আগামী ২৭ এ‌প্রিল দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। বৃহস্পতিবার বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন।

ঢাকায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে আলোচনার প্ল্যাটফর্ম ফরেন অফিস কনসালটেশন বা এফওসিতে পা‌কিস্তা‌নের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সফর নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্রস‌চিব বলেন, আজকের বৈঠকে পা‌কিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সফরের তা‌রিখ চূড়ান্ত হয়েছে। তি‌নি ২৭-২৮ এ‌প্রিল ঢাকা সফর করবেন।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে সমঝোতা স্মারক সই নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জসীম উদ্দিন বলেন, দুই দেশের মধ্যে যেসব সমঝোতা স্মারক নিয়ে আলোচনা চলছে, সেগুলোকে এই সফরটাকে (পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর) মাথায় রেখে; যেন চূড়ান্ত করতে পারি পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয় এবং পাকিস্তান দূতাবাস মিলে একটা ওযার্কিং গ্রুপ গঠন করেছি। যাতে করে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে কাজ করে চূড়ান্ত করতে পারি।

শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তান সফর করবেন কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আমরা আপতত পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর নিয়ে কাজ করছি। 

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে সাবেক পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানী ঢাকা সফর করেছিলেন। এরপর গত ১৩ বছরে আরও কোনো পাকিস্তানি মন্ত্রী ঢাকা সফর করেননি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ক স ত ন র পরর ষ ট রমন ত র ক স ত ন র পরর ষ ট রমন ত র র র র সফর

এছাড়াও পড়ুন:

গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়কে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে: আলী রীয়াজ 

গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিজয়কে বিভিন্নভাবে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, এ দেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের আকাঙ্খা বারবার পর্যদুস্ত হয়ে একটি ব্যক্তিতান্ত্রিক শাসনে পরিণত হয়। গণতন্ত্রের সংগ্রামের মাধ্যমে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে বিভিন্নভাবে সে বিজয়কে ভূলন্ঠিত করা হয়েছে। 

শনিবার ঢাকায় সংসদ ভবনের এল ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। বৈঠকে কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদ শাসনকে পরাভূত করে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল অধ্যায় রচনা করতে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছে দাবি করে দলটির উদ্দেশে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, দীর্ঘদিনের যে ফ্যাসিবাদী শাসন জগদ্দল পাথরের মতো আমাদের বুকের উপর বসে ছিল, তার বিরুদ্ধে জীবনবাজি রেখে লড়াই, অকুতোভয় সংগ্রাম এবং আপনাদের সাথীদের প্রাণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সে শাসনকে পরাস্ত করতে পেরেছেন। একটি ফ্যাসিবাদী শাসনকে পলায়ন করতে বাধ্য করেছেন যা বাংলাদেশকে রাষ্ট্র সংস্কারের দিকে অগ্রসর করেছে। তিনি বলেন, এখন সকলে মিলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সময় এসেছে। ফ্যাসিবাদ যেন আর কখনও এ দেশে ফিরে না আসে, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেন স্থায়ী রূপ নেয়, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং সব রকমের নিপীড়ন যেন আমরা প্রতিহত করতে পারি। 

আলোচনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলে দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ছাড়াও ছিলেন সামান্তা শারমিন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সারোয়ার তুষার, জাভেদ রাসিন ও নাহিদা সারোয়ার নিভা। 

উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলো স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। ২৩ মার্চ জাতীয় নাগরিক পার্টি কমিশন বরাবর তাদের মতামত জমা দেয়। সে প্রেক্ষিতে দলটির সঙ্গে আজ আলোচনায় বসে কমিশন। দিনব্যাপী এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ