জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ নূর মোস্তফার স্বীকৃতি এবং তার পরিবারকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদানের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মানববন্ধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে স্টুডেন্টস এলায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি এন্ড জুলাই রেকর্ডস এর উদ্যোগে এ মানববন্ধন করা হয়েছে ।

এ সময় ঢাবির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক, একজন জুলাই শহীদের স্বীকৃতির জন্য আমাদের রাজপথে নামতে হয়েছে। যে জাতি বীরদের স্বীকৃতি দিতে জানে না, সেই জাতি থেকে আর কোনো বীর জন্ম নেয় না। আমরা দেখেছি, কিছুদিন পূর্বে শহীদ হওয়া হৃদয় কোনো সরকারি সাহায্য পায়নি। অনেক পরিবার ঋণ করে আহত জুলাই যোদ্ধাদের চিকিৎসা করাচ্ছে।”

আরো পড়ুন:

ঢাবিতে কোভিডবিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ঢাবিতে হামলায় জড়িতদের শনাক্তে শিক্ষার্থীদের ছায়া কমিটি

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা জুলাই যোদ্ধাদের দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুন এবং অবিলম্বে জুলাইয়ে গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন।”

‘জুলাই ম্যাসাকার আর্কাইভ’ এর সদস্য হাসান এনাম বলেন, “এটি এই জাতির জন্য লজ্জার যে একজন জুলাই শহীদের স্বীকৃতির জন্য আমাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে, মানববন্ধন করতে হচ্ছে, স্মারকলিপি দিতে হচ্ছে। আমরা জেনেছি জুলাইয়ের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটি শহীদ নূর মোস্তফার নাম শহীদদের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। আমরা তাদের কাছে এর কারণ জানতে চাই। যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে জুলাই শহীদদের স্বীকৃতি দেওয়া হয় না, সেই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত দিয়ে আমরা কি করবো?”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা বলেন, “আমরা পূর্বেও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে শহীদ নূর মোস্তফার স্বীকৃতির জন্য স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। এছাড়াও তার পরিবারকে সম্মানসূচক নাগরিকত্বের দাবি জানিয়েছিলাম। জুলাই শহীদদের এবং আহতদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব।”

গত ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয়ে ৬ আগস্ট শহীদ হন নূর মোস্তফা। তার পরিবারের পূর্ব নিবাস মায়ানমারে হলেও জন্ম বাংলাদেশে। এমনকি তার বাংলাদেশী জন্মসনদও রয়েছে। কিন্তু এরপরও তাকে রোহিঙ্গা হিসেবে আখ্যায়িত করে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র জন য পর ব র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

রাবির সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের অপসারণ ও শিক্ষক নিয়োগে অভিন্ন ইউজিসি নীতিমালা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ‘সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী শিক্ষক হতে পারবে কি পারবে না, এটা আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট নির্ধারণ করে দিতে পারে না। প্রশাসন রাতের বেলা আওয়ামী সিন্ডিকেটের সঙ্গে মিটিংয়ে বসেন আবার দিনের বেলা বয়ান দেন তারা আওয়ামী বিরোধী। আওয়ামী শিক্ষকদের ক্ষেত্রে আপনারা সুশীলগীরি দেখাবেন না। এরা শ্রেণিকক্ষে ভিন্ন মতে বিশ্বাসী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে হেনস্থা ও পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে দিত। ইউজিসির নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। কেননা আপনারা নীতিমালা সংযোজন করে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করেন। নিজেদের ছেলে-মেয়ে এমনকি জামাতাকে পর্যন্ত শিক্ষক হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেন।
 
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, আজকে যদি ৫ আগস্ট না আসত এবং আওয়ামী সরকারের পতন না হত, তাহলে যে শিক্ষকগুলো আমাদের সঙ্গে আন্দোলন করেছে তাদের অবস্থা আওয়ামী শিক্ষকরা কী করত? তারা এত সহনশীলতা দেখাত না। তাদের প্রত্যেকের অবস্থা আজ খারাপ হত। অথচ বিপ্লবের দীর্ঘ প্রায় নয় মাস পার হলেও আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা এখনও বহাল তবিয়তে আছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই দ্রুত তাদের অপসারণ করতে হবে।
 
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আকিল বিন তালেব বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আবার রাস্তায় দাঁড়াতে হবে এটি আমরা কখনো ভাবিনি। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের যে ভূমিকা আমরা দেখতে পাচ্ছি তাতে ব্যথিত হওয়া ছাড়া কিছু বলার নেই। উপাচার্য স্যারের কাছে আমরা যে সংস্কারের দাবিগুলো জানিয়েছি, সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। নয়তো আমরা আবারও রাজপথে নামতে বাধ্য হব।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র মিশনের সভাপতি জি এ সাব্বির, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহসভাপতি আমান উল্লাহ, ছাত্রদল কর্মী নাসিম আহমেদ প্রমুখ। এ সময় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিশু বিকাশ কেন্দ্রের সেবা কি বন্ধের পথে?
  • প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি শিক্ষার্থীদের
  • আবারও রাজপথে শিক্ষার্থীরা
  • ছাত্রী হত্যার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ আসামির বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
  • কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে মশাল মিছিল
  • নূর মোস্তফার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চেয়ে মানববন্ধন
  • রাবিতে সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের অপসারণের দাবি
  • রাবির সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন
  • 'মার্চ ফর ইউনুস' আগে সংস্কার তারপর নির্বাচন, মানববন্ধনের পর হুমকি