পঞ্চগড়ে স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে পিটুনির শিকার সেই শিক্ষক কারাগারে
Published: 17th, April 2025 GMT
পঞ্চগড়ে প্রাইভেট পড়ানোর সময় স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে আটক করে পিটুনি দেওয়া সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলাটি করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওই শিক্ষক পঞ্চগড় জেলা শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন। তিনি বিবাহিত, তাঁর দুই সন্তান আছে। তাঁর গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার একটি গ্রামে।
ওই শিক্ষকের বিচার দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এইচ এস এম সোহরাওয়ার্দী প্রথম আলোকে বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বুধবার রাতে স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে একটি ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার বেলা দেড়টার দিকে জেলা শহরের ভাড়া বাসার একটি কক্ষে পাঁচ ছাত্রীকে উচ্চতর গণিত পড়াচ্ছিলেন ওই শিক্ষক। প্রাইভেট শেষে চার ছাত্রী চলে গেলেও এক ছাত্রী থেকে যায়। পরে বিষয়টি সন্দেহ হলে স্থানীয় কয়েকজন সেখানে ওই ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষককে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ভিডিও ধারণ করেন। পরে ওই শিক্ষককে আটক করেন এবং মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে তুলে দেন। এ সময় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ লোকজন তাঁকে পিটুনি দিয়ে অটোরিকশায় করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চত্বরে নিয়ে যান। সেখানেও ক্ষুব্ধ লোকজন তাঁকে মারধর করেন। খবর পেয়ে পঞ্চগড় সদর থানা-পুলিশের সদস্যরা এসে তাঁকে আটক করেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গার্দিওয়ালার ভয়, চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা হারালে বড় ট্রান্সফার হবে
পেপে গার্দিওলা যেমন শিরোপা জেতাতে পারদর্শী, ঠিক একইভাবে ট্রান্সফার মার্কেটের সবচেয়ে বড় খদ্দেরও তিনি। শীতকালীন দল বদলেই খরচ করেছেন ২০০ মিলিয়ন ইউরো। সিটি কোচের এই ধরনের বিশাল অংকের অর্থ খরচের ইচ্ছে আছে আসন্ন গ্রীষ্মকালীন দল বদলেও। তবে গার্দিওয়ালা সতর্ক করে বলেছেন যে, ম্যানসিটি চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা না পেলে তাদের শীর্ষস্থানীয় ট্রান্সফার টার্গেটগুলো মিস হয়ে যেতে পারে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএলে) সবশেষ ৭ মৌসুমে ৬ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। তবে এই মৌসুমে তারা আছে টেবিলের পাঁচ নম্বরে। সামনের মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে ইপিএল থেকে ৫টি দল খেলার সুযোগ পাবে। তাই বর্তমান অবস্থানে থেকেই যদি সিটি মৌসুম শেষ করে, তাহলে তাদের চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে অসুবিধা হবে না। তবে যদি একটুও পা ফসকায়, তাহলে ঘারে নিঃশ্বাস ফেলা অ্যাস্ট ভিলা ও চেলসির কাছে হারাতে হবে ৫ নম্বর স্থানটিও। সিটি শনিবার (১৯ এপ্রিল) এভারটনের বিপক্ষে ম্যাচে নামার আগে তাদের হাতে রয়েছে আর মাত্র ছয়টি খেলা।
চলতি মৌসুমে কিছুটা হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর গার্দিওয়ালা গ্রীষ্মে দল ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করছেন। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, যদি চ্যাম্পিয়নস লিগ ফুটবল নিশ্চিত না হয়, তাহলে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে খেলতে সেরা খেলোয়াড়দের আনতে অসুবিধা হতে পারে।
আরো পড়ুন:
ম্যানসিটির ফুটবলারদের ইচ্ছেশক্তির অভাব দেখছেন গুন্দোয়ান
ডার্বি ড্র করে ইউনাইটেড সমর্থকদের ‘ক্লাসলেস’ বললেন গার্দিওলা
গার্দিওয়ালা বলেন, “এটা নির্ভর করে আমরা কাদের নিতে চাই এবং তারা কী শুধুমাত্র আমাদেরকেই পছন্দ করে। যদি তাদের সামনে একাধিক বিকল্প থাকে, তাহলে আমি নিশ্চিত, তারা অবশ্যই চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলছে এমন ক্লাবগুলোকেই বেছে নেবে।”
ইএসপিএনের দাবি, কেভিন ডি ব্রুইনার বিকল্প হিসেবে, জার্মান ক্লাব বেয়ার লেভারকুসেনের ফরোয়ার্ড ফ্লোরিয়ান উইর্টজের দিকে নজর রেখেছে সিটি। তবে রিয়াল মাদ্রিদ এবং বায়ার্ন মিউনিখও তাকে দলে ভেড়াতে আগ্রহী। আর এই দুই দলই আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলবে।
গার্দিওয়ালার ধারনা, “আমি জানি না। হয়তো কিছু খেলোয়াড় আসবে, আবার কেউ কেউ, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে পারছি না’ বলে আসতে চাইবে না। আমি এখনও কোনও সম্ভাব্য ভবিষ্যতের খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলিনি, তাই আসলে কিছুই বলতে পারছি না।”
ডি ব্রুইনা নিশ্চিতভাবে সিটি ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন। তবে দলে বেশ কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড়ের ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। গার্দিওয়ালা বলেন, “আমার এখন বড় স্কোয়াড। দুই একজন খেলোয়াড় গুডিসন পার্কে (এভারটনের মাঠ) সফরে যেতে পারবেন না। এটা খুব বাজে বিষয়, ভয়ানক।
তারা বেঞ্চেও থাকতে পারবে না, বাসায় বসে ভাববে ‘আমি এখানে কী করছি?’ তারা তাদের কাজটাই করতে পারছে না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, দেখা যে কে কতটা নির্ভরযোগ্য। যদি কোনো খেলোয়াড় নির্ভরযোগ্য হয়, তাহলে আর কারো দরকার নেই।”
“যদি এমন হয়, যে পুরো মৌসুমে ২০ কিংবা ২৫ শতাংশ ম্যাচ খেলে, তাহলে হয় তার নিজের বিকল্প খোঁজা দরকার, নয়তো অন্য কাউকে আনতে হবে। এটা ভারসাম্য রক্ষা, যেটা আমাদের আলোচনা, পর্যবেক্ষণ করে ঠিক করতে হবে।”
ঢাকা/নাভিদ