অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ট্রমায় ভুগছে শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের পরিবার। পহেলা বৈশাখে মোটিফ তৈরিতে যুক্ত ছিলেন তিনি। ফেসবুকে অপপ্রচারের পর তাঁর বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। সেই মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা অর্থবিষয়ক সম্পাদক আল আমিন ওরফে তমাল (২২), সদর উপজেলার ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাইনউদ্দিন আহাম্মদ পিয়াস (২২), ছাত্রলীগ কর্মী মীর মারুফ (২০), ছাত্রলীগ কর্মী আমিনুর রহমান (২৪), ছাত্রলীগ কর্মী মীর মোহাম্মদ রাফি ওরফে সিজন (১৮), গড়পাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন (৫৪), শিবালয় উপজেলার শিবালয় ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন (৪৮) ও  যুবলীগ কর্মী সঞ্জীব ঘোষ (৪০)।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মানবেন্দ্রর বাড়ি পরিদর্শন করেন পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসক ড.

মানোয়ার হোসেন মোল্লা ও পুলিশ সুপার ইয়াসমিন খাতুন।

মোস্তাফিজুর বলেন, শিল্পীর পরিবারের নিরাপত্তা জোরদার এবং জড়িতদের কীভাবে আইনের আওতায় আনা যায়, সেটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ইয়াসমিন বলেন, শিগগির বের করে ফেলব, কারা কীভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

শিল্পী মানবেন্দ্র বলেন, ‘আমার ওপরে যে এমন একটি ঘটনা ঘটতে পারে, তা বিশ্বাস করতে পারছি না। পরিবার ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, এটা অনেক বড়। সবাই ভয়ে রয়েছে। এটা আমার শিল্পসত্তার ওপর আঘাত। জানি না ভবিষ্যতে আমি শিল্পচর্চা করতে পারব কিনা। আমি চাই কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন শাস্তি না পায়। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।’
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব র গ কর ম

এছাড়াও পড়ুন:

বাগেরহাটে বাস-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩

বাগেরহাটে বাস ও ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে সিয়াম গাজী (২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার সকালে বাগেরহাট-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বলভদ্রপুর বালিয়াডাঙ্গা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনায় ইজিবাইকের চালকসহ আরও তিনজন আহত হয়।

নিহত সিয়াম গাজী মোরেলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতী গ্রামের মজিবর গাজীর ছেলে। আহতরা হলেন- নিহতের বাবা মজিবর গাজী (৫০), তাদের প্রতিবেশী রশিদ খান (৭৫) ও ইজিবাইক চালক বাপ্পি (৩০)।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মহেষপুরা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. তোমেজ উদ্দীন বলেন, সিয়াম ও তার বাবা তাদের একজন প্রতিবেশিকে নিয়ে ইজিবাইকে করে পিরোজপুর সদরে তাদের নিকট আত্মীয়ের মরদেহ দেখতে যাচ্ছিলেন। বলভদ্রপুর বালিয়াডাঙ্গা নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক অর্থাৎ পিরোজপুর থেকে বাগেরহাটের দিকে আশা একটি যাত্রীবাহী বাসের ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ইজিবাইকের চালকসহ চারজন গুরুতর আহত হয়। এর মধ্যে সিয়াম গাজী নামের একজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পরে মারা যান। অন্যরা বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রাস্তার পাশে একটি ট্রাক রাখা ছিল। যার ফলে ইজিবাইক এবং যাত্রীবাহী বাস কেউ কাউকে দেখতে পায়নি। যানবাহন দুটি ট্রাকটিকে পাশ কাটিয়ে সড়ক অতিক্রম করার সময় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ