সিঁথি সাহা। তারকা কণ্ঠশিল্পী, উপস্থাপক, মডেল ও অভিনেত্রী। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সম্প্রতি তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে নতুন গান ‘তোর লাইগা’। এ আয়োজন, ক্যারিয়ার নিয়ে আগামী দিনের ভাবনা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন রাসেল আজাদ বিদ্যুৎ  

সমকাল: দর্শক আপনাকে নতুনরূপে আবিষ্কার করুক– এমন ভাবনা থেকেই কি ‘তোর লাইগা’ গানটি তৈরি করা? 
সিঁথি সাহা: একদমই না। আমি শুধু শ্রোতার প্রত্যাশা পূরণ করতে চেয়েছি। কারণ, প্রতিনিয়ত তারা নতুন কিছু চান। এ জন্যই সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভিন্ন ধাঁচের এই আয়োজন; কথা-সুর-সংগীতে এক্সপেরিমেন্ট চালানো আর ভিডিওতে নিজেকে একটু আলাদাভাবে তুলে ধরা।

সমকাল: গান নিয়ে আগেও অনেক এক্সপেরিমেন্ট করেছেন। কিন্তু ‘তোর লাইগা’ গানে আগের সেই সিঁথি সাহাকে খুঁজে পাওয়া গেল না.

..
সিঁথি সাহা: ‘তোর লাইগা’ গানে আগের সিঁথি সাহাকে খুঁজে না পাওয়াই স্বাভাবিক। কারণ, এই প্রথম মাস্টার ডি-কে নিয়ে এ ধরনের রিদমিক হিপহপ ধাঁচের গান গাওয়া। এবারের এই এক্সপেরিমেন্টও দর্শক-শ্রোতার চাওয়াতেই। যখনই স্টেজ শোতে অংশ নিয়েছি, দর্শকের কাছে পেয়েছি শুধু নাচের গানের আবদার। এদিকে, আমার এমন কোনো রিদমিক গান নেই, যা শুনে উন্মাতাল হয়ে নাচতে পারে দর্শক। বাধ্য হয়ে অন্যদের গানই গেয়েছি সব সময়। এবার মত হলো, অন্য শিল্পীর গান নয়, নিজের এমন থাকা দরকার, যে গানের তালে তালে দর্শক মনের আনন্দে নাচতে পারেন। সেই ভাবনা থেকেই মাস্টার ডির সঙ্গে এই এক্সপেরিমেন্টাল আয়োজন।  

সমকাল: অনুপ জলটা, উষা উত্থুপ, শাফকাত আমানত আলি, সেলিম মার্চেন্টের মতো উপমহাদেশীয় তারকা ও নন্দিত শিল্পীদের সঙ্গে গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে আপনার। তাদের সহশিল্পী হওয়ার সাহস ও অনুপ্রেরণা কার কাছে পাওয়া?
সিঁথি সাহা: গানের সূত্র ধরেই উপমহাদেশের অনেক গুণী মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। যাদের অনেকে আমার কণ্ঠ ও গায়কি নিয়ে প্রশংসা করেছেন বিভিন্ন সময়। সাহস জুগিয়েছেন নানা জনরার গান গাওয়ার। অনুপ জলটা, উষা উত্থুপ, শাফকাত আমানত আলি, সেলিম মার্চেন্টরা শুধু অনুপ্রেরণা নয়, আমাকে তাদের গানের সহশিল্পী করে নিতেও দ্বিতীয়বার ভাবেননি। তাদের মতো শিল্পীরা যখন পাশে থাকেন, তখন যে কোনো কিছু জয় করার স্বপ্ন দেখতেই পারি। 

সমকাল: ভার্সেটাইল শিল্পী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরলেও প্লেব্যাকে আপনার ব্যস্ততা চোখে পড়ে না। কারণ কী?
সিঁথি সাহা: প্লেব্যাকের অভিজ্ঞতার যে কখনও হয়নি, তা নয়। বেশ কিছু সিনেমায় প্লেব্যাক করেছি। সর্বশেষ দেশজুড়ে আলোড়ন তোলা ‘তুফান’, ‘রাজকুমার’ সিনেমাতেও আমার গান ছিল। কিন্তু সেগুলো কোনোভাবেই প্রচারে আসতে দেওয়া হয়নি। কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখেছি, সিনেমায় প্লেব্যাকের বিষয়টা সিন্ডিকেটের দখলে। সেই সিন্ডিকেট ভাঙা সহজ নয়। এ কারণেই প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে আমি সেভাবে নজরে আসিনি। তবে এসব বিষয় নিয়ে আমি হতাশ নই। শিল্পীসত্তাকে খুশি রাখতেই গান করি। তাই আগামীতে গানের ভুবনে আমার যাত্রা অব্যাহত থাকবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সমক ল

এছাড়াও পড়ুন:

শিল্পীসত্তাকে খুশি রাখতেই গান করি

সিঁথি সাহা। তারকা কণ্ঠশিল্পী, উপস্থাপক, মডেল ও অভিনেত্রী। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সম্প্রতি তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে নতুন গান ‘তোর লাইগা’। এ আয়োজন, ক্যারিয়ার নিয়ে আগামী দিনের ভাবনা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন রাসেল আজাদ বিদ্যুৎ  

সমকাল: দর্শক আপনাকে নতুনরূপে আবিষ্কার করুক– এমন ভাবনা থেকেই কি ‘তোর লাইগা’ গানটি তৈরি করা? 
সিঁথি সাহা: একদমই না। আমি শুধু শ্রোতার প্রত্যাশা পূরণ করতে চেয়েছি। কারণ, প্রতিনিয়ত তারা নতুন কিছু চান। এ জন্যই সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভিন্ন ধাঁচের এই আয়োজন; কথা-সুর-সংগীতে এক্সপেরিমেন্ট চালানো আর ভিডিওতে নিজেকে একটু আলাদাভাবে তুলে ধরা।

সমকাল: গান নিয়ে আগেও অনেক এক্সপেরিমেন্ট করেছেন। কিন্তু ‘তোর লাইগা’ গানে আগের সেই সিঁথি সাহাকে খুঁজে পাওয়া গেল না...
সিঁথি সাহা: ‘তোর লাইগা’ গানে আগের সিঁথি সাহাকে খুঁজে না পাওয়াই স্বাভাবিক। কারণ, এই প্রথম মাস্টার ডি-কে নিয়ে এ ধরনের রিদমিক হিপহপ ধাঁচের গান গাওয়া। এবারের এই এক্সপেরিমেন্টও দর্শক-শ্রোতার চাওয়াতেই। যখনই স্টেজ শোতে অংশ নিয়েছি, দর্শকের কাছে পেয়েছি শুধু নাচের গানের আবদার। এদিকে, আমার এমন কোনো রিদমিক গান নেই, যা শুনে উন্মাতাল হয়ে নাচতে পারে দর্শক। বাধ্য হয়ে অন্যদের গানই গেয়েছি সব সময়। এবার মত হলো, অন্য শিল্পীর গান নয়, নিজের এমন থাকা দরকার, যে গানের তালে তালে দর্শক মনের আনন্দে নাচতে পারেন। সেই ভাবনা থেকেই মাস্টার ডির সঙ্গে এই এক্সপেরিমেন্টাল আয়োজন।  

সমকাল: অনুপ জলটা, উষা উত্থুপ, শাফকাত আমানত আলি, সেলিম মার্চেন্টের মতো উপমহাদেশীয় তারকা ও নন্দিত শিল্পীদের সঙ্গে গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে আপনার। তাদের সহশিল্পী হওয়ার সাহস ও অনুপ্রেরণা কার কাছে পাওয়া?
সিঁথি সাহা: গানের সূত্র ধরেই উপমহাদেশের অনেক গুণী মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। যাদের অনেকে আমার কণ্ঠ ও গায়কি নিয়ে প্রশংসা করেছেন বিভিন্ন সময়। সাহস জুগিয়েছেন নানা জনরার গান গাওয়ার। অনুপ জলটা, উষা উত্থুপ, শাফকাত আমানত আলি, সেলিম মার্চেন্টরা শুধু অনুপ্রেরণা নয়, আমাকে তাদের গানের সহশিল্পী করে নিতেও দ্বিতীয়বার ভাবেননি। তাদের মতো শিল্পীরা যখন পাশে থাকেন, তখন যে কোনো কিছু জয় করার স্বপ্ন দেখতেই পারি। 

সমকাল: ভার্সেটাইল শিল্পী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরলেও প্লেব্যাকে আপনার ব্যস্ততা চোখে পড়ে না। কারণ কী?
সিঁথি সাহা: প্লেব্যাকের অভিজ্ঞতার যে কখনও হয়নি, তা নয়। বেশ কিছু সিনেমায় প্লেব্যাক করেছি। সর্বশেষ দেশজুড়ে আলোড়ন তোলা ‘তুফান’, ‘রাজকুমার’ সিনেমাতেও আমার গান ছিল। কিন্তু সেগুলো কোনোভাবেই প্রচারে আসতে দেওয়া হয়নি। কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখেছি, সিনেমায় প্লেব্যাকের বিষয়টা সিন্ডিকেটের দখলে। সেই সিন্ডিকেট ভাঙা সহজ নয়। এ কারণেই প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে আমি সেভাবে নজরে আসিনি। তবে এসব বিষয় নিয়ে আমি হতাশ নই। শিল্পীসত্তাকে খুশি রাখতেই গান করি। তাই আগামীতে গানের ভুবনে আমার যাত্রা অব্যাহত থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ