সয়াবিন তেলের দাম ও শিল্পে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক ও গণবিরোধী উল্লেখ করে এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। একই সঙ্গে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে দলটি।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, গণ–অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম দায়িত্ব হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে রাখা। যথাযথ বাজার মনিটরিং ও সিন্ডিকেট উৎখাতের মাধ্যমে দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে মনে করেন গণসংহতি আন্দোলন।

মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ফ্যাসিস্ট সরকারের নীতি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, জনগণের জীবনযাত্রায় স্বস্তি ফিরিয়ে আনা ও শিল্পক্ষেত্রের বিকাশের পথ তৈরি করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে। এর বিপরীত সিদ্ধান্ত জনগণকে ক্ষুব্ধ করবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তারা যখন সংস্কারের ‘স’ উচ্চারণ করেনি, তখন খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০

তারা যখন সংস্কারের দন্তস্য উচ্চারণ করেননি, তখন খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০ দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। 

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির আলোচনার শুরুতে নজরুল ইসলাম খান এ কথা বলেন। সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় সংসদের এলডি হলে শুরু হয়।

আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাঈল জবিউল্লাহ, আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাবেক সচিব নিরুজ্জামান খান অংশ নেন।

আরো পড়ুন:

মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ
ডিসেম্বরের আগেও নির্বাচন সম্ভব, মনে করছে বিএনপি

প্রধান উপদেষ্টাকে বিএনপির চিঠি, কী আছে বর্ণনায়

নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা গতকাল প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে নয়, বিএনপি সংস্কারেরই দল। কিন্তু কেউ কেউ নানান কথা বলেন। তারা যখন সংস্কারের দন্তস্য উচ্চারণ করেননি তখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০ দিয়েছেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে নয় বরং বিএনপি সংস্কারেরই দল। তবে সবকিছুর মূলে জনগণ। জনগণের সম্মতিতে যেন সব হয়।

গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের সামনে আরেকবার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, আমরা তা কাজে লাগাতে চাই। আমরা এই কমিশনকে সহযোগিতা করছি। এই সরকারকে সহযোগিতা করছি, সেই প্রত্যাশা নিয়েই।

যদি ঐকমত্য কমিশনের কোনো সনদ নাও হয়, বিএনপির জন্য সংস্কারের সনদ রয়েছে বলেন নজরুল ইসলাম খান। সবকিছুর মূলে জনগণ এবং জনগণের সম্মতিতে যেন সব হয় বলেন তিনি। আরো বলেন, আর জনগণ কার মাধ্যমে সম্মতি জানায় আমরা জানি।

এদিকে আলোচনার শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে বাংলাদেশে একটি স্থায়ী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারি।

আজ দিনব্যাপী এই আলোচনা চলতে পারে বলে ঐক্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে। আজ আলোচনার শেষ না হলে প্রয়োজনে আগামী সপ্তাহে আবারো বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসবে কমিশন।

সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করে। প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান, জনপ্রশাসন, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চায় ঐকমত্য কমিশন। সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। ১৩ মার্চের মধ্যে দলগুলোকে মতামত দিতে বলা হয়েছিল। মতামতের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা শুরু করেছে ঐকমত্য কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করবে ঐকমত্য কমিশন এর ভিত্তিতেই হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

ঢাকা/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়, বললেন জিএম কাদের
  • রাষ্ট্র কাঠামোর গুণগত পরিবর্তনের পথ তৈরির আহ্বান এনসিপির
  • অন্তর্বর্তী সরকারের কত দিন ক্ষমতায় থাকা যুক্তিসংগত
  • রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কারের রোডম্যাপ চাই
  • এনসিপির কাছে প্রত্যাশা
  • বিদ্যমান সংবিধানের অধীনের সরকারকে বৈধ মনে করি না: ফরহাদ মজহার
  • তারা যখন সংস্কারের ‘স’ উচ্চারণ করেনি, তখন খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০
  • প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি বিএনপির, কী আছে বর্ণনায়
  • প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠিতে যা বলল বিএনপি