মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন ও কবি রফিক আজাদের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি ভাঙায় এমএসএফের নিন্দা
Published: 17th, April 2025 GMT
চারুশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও কবি রফিক আজাদের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ির অংশবিশেষ ভেঙে ফেলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল বলেছেন, মিথ্যা অভিযোগে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে একশ্রেণির স্বার্থান্বেষী শক্তির ইন্ধনে এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা দেশের সংবিধানের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
এমএসএফ দেশের সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার, মানবিক মর্যাদা সুরক্ষা ও জানমালের নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ এবং মানবেন্দ্র ঘোষের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুততার সঙ্গে আইনানুগ ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কবি রফিক আজাদের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি সংরক্ষণ করার উদ্যেগ না নিয়ে তা ভেঙে ফেলার চেষ্টা মানবাধিকারের পরিপন্থি। এমএসএফ আশা করে, রাষ্ট্র বাড়িটি সংরক্ষণ করে দেশের সংস্কৃতি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কবির পরিবারের নিরাপত্তা প্রদানসহ কবির স্মৃতি সংরক্ষণ ও ধারণের জন্য বাড়িটির অংশবিশেষ স্থায়ী বন্দোবস্তের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার জোর দাবি জানিয়েছে এমএসএফ।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিস্তিনি ও ত্রাণকর্মীদের জন্য গাজা এখন ‘গণকবর’: এমএসএফ
গাজায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখে ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে ফিলিস্তিনি বসতি ধ্বংস করছে। পাশাপাশি ইসরায়েল সেখানে মানবিক কার্যক্রম পরিচালনাকারীদের নিরাপত্তার বিষয়টির প্রতি চূড়ান্ত অবজ্ঞা প্রদর্শন করছে বলে মনে করছে ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ)।
গতকাল বুধবার গাজায় এমএসএফের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। উপত্যকাটিতে দায়িত্বরত দাতব্য সংস্থাটির জরুরি সমন্বয়ক আমন্ড বাহজেরওল ওই বিবৃতিতে বলেছেন, গাজার ফিলিস্তিনিদের ও তাঁদের সহায়তায় যাঁরা আসছেন, তাঁদের একটি গণকবরে পরিণত হয়েছে।
গত মাসে ইসরায়েলি সেনারা গাজায় একটি অ্যাম্বুলেন্স লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে ১৫ চিকিৎসা ও উদ্ধারকর্মী নিহত হন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ ঘটনা তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
বাহজেরওল বলেছেন, ‘আমরা গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ ও সেখানকার সব বাসিন্দাকে জোর করে বাস্তুচ্যুত হতে দেখতে পাচ্ছি।’
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজার চিকিৎসাকেন্দ্রগুলো পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলা এবং জায়গা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। এমএসএফ কর্মীদেরও অনেক জায়গা থেকে সরে যেতে হয়েছে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও রোগীদের সঙ্গে এমএফএফ কর্মীরা আটকা পড়ে গেছেন এবং নিরাপদে সরে যেতে পারছেন না।
বাহজেরওল আরও বলেছেন, ফিলিস্তিনি ও তাঁদের যাঁরা সাহায্য করতে এসেছেন, তাঁদের জন্য গাজায় নিরাপদ কোনো জায়গা নেই। চরম অনিরাপত্তার মধ্যে মানবিক সহায়তায় এগিয়ে যেতে দারুণ সংগ্রাম করতে হচ্ছে, জরুরি সরবরাহ প্রায় নেই।
প্রায় দুই মাস যুদ্ধবিরতির পর মার্চ থেকে গাজায় পুনরায় বিমান হামলা এবং স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল।
এর পর থেকে গাজায় কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।
এদিকে গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় মানবিক ত্রাণসহায়তা প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।
জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় জ্বালানি, পানিসহ অন্যান্য জরুরি পণ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
ত্রাণ সরবরাহ আটকে দেওয়া নিয়ে গতকাল বুধবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কারৎজ বলেছেন, ইসরায়েলের কৌশল একদম পরিষ্কার, গাজায় কোনো মানবিক ত্রাণ প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে এটা প্রধান অস্ত্রগুলোর একটি।
বর্তমান বাস্তবতায় গাজায় কোনো মানবিক ত্রাণ প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেও স্পষ্ট করে বলেছেন এই মন্ত্রী।
আরও পড়ুনগাজায় অ্যাম্বুলেন্সে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ১৫০৩ নভেম্বর ২০২৩