জুটি মিলে ৩৭ রান তুলে বোর্ডে। রিলেকটন ২৩ বলে ৩১ করে ফিরে যায়। সেখান থেকে জ্যাকস ও সুর্যকুমার যাদব ২৯ বলে ৫২ রানের জুটি গড়েন। শেষদিকে কামিন্স এই জুটি ভাঙলেও, হার্দিক ১ ছয় ও ৩টি চার মেরে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। যদিও ১৮তম ওভারে মালিঙ্গা ১ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়ে নাটকীয় মুহুর্তের জন্ম দেন। তবে ১৯তম ওভারের শুরুতেই জয় তুলে নেয় মুম্বাই। কামিন্স ২৬ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেন।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ