Samakal:
2025-04-19@07:23:23 GMT

সপ্তাহজুড়ে দর পতন

Published: 17th, April 2025 GMT

সপ্তাহজুড়ে দর পতন

ফের টানা দর পতনে দেশের শেয়ারবাজার। এ সপ্তাহের চার কর্মদিবসের প্রতিদিনই প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে। এক সপ্তাহে সূচকটি হারিয়েছে ১০৯ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ। এ সময়ে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির মধ্যে ২৬৭টি এবং ৩৭টি মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩২টি দর হারিয়েছে।
এর আগে সপ্তাহজুড়ে দর পতন হয়েছিল গত ১২ থেকে ১৬ জানুয়ারি। মাঝে দুই দফায় ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত টানা পাঁচ কর্মদিবসে সূচক প্রায় ৭৪ পয়েন্ট এবং ২২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা ৬ দিনে ৯০ পয়েন্ট হারিয়েছিল সূচকটি। তবে ওই পতন ছিল দুই সপ্তাহ মিলে। 

চলতি দর পতন নিয়ে কয়েকটি শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান নির্বাহীরা জানান, এপ্রিলের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্কারোপ ইস্যুতে কিছুটা দর পতন হলেও তার রেশ এখন নেই। কেউ কেউ বলছেন, দর পতনের পেছনে সাম্প্রতিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব থাকতে পারে। 
প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন চীন বাদে বাকি সব দেশের জন্য বাড়তি শুল্কারোপের আগের সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছে। ফলে এই ইস্যুতে এখনকার দর পতনের কোনো সংযোগ আছে বলে মনে হয় না। তাঁর মতে, এ মুহূর্তে নতুন করে আশাব্যঞ্জক কোনো খবর নেই, যাতে আকৃষ্ট হয়ে অনেকে নতুন বিনিয়োগ সুযোগ খুঁজবেন। যখন বিনিয়োগ কমে যায়, তখন বিক্রির চাপ বাড়ে এবং পতন হতে থাকলে ভয়েও অনেকে শেয়ার বিক্রি করেন। 
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দর পতনের কবলে পড়েছে সব খাতের শেয়ার। তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ২৬৭টির দর হারিয়েছে, যার ১১৪টির দর কমেছে ৫ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত। বিপরীতে ৭৩ কোম্পানির দর বেড়েছে, যার ১৪টির দর ৫ থেকে সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ বেড়েছে।

পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, বড় বা বেশি কোম্পানির খাতগুলোর মধ্যে বস্ত্র এবং ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে দর পতন হয়েছে তুলনামূলক বেশি। বস্ত্র খাতের ৫৮ কোম্পানির মধ্যে ৫১টি দর হারিয়েছে। গড় দর পতনের হার ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের তালিকাভুক্ত ২৩ কোম্পানির মধ্যে ১৭টির দর কমায় গড়ে এ খাতের দর ৩ শতাংশের বেশি কমেছে। অপেক্ষাকৃত ছোট খাতের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি, সেবা ও নির্মাণ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে বেশি দর পতন হয়েছে। মিউচুয়াল ফান্ড খাতের দর পতন সাড়ে ৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
দর পতনের মধ্যে টাকার অঙ্কে শেয়ার কেনাবেচার পরিমাণও ক্রমে কমেছে। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার শেয়ারবাজার ডিএসইতে ৩৩৯ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা গত ২৭ মার্চের পর সর্বনিম্ন।

আরও শেয়ার কিনবেন এসিআইর এমডি
তালিকাভুক্ত এসিআই লিমিটেড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ দৌলা গতকাল ব্লক মার্কেট থেকে নিজ কোম্পানির আরও ১৪ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন। গতকালের বাজারমূল্য ১৯৪ টাকা ৬০ পয়সা হিসেবে তিনি ২৭ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের শেয়ার কিনবেন। এর আগে এসিআইর এমডি দুই দফায় ব্লক মার্কেটের মাধ্যমে ৩১ লাখ শেয়ার কিনেছেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বাইরে কোম্পানির পরিচালক সুস্মিতা আনিসও গত ১৩ এপ্রিল পৌনে ৮ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন, যার বাজারমূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। তিনিও নতুন করে শেয়ার কেনার ঘোষণা দেওয়ার আগে গত জানুয়ারিতে ১৫ লাখ ১৫ হাজার এবং কোম্পানির চেয়ারম্যান আনিস উদ দৌলা ১৬ লাখ শেয়ার কিনেছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র দর পতন র

এছাড়াও পড়ুন:

সপ্তাহজুড়ে দর পতন

ফের টানা দর পতনে দেশের শেয়ারবাজার। এ সপ্তাহের চার কর্মদিবসের প্রতিদিনই প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে। এক সপ্তাহে সূচকটি হারিয়েছে ১০৯ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ। এ সময়ে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির মধ্যে ২৬৭টি এবং ৩৭টি মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩২টি দর হারিয়েছে।
এর আগে সপ্তাহজুড়ে দর পতন হয়েছিল গত ১২ থেকে ১৬ জানুয়ারি। মাঝে দুই দফায় ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত টানা পাঁচ কর্মদিবসে সূচক প্রায় ৭৪ পয়েন্ট এবং ২২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা ৬ দিনে ৯০ পয়েন্ট হারিয়েছিল সূচকটি। তবে ওই পতন ছিল দুই সপ্তাহ মিলে। 

চলতি দর পতন নিয়ে কয়েকটি শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান নির্বাহীরা জানান, এপ্রিলের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্কারোপ ইস্যুতে কিছুটা দর পতন হলেও তার রেশ এখন নেই। কেউ কেউ বলছেন, দর পতনের পেছনে সাম্প্রতিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব থাকতে পারে। 
প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন চীন বাদে বাকি সব দেশের জন্য বাড়তি শুল্কারোপের আগের সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছে। ফলে এই ইস্যুতে এখনকার দর পতনের কোনো সংযোগ আছে বলে মনে হয় না। তাঁর মতে, এ মুহূর্তে নতুন করে আশাব্যঞ্জক কোনো খবর নেই, যাতে আকৃষ্ট হয়ে অনেকে নতুন বিনিয়োগ সুযোগ খুঁজবেন। যখন বিনিয়োগ কমে যায়, তখন বিক্রির চাপ বাড়ে এবং পতন হতে থাকলে ভয়েও অনেকে শেয়ার বিক্রি করেন। 
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দর পতনের কবলে পড়েছে সব খাতের শেয়ার। তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ২৬৭টির দর হারিয়েছে, যার ১১৪টির দর কমেছে ৫ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত। বিপরীতে ৭৩ কোম্পানির দর বেড়েছে, যার ১৪টির দর ৫ থেকে সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ বেড়েছে।

পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, বড় বা বেশি কোম্পানির খাতগুলোর মধ্যে বস্ত্র এবং ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে দর পতন হয়েছে তুলনামূলক বেশি। বস্ত্র খাতের ৫৮ কোম্পানির মধ্যে ৫১টি দর হারিয়েছে। গড় দর পতনের হার ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের তালিকাভুক্ত ২৩ কোম্পানির মধ্যে ১৭টির দর কমায় গড়ে এ খাতের দর ৩ শতাংশের বেশি কমেছে। অপেক্ষাকৃত ছোট খাতের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি, সেবা ও নির্মাণ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে বেশি দর পতন হয়েছে। মিউচুয়াল ফান্ড খাতের দর পতন সাড়ে ৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
দর পতনের মধ্যে টাকার অঙ্কে শেয়ার কেনাবেচার পরিমাণও ক্রমে কমেছে। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার শেয়ারবাজার ডিএসইতে ৩৩৯ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা গত ২৭ মার্চের পর সর্বনিম্ন।

আরও শেয়ার কিনবেন এসিআইর এমডি
তালিকাভুক্ত এসিআই লিমিটেড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ দৌলা গতকাল ব্লক মার্কেট থেকে নিজ কোম্পানির আরও ১৪ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন। গতকালের বাজারমূল্য ১৯৪ টাকা ৬০ পয়সা হিসেবে তিনি ২৭ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের শেয়ার কিনবেন। এর আগে এসিআইর এমডি দুই দফায় ব্লক মার্কেটের মাধ্যমে ৩১ লাখ শেয়ার কিনেছেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বাইরে কোম্পানির পরিচালক সুস্মিতা আনিসও গত ১৩ এপ্রিল পৌনে ৮ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন, যার বাজারমূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। তিনিও নতুন করে শেয়ার কেনার ঘোষণা দেওয়ার আগে গত জানুয়ারিতে ১৫ লাখ ১৫ হাজার এবং কোম্পানির চেয়ারম্যান আনিস উদ দৌলা ১৬ লাখ শেয়ার কিনেছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ