ভারতের নির্যাতিত মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানো নৈতিক দায়িত্ব: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
Published: 17th, April 2025 GMT
ভারতের সংসদে পাস হওয়া বিতর্কিত ওয়াক্ফ বিল বাতিল এবং দেশটিতে মুসলিম নির্যাতন বন্ধের দাবিতে ২৩ এপ্রিল ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি দেবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। এই কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী।
মহিউদ্দিন রাব্বানী বলেছেন, ‘প্রতিবেশী হিসেবে ভারতের নির্যাতিত মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। তাই ২৩ এপ্রিলের গণমিছিল যেকোনো অবস্থাতেই সফল করতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাভারের জাতীয় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সংস্থা জামে মসজিদে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা জেলা (উত্তর) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী এ কথা বলেন।
মহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, ‘ভারতে বিজেপির নেতৃত্বে মুসলমানদের ওপর একের পর এক নিপীড়ন চলছে। হিটলারের কায়দায় সেখানে মুসলিম নিধনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ওয়াক্ফ আইন সংশোধন করে মসজিদ, মাদ্রাসা ও কবরস্থানের মতো পবিত্র সম্পদ হরণ করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে চরম দমন-পীড়ন শুরু হয়েছে। আমাদের দায়িত্ব ভারতের নির্যাতিত মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানো। এটি আমাদের ইমানি, নৈতিক ও জাতীয় দায়িত্ব।’
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা জেলা উত্তরের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, মাওলানা ফজলুর রহমান, মুফতি মাহফুজ হায়দার, মুফতি ফারুক হোসাইন প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
টেক্সাসে আবাসন প্রকল্প সম্প্রসারণ করতে গিয়ে হুমকির মুখে মুসলিমরা
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বসবাসকারী মুসলিমদের হুমকি দেওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে সম্প্রতি ইমরান চৌধুরীর কাছে হুমকি দিয়ে ফোনকল আসার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
কারণটা কী
পূর্ব টেক্সাসের ইস্ট প্লানো এলাকার কাছে মুসলিমদের জন্য এক হাজার নতুন বাড়ি, একটি কমিউনিটি সেন্টার, স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ ও ইসলামিক বেসরকারি স্কুল নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন ইমরান চৌধুরী।
এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ফোনে ইমরানকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমি আপনাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। এটি এখন পর্যন্ত একটি বিকল্প পথ।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকা টেক্সাসের রক্ষণশীল, শ্বেতাঙ্গ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতারাও ইমরানের এ পরিকল্পনাকে সাদরে গ্রহণ করতে পারছেন না। তাঁরা প্রকল্পের বৈধতা নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন।
ইমরান চৌধুরী বলছেন, ভুলভাল বুঝিয়ে এ চাপ তৈরি করা হচ্ছে।
ইমরান আরও বলেন, ‘অঙ্গরাজ্য থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত যত আইন আছে, তার সব কটিই আমরা মেনে চলার চেষ্টা করছি।’
তবে চলতি সপ্তাহে ইমরান চৌধুরীর প্রকল্পটির সাংবিধানিক বৈধতা আছে কি না, তা নিয়ে তদন্তের জন্য সিনেটর জন করনিন আহ্বান জানিয়েছেন।
ইস্ট প্লানো ইসলামিক সেন্টার বা এপিক নামে পরিচিত বিদ্যমান একটি বসতি এলাকাকে সম্প্রসারণের লক্ষ্য নিয়েই ওই প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সিনেটর জন করনিন মনে করেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে টেক্সাসের ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন হতে পারে।
টেক্সাসের গভর্নর ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ গ্রেগ অ্যাবট এ প্রকল্পটিকে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘স্পষ্ট করে বলছি, টেক্সাসে শরিয়াহ আইন চালু হতে দেওয়া হবে না। শরিয়াহ শহর গড়তে দেওয়া হবে না। এ প্রকল্পের আওতায় যে “নো গো জোনস” গড়তে চাওয়া হচ্ছে, তা–ও গড়তে দেওয়া হবে না।’
যুক্তরাষ্ট্রে যেসব অঙ্গরাজ্যে শরিয়াহ আইনবিরোধী বিল কার্যকর করা হয়েছে, তার একটি টেক্সাস। বিদ্বেষবিরোধী সংগঠন সাউদার্ন পভার্টি ল সেন্টার শরিয়াহ আইনবিরোধী বিলকে অতি ডানপন্থী ষড়যন্ত্রগুলোর একটি বলে অভিহিত করেছে।
ষড়যন্ত্র তত্ত্বের আওতায় বিশ্বাস করা হয় যে শরিয়াহ নামে পরিচিত ইসলামি আইন আমেরিকান আইনি ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ করছে। তবে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন ও অন্য আইন বিশেষজ্ঞরা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
জমি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে