এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। প্রকার ভেদে ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি হিসেবে।
দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ মজুদ শুরু করায় বৃদ্ধি পাচ্ছে পেঁয়াজের দাম, বলছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হিলি পেঁয়াজ বাজার ঘুরে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ আগে খুচরা বাজারে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিলো ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে, এখন সেই পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি হিসেবে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চল পাবনা, ফরিদপুর ও নাটোরে উৎপাদন হয়ে থাকে পেঁয়াজ। বর্তমান ঐসব এলাকায় পর্যাপ্ত উৎপাদনসহ মোকামগুলোতে রয়েছে প্রচুর আমদানি। অভিযোগ, এ সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ মজুদ শুরু করেছেন। যার কারণে মোকামেই বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। তাও লাগামহীন। হঠাৎ এমন দাম বাড়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ ক্রেতাদের।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা একজন দিনমজুর গোলাম রাব্বানী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “দেশতো এখন মগের মুল্লুক। এক সপ্তাহ আগে মাত্র ৩০ টাকা কেজি কিনে নিয়ে গেছি। আজ সেই পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি কিনতে হলো। এটা কেমন কথা?”
আরেক ক্রেতা রনি শেখ বলেন, “শুনেছি এবার দেশে প্রচুর পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। গত রমজান মাসেও পেঁয়াজের দাম বাড়েনি। তাহলে এখন কেন দাম বাড়বে? আমার মনে হয় এসব ব্যবসায়ীদের কারসাজি। আমি মনে করি প্রশাসন প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করলে দাম স্বাভাবিক থাকবে।”
হিলি বাজারে পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা ফেরদৌস রহমান বলেন, “মোকামে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বাড়ায় ক্রেতাদের সাথে আমরাও বিপাকে পড়েছি। মোকামে আমরা পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে পাত্তাই পাচ্ছি না। কেননা বড় বড় ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ মজুদ করার লক্ষে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি হিসেবে পেঁয়াজ কিনছে। তাদের কারণে আমাদেরও ঐ দামে পাইকারি কিনতে হচ্ছে। আবার খুচরাও ঐ দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।”
ঢাকা/মোসলেম/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস য় র ৫০ ট ক
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে বাস-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩
বাগেরহাটে বাস ও ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে সিয়াম গাজী (২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার সকালে বাগেরহাট-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বলভদ্রপুর বালিয়াডাঙ্গা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনায় ইজিবাইকের চালকসহ আরও তিনজন আহত হয়।
নিহত সিয়াম গাজী মোরেলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতী গ্রামের মজিবর গাজীর ছেলে। আহতরা হলেন- নিহতের বাবা মজিবর গাজী (৫০), তাদের প্রতিবেশী রশিদ খান (৭৫) ও ইজিবাইক চালক বাপ্পি (৩০)।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মহেষপুরা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. তোমেজ উদ্দীন বলেন, সিয়াম ও তার বাবা তাদের একজন প্রতিবেশিকে নিয়ে ইজিবাইকে করে পিরোজপুর সদরে তাদের নিকট আত্মীয়ের মরদেহ দেখতে যাচ্ছিলেন। বলভদ্রপুর বালিয়াডাঙ্গা নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক অর্থাৎ পিরোজপুর থেকে বাগেরহাটের দিকে আশা একটি যাত্রীবাহী বাসের ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ইজিবাইকের চালকসহ চারজন গুরুতর আহত হয়। এর মধ্যে সিয়াম গাজী নামের একজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পরে মারা যান। অন্যরা বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রাস্তার পাশে একটি ট্রাক রাখা ছিল। যার ফলে ইজিবাইক এবং যাত্রীবাহী বাস কেউ কাউকে দেখতে পায়নি। যানবাহন দুটি ট্রাকটিকে পাশ কাটিয়ে সড়ক অতিক্রম করার সময় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।