Samakal:
2025-04-19@07:20:58 GMT

শহীদ হোসাম শাবাতের সাহস

Published: 17th, April 2025 GMT

শহীদ হোসাম শাবাতের সাহস

হোসাম শাবাত ২৩ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া তরুণ, যাঁর ছিল স্বাভাবিক সুন্দর জীবন। তিনি ছিলেন তাঁর সমবয়সী আর দশটা তরুণের মতোই স্বপ্নবাজ এবং একটা সুন্দর জীবনের প্রত্যাশী। তবে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের প্রেক্ষাপট তাঁর জীবনচিত্র বদলে দেয়। 
‘এই মাটি/ভূমি (ফিলিস্তিন) আমাদের। এটিকে রক্ষা করতে এবং এর সেবা করতে মৃত্যুবরণ করা আমার জীবনের সর্বোচ্চ সম্মান,’ বলেছিলেন হোসাম শাবাত। 
গাজার গণহত্যা ও যুদ্ধের মধ্যেও হোসাম শাবাত হয়েছিলেন লাখো নির্যাতিত ফিলিস্তিনির প্রতিবাদী কণ্ঠ। ২৩ বছর বয়সী এই সাংবাদিকের শেষ আবেদন ছিল– ‘গাজা নিয়ে কথা বলা বন্ধ করবেন না। বিশ্বকে চোখ এড়িয়ে যেতে দেবেন না। লড়াই চালিয়ে যান, আমাদের গল্প বলতে থাকুন–যতক্ষণ না ফিলিস্তিন স্বাধীন হয়।’
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার সত্য উন্মোচন করে চলেছিলেন শাবাত। গাজায় চলমান নির্মম সহিংসতা ও গণহত্যার চিত্র তুলে ধরেছিলেন বিশ্ববাসীর কাছে। নিজের জনগণের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন ২৩ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি এ সাংবাদিক। 
গত ২৪ মার্চ গাজার উত্তরাঞ্চলে বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় শাবাত নিহত হন। সেদিন তাঁর সঙ্গে গাড়িতে থাকা সবচেয়ে কাছের বন্ধু মোহাম্মদ নিদালও নিহত হন। 
ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর গাজা উপত্যকার উত্তরে মাত্র কয়েকজন সাংবাদিক রয়ে গিয়েছিলেন, যাদের একজন ছিলেন শাবাত। এই তরুণ সাংবাদিক নির্ভয়ে ইসরায়েলের বর্বরতায় নিশ্চিহ্ন হওয়া ৫০,৩০০ ফিলিস্তিনির অব্যক্ত বেদনার গল্প বলেছেন, বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছেন। পশ্চিমা মিডিয়ার তথ্য বিকৃতির চেষ্টাকে ব্যর্থ করে তিনি গাজায় ইসরায়েলের নিষ্ঠুর সামরিক অভিযানের নির্মম চিত্র বিশ্বদরবারে তুলে ধরেছেন।
মৃত্যুর আগে তিনি বিশ্ববাসীর জন্য আবেগঘন বার্তা রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর সহকর্মীদের তা পোস্ট করতে বলে গেছেন।
শাবাতের সহকর্মীরা তাঁর শেষ কথাগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নেন। 
শাবাত লিখেছেন, ‘এ বার্তা যদি আপনার কাছে পৌঁছে থাকে, জানবেন, আমি আর আপনাদের মাঝে নেই। এবং খুব সম্ভব দখলদার ইজরায়েলি সেনাদের লক্ষ্যবস্তু হয়েছি। আমি উত্তর গাজার চালানো ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞে প্রতিটি মিনিট নথিভুক্ত করেছি। যে সত্যকে ওরা কবর দেওয়ার চেষ্টা করছিল তা বিশ্বকে দেখাতে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলাম। আমি ফুটপাতে ঘুমিয়েছি। স্কুলে, তাঁবুতে– যখন যেখানে পেরেছি। লড়াই করে বাঁচতে হয়েছে প্রত্যেকটা দিন। মাসের পর মাস ধরে ক্ষুধা-যন্ত্রণা সহ্য করেছি, তবুও কখনও আমার দেশের জনগণের পক্ষ ত্যাগ করিনি।’
শাবাত বলেছেন, ‘আল্লাহর শপথ, আমি সাংবাদিক হিসেবে আমার কর্তব্য যথাসাধ্য পালন করেছি। সত্য প্রকাশের জন্য আমি সব ঝুঁকি মাথা পেতে নিয়েছি। অবশেষে, বুঝি বিশ্রামের সময় হলো। গত আঠার মাস বিশ্রাম কাকে বলে জানি না। আমি বিশ্বাস করি, সব করেছি ফিলিস্তিনের স্বার্থে।’ 
যুদ্ধ শুরুর আগে হোসাম শাবাত ছিলেন তৃতীয় বর্ষের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখা তাঁর পোস্টে উঠে এসেছিল মর্মস্পর্শী সেই কথা: 
‘এ যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় আমার বয়স ছিল মাত্র ২১। অন্য সবার মতোই ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখতাম। কিন্তু দেড় বছর ধরে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উৎসর্গ করেছি আমার  ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষদের জন্য।’ 
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজার সব বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হওয়ায় তাঁর ডিগ্রি অসম্পূর্ণই থেকে গেছে–এই আক্ষেপ যেন তাঁর প্রতিটি কথায় মিশে ছিল।
দখলদার বাহিনী যখন গাজার মানুষকে দক্ষিণাঞ্চলে সরে যেতে বাধ্য করেছিল, তখন যুদ্ধের ভয়াবহতা নথিভুক্ত করতে হোসাম শাবাত উত্তরে রয়ে গিয়েছিলেন–প্রাণনাশের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও। 
শাবাতের শোকাহত মা আমাল শাবাত বলেন, ‘আমাদের যখন দক্ষিণে সরে যেতে হয়, শাবাত আমাদের সঙ্গে কিছুদূর হেঁটে এসেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এখানেই (উত্তর গাজা) থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। নুসাইরাতের (মধ্য গাজা) শিবিরে থাকার সময় আমি তাকে বারবার ফোন করে অনুরোধ করতাম, তবু সে আসত না।’ 
জানুয়ারির শেষে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর প্রায় ৪৯২ দিন পর তাঁর পরিবার তাঁকে দেখতে গাজা শহরে ফিরে আসে। শাবাত ততদিনে ভীষণ ব্যস্ত, ব্যস্ততার কারণে মায়ের সঙ্গে সময় কাটানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাঁর জন্য। মায়ের মমতায় আমাল নিজেই ছেলের পেছনে ছুটতেন–যেখানে শাবাত রিপোর্ট করতেন। ছেলেকে একবার দেখার আশায় মা ছুটে যেতেন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতেও।
ইসরায়েলের নৃশংসতা কভার করতে গিয়ে হোসাম শাবাত বারবার মৃত্যুঝুঁকি নিয়েছেন। ২০২৪-এ তাঁকে ‘হিট লিস্টে’ তালিকাভুক্ত করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। আহত হয়েও তিনি রিপোর্টিং চালিয়েছেন। 
হন্যে হয়ে পিছু নিয়েছে ইসরায়েল, শাবাত জানতেন। জানতেন পিছু নেওয়া হয়েছে আরো অনেক সাংবাদিকেরই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে #ProtectJournalists হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করতেন শাবাত। 
জায়নবাদীদের হুমকির মুখে শাবাত লিখেছিলেন, ‘ইসরায়ের কী চায় তা অনুমেয়। তারা চায় সাংবাদিকশূন্যতা তৈরি করতে। তাদের আগ্রাসী চিন্তারই অংশ। বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক হত্যা করা সম্ভব হলে ‘মিডিয়া ব্লাকআউট’ হবে। তাদের অপকর্মের কথা বলার কেউ থাকবে না। সবাইকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানাই।’
২৪ মার্চের আগে আরেকবার বড় ধরনের আক্রমণ থেকে বেঁচে যান শাবাত। ২০২৪ এর নভেম্বরের কথা। ইসরায়েলি বিমানহামলার শিকার হন তিনি। শাবাতের বন্ধু মাহমুদ জানান সেই সময়ের কথা। ‘যখন বোমাহামলা হতো, আমরা পিছু হটতাম। কিন্তু শাবাত আসত না আমাদের সঙ্গে। থেকে যেত। কারণ খবর সংগ্রহ করতে হবে। ওকে নিয়ে ভয়ে ভয়ে থাকতাম সারাক্ষণ।’
মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেও বন্ধুদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। বন্ধুদের জানিয়েছিলেন, উত্তর গাজায় পরিস্থিতি খুব খারাপ। মুহুর্মুহু বোমাহামলা চলছে। একই সময়ে মার্কিন মিডিয়া ড্রপ নিউজে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের খবর দেন তিনি। 
শুধু সাংবাদিক নন, একজন সমব্যথী মানুষ হিসেবে তাঁকে সবাই জানতেন। ভালোবেসে সংসার বাঁধার স্বপ্ন দেখতেন শাবাত। বন্ধুদের সঙ্গে ভবিষ্যতের গল্প করতেন–শান্তির সকাল, প্রিয়জনের সঙ্গে রাতের খাবার, মুক্ত ফিলিস্তিন।
বন্ধুদের মতে, নিপীড়নের মধ্যেও শাবাত রঙিন পোশাক পরতেন, প্রেম-সংসারের স্বপ্ন দেখতেন। 
এক্সে একটি পোস্টে লিখেছিলেন, ‘শান্তি চাই–ফিলিস্তিনের জন্যই শুধু নয়, আমার আত্মার জন্যও।’  
শাবাতের মৃত্যুতে ফিলিস্তিন হারাল এক সাহসী কণ্ঠ, কিন্তু তাঁর স্বপ্ন বেঁচে আছে দখলমুক্ত ফিলিস্তিনের লড়াইয়ে। শাবাত মরেও চির অমর ফিলিস্তিনের ইতিহাসে। v 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র বন ধ দ র র জন য র জ বন আম দ র র বয়স

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন মামলায় গতি পুরোনোতে স্থবির

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ও তদন্ত কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। ফলে এসব মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দেড় শতাধিক আসামি বিনা বিচারে কারাগারে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। 

অন্যদিকে জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের সময় সংঘটিত অপরাধের মামলার কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগ এখন পর্যন্ত ৩৪১টি অভিযোগ পেয়েছে। তদন্ত সংস্থা জড়িত তিন শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৪০ মামলার তদন্ত করছে। 

অবশ্য জুলাই-আগস্ট গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের পাশাপাশি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারীদের বিচারও চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না সমকালকে বলেন, কারাগারে বন্দি লোকগুলো তো ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রাখেন। অযথা একটা লোককে দীর্ঘদিন বিনা বিচারে কারাগারে কেন আটকে রাখা হবে। তাদের ‘অ্যাকুইটাল’ (বিচারে খালাস) দিয়ে দিতে পারেন ট্রাইব্যুনাল।

জানতে চাইলে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সমকালকে বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত না জেনে কিছু বলা যাবে না। তবে আইন নিজস্ব গতিতে চলবে। 

মুক্তিযুদ্ধের সময় বিরোধিতাকারীদের বিচার করতে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গত বছর ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪ বছরে ৫৫ মামলার রায়ে আসামি ছিলেন ১৬৯ জন। যার মধ্যে রায় হওয়ার আগেই মারা যান ১৮ জন; তাদের মধ্যে কারাগারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ১৬ জন, পলাতক অবস্থায় মারা গেছেন দু’জন। আসামির মধ্যে দু’জন খালাস পেয়েছেন। যার মধ্যে একজন শিশু বিবেচনায়। বাকি সাজাপ্রাপ্ত আসামি ১৪৯ জন।

ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজা পেয়েছেন ১০৬ জন। আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন ২৫ জন, যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছেন ১২ জন এবং সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন ছয়জন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে এ পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয়েছে ৯টি মামলা। ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে শীর্ষ পর্যায়ের ৭ আসামির দণ্ড কার্যকর হয়েছে। এর মধ্যে কার্যকর হয়েছে ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড।  

গত বছর রাজনৈতিক পালাবদলের পর গত ১৪ অক্টোবর পুনর্গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। যেখানে পুরোদমে শুরু হয়েছে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম। এরই মধ্যে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ দেড় শতাধিক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।  

এদিকে নতুন মামলার ভারে স্থবির হয়ে যায় একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের পুরোনো মামলা। প্রসিকিউশন সূত্রে জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থানের আগে ১১৩ জন সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা বিচারাধীন ও তদন্ত সংস্থায় ২৫ মামলা তদন্তাধীন ছিল। অনুসন্ধানের অপেক্ষায় ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের চার হাজার অভিযোগ। গত বছর ৩০ মার্চ পর্যন্ত ৬০ সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিভিন্ন কারাগারে আটক ছিলেন।  

এদের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের বিচারে ৪৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ছয়জনের বিচার ছিল চলমান। যাদের অধিকাংশ জামায়াত ইসলামীর নেতা। গণঅভ্যুত্থানের পর পাঁচজনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে একজনের বিচার চলমান। 

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৫৩টি আপিল চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। বেশ কয়েক বছর ধরে এসব আপিলের শুনানি হচ্ছে না। এর মধ্যে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া এটিএম আজহারুল ইসলামের পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন আগামী ৮ মে সর্বোচ্চ আদালতে শুনানির অপেক্ষায় আছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাকিস্তানের বিবৃতিতে নেই ক্ষমা প্রার্থনার প্রসঙ্গ
  • পাকিস্তান ও ভারতকে বাংলাদেশের দুই বার্তা
  • আইফেল টাওয়ারে ‘শান্তির বার্তা’
  • গণহত্যার প্রতিবাদ করে গাজাবাসীর জন্য রাইখানদের প্রার্থনা
  • অর্থ ফেরত ও গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান ঢাকার
  • গিরিশৃঙ্গে জাফর সাদেকের হাতে উড়ল ফিলিস্তিনের পতাকা
  • সম্পদ ফেরত ও গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান ঢাকার
  • একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে আলোচনা
  • নতুন মামলায় গতি পুরোনোতে স্থবির