ঢাকা জেলার সাভারে মৌমিতা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে তল্লাশীর সময় চাকুসহ তিন ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশ। ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তারা বাসে যাত্রীবেশে ভ্রমণ করছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকায় ঢাকাগামী মৌমিতা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে তাদের আটক করার বিষয়টি জানান সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবীর।

আটকরা হলেন- ঢাকা জেলার নববাগঞ্জ থানার কৈইলাইল গ্রামের তানভির হোসেন তামিম (১৮), ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার বামনখালী গ্রামের মো.

মোকলেছুর রহমানের ছেলে মো. সোহানুর রহমান (১৮) ও ঢাকার সাভার পৌরসভার মো. জিল্লুর রহমানের ছেলে মো. মামুন হাসান মুন্না (১৯)। তাদের কাছে থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেন পুলিশ।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি যাত্রীবেশে বাসে ছিনতাইয়ের কয়োকটি ঘটনায় সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে চেকপোস্ট পরিচালনা করছে পুলিশ। আজ রাতে মৌমিতা পরিবহনের বাসে তল্লাশী করার সময় চাকুসহ তিন জনকে আটক করা হয়। তারা বাসে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রীবেশে ভ্রমণ করছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। সড়কে অপরাধ নির্মূলে এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানায় পুলিশ। 

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহীনুর কবির বলেন, “বেশ কিছুদিন আগে চলন্ত অবস্থায় বাসে ছিনতাই হয়েছিল। কয়েকটি ঘটনা এই একটি জায়গায় সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকায় ঘটেছে। তার প্রেক্ষিতে সাভার থানা থেকে আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ ফোর্স নিয়ে প্রত্যেকটা বাস চেক করতে থাকি। বিশেষ করে লোকাল বাসগুলো।”

তিনি আরো বলেন, “কয়েকদিন ধরে টেন্ডেন্সি (প্রবণতা) ছিল দেশিও অস্ত্র নিয়ে যাত্রীদের থেকে জিম্মি করে স্বর্ণ, মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যাচ্ছিল। এরকম ঘটনা গত তিন মাসে তিনটি ঘটেছে। এর প্রেক্ষিতে আমাদের চেকপোস্ট বসিয়েছি। চেকপোস্ট চলাকালীন মৌমিতা পরিবহনের একটি চলন্ত বাস থেকে তিনজন ছিনতাইকারীকে দেশিও অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। যাদের কাছে দেশীয় অস্ত্র রয়েছে।

ঢাকা/আরিফুল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর বহন র চলন ত

এছাড়াও পড়ুন:

কানাডায় ফেডারেল নির্বাচনের আগাম ভোট শুরু, এগিয়ে লিবারেল পার্টি

কানাডার স্থানীয় সময় শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ফেডারেল নির্বাচনের আগাম ভোট গ্রহণ। ভোট চলবে ১৮, ১৯, ২০ ও ২১ এপ্রিল। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ভোট চলবে।

নির্বাচন কানাডার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভোটাররা নির্ধারিত চার দিনের যেকোনো দিন তাদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন। আগাম ভোটের সুবিধা গ্রহণ করে অনেকেই মূল নির্বাচনের দিন ভিড় এড়াতে চাইছেন।

নির্বাচনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য এই সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা এই সময়ে আরও বেশি ভোটারকে টানার চেষ্টা চালিয়ে যাবে। ভোটারদের ভোটার কার্ড ও একটি সরকার স্বীকৃত পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

ফেডারেল নির্বাচনের মূল ভোট গ্রহণ দিন নির্ধারিত রয়েছে এ মাসেই, ২৮ এপ্রিল। তবে আগাম ভোটারদের অংশগ্রহণ নির্বাচনের ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এদিকে কানাডার যেকোনো নির্বাচনের আগে ন্যাশনাল ডিবেট অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে নেতারা বিতর্কে লিপ্ত হয়ে একে অপরের যুক্তি তুলে ধরে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুদিন দুটি ডিবেট অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটি ফ্রান্স ভাষায়, অন্যটি ইংরেজি ভাষায়। 

কানাডার যে কোনো জাতীয় নির্বাচন কিংবা ভবিষ্যৎ নির্বাচন এমনকি মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনে প্রধান নেতারা এ রকম বিতর্কে লিপ্ত হয় নির্বাচনের আগে। এবারের নির্বাচনে মাত্র ৩৬ দিনের প্রচারণায় দুটি বিতর্ক রাখা হয়েছে। দুদিনের বিতর্কে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল কানাডার অর্থনীতি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত শুল্ক। এই শুল্ক আরোপের ফলে কানাডার অর্থনীতিতে কি ধরনের প্রভাব পড়বে তাঁর বিশ্লেষণ। এই সকল সমস্যা কে ভালোভাবে সমাধান করতে পারবে, পাশাপাশি নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান নিয়েও আলাপ আলোচনা হয়েছে। এই দুই দিনের ভেতর ইমিগ্রেশন নিয়ে কোন আলাপ আলোচনা হয়নি। এবারের নির্বাচনে প্রচারণা শুরুর প্রথম থেকেই ইমিগ্রেন্টদের নিয়ে তেমন কথাবার্তা বলা হয়নি। যদিও ইমিগ্রেশন পলিসিই দেশকে নির্বাচনের দিকে ঠেলে দিয়েছে কিন্তু গত দু’দিনের আলোচনায় ইমিগ্রেশন পলিসির কোনো আলাপ হয়নি।

কানাডা এই মুহূর্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছে। দলের নেতারা তাদের ভোটারদের কাছ থেকে ভোট পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে ভোটারদের মধ্য এক ধরনের দোদুল্যমান অবস্থা বিরাজ করছে। শেষের এই সময়টার মধ্যে তারা মনস্থির করে ফেলেন কাকে ভোট দেবেন। এখন পর্যন্ত কোনো দল তাদের ইলেকশন ম্যানিফেস্টো এখনও প্রচার করেনি। 

বিভিন্ন সংগঠনের জনমত জরিপের তথ্য উপাত্ত ও জরিপ সংগ্রহ করে ‘দ্য টরেন্টোস্টার দ্য সিগন্যাল’ একটি গড় জরিপ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে লিবারেল পার্টি ৪২.৪ শতাংশ সমর্থন নিয়ে এগিয়ে রয়েছে। ৩৪৩ টি আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত তারা ১৭৭টি আসনে এগিয়ে যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনের জন্য ১৭২ আসনের প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টির অবস্থান ৪০.২ শতাংশ যা আসনের দিক দিয়ে ১৩০টি। সিটিভি ও গ্লোবাল মেইলের মিডিয়ার জরিপেও লিবারেল পার্টি এগিয়ে রয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ