চাকরি নিয়ে স্নাতকদের দোরগোড়ায় ৪৫ প্রতিষ্ঠান
Published: 17th, April 2025 GMT
কথায় আছে, যোগ্যতা থাকলে চাকরি আপনাকে খুঁজে নেবে। যোগ্যদের খুঁজতে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) ক্যাম্পাসে আয়োজিত চাকরি মেলায় অংশ নিয়েছিল ৪৫টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
সদ্য স্নাতক সম্পন্ন করেছেন কিংবা দু-এক মাস পরেই স্নাতক শেষ হবে, এমন শিক্ষার্থীরা এসব প্রতিষ্ঠানে পছন্দের চাকরির জন্য আবেদন করতে পেরেছেন।
রাজধানীর মিরপুরে বিইউবিটির ক্যাম্পাসে ‘বিইউবিটি ক্যারিয়ার ফেয়ার ২০২৫’ নামের এই চাকরি মেলার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যারিয়ার গাইডেন্স, কাউন্সেলিং ও ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিস। সহযোগিতায় ছিল অনলাইনে চাকরি খোঁজার প্রতিষ্ঠান বিডিজবস ডটকম লিমিটেড।
বিইউবিটি এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো চাকরি মেলার আয়োজন করল। এবারের এক দিনের এই আয়োজনে অংশ নেয় ব্যাংক, তথ্যপ্রযুক্তি, বিপণন, উৎপাদন ও সেবা খাতসহ বিভিন্ন খাতের প্রতিষ্ঠান।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চাকরি পেতে শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্যই এই উদ্যোগ। বিগত বছরগুলোতে চাকরির মেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির নিজস্ব প্রচেষ্টায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০০ স্নাতক চাকরি পেয়েছেন।
মেলায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন বিইউবিটির উপাচার্য এ বি এম শওকত আলী.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ইউব ট
এছাড়াও পড়ুন:
টেক্সাসে আবাসন প্রকল্প সম্প্রসারণ করতে গিয়ে হুমকির মুখে মুসলিমরা
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বসবাসকারী মুসলিমদের হুমকি দেওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে সম্প্রতি ইমরান চৌধুরীর কাছে হুমকি দিয়ে ফোনকল আসার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
কারণটা কী
পূর্ব টেক্সাসের ইস্ট প্লানো এলাকার কাছে মুসলিমদের জন্য এক হাজার নতুন বাড়ি, একটি কমিউনিটি সেন্টার, স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ ও ইসলামিক বেসরকারি স্কুল নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন ইমরান চৌধুরী।
এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ফোনে ইমরানকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমি আপনাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। এটি এখন পর্যন্ত একটি বিকল্প পথ।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকা টেক্সাসের রক্ষণশীল, শ্বেতাঙ্গ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতারাও ইমরানের এ পরিকল্পনাকে সাদরে গ্রহণ করতে পারছেন না। তাঁরা প্রকল্পের বৈধতা নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন।
ইমরান চৌধুরী বলছেন, ভুলভাল বুঝিয়ে এ চাপ তৈরি করা হচ্ছে।
ইমরান আরও বলেন, ‘অঙ্গরাজ্য থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত যত আইন আছে, তার সব কটিই আমরা মেনে চলার চেষ্টা করছি।’
তবে চলতি সপ্তাহে ইমরান চৌধুরীর প্রকল্পটির সাংবিধানিক বৈধতা আছে কি না, তা নিয়ে তদন্তের জন্য সিনেটর জন করনিন আহ্বান জানিয়েছেন।
ইস্ট প্লানো ইসলামিক সেন্টার বা এপিক নামে পরিচিত বিদ্যমান একটি বসতি এলাকাকে সম্প্রসারণের লক্ষ্য নিয়েই ওই প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সিনেটর জন করনিন মনে করেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে টেক্সাসের ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন হতে পারে।
টেক্সাসের গভর্নর ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ গ্রেগ অ্যাবট এ প্রকল্পটিকে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘স্পষ্ট করে বলছি, টেক্সাসে শরিয়াহ আইন চালু হতে দেওয়া হবে না। শরিয়াহ শহর গড়তে দেওয়া হবে না। এ প্রকল্পের আওতায় যে “নো গো জোনস” গড়তে চাওয়া হচ্ছে, তা–ও গড়তে দেওয়া হবে না।’
যুক্তরাষ্ট্রে যেসব অঙ্গরাজ্যে শরিয়াহ আইনবিরোধী বিল কার্যকর করা হয়েছে, তার একটি টেক্সাস। বিদ্বেষবিরোধী সংগঠন সাউদার্ন পভার্টি ল সেন্টার শরিয়াহ আইনবিরোধী বিলকে অতি ডানপন্থী ষড়যন্ত্রগুলোর একটি বলে অভিহিত করেছে।
ষড়যন্ত্র তত্ত্বের আওতায় বিশ্বাস করা হয় যে শরিয়াহ নামে পরিচিত ইসলামি আইন আমেরিকান আইনি ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ করছে। তবে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন ও অন্য আইন বিশেষজ্ঞরা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
জমি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে