টনি ক্রসের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেনি রিয়াল মাদ্রিদ। জার্মান কিংবদন্তিও অন্য ক্লাবে না গিয়ে অবসর নিয়েছেন। তার ওই জায়গা পূরণে কাউকে দলে নেয়নি লস ব্লাঙ্কোসরা। ওদিকে গুঞ্জন আছে, মৌসুম শেষে লুকা মডরিচের সঙ্গেও চুক্তি নবায়ন করবে না রিয়াল বোর্ড। 

দুই প্লে মেকারের জায়গা পূরণে লিভারপুলের আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারকে দলে নেওয়ার কথা ভাবছে রিয়াল মাদ্রিদ। চুক্তির অংশ হিসেবে ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের বোর্ড তরুণ তুর্কিশ মিডফিল্ডার আর্দা গুলারকে দিতে প্রস্তুত বলেও দাবি করেছে সংবাদ মাধ্যম। 

লিভারপুলের সাবেক উইঙ্গার জার্মেইন পেন্নাট দাবি করেছেন, লিভারপুলের পেছনে লেগেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাক অ্যালিস্টারকে লিভারপুল না ছাড়ার অনুরোধও করেছেন তিনি। এর আগে সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, আগামী মৌসুমে ফ্রি এজেন্টে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেবেন লিভারপুলের ইংলিশ রাইট ব্যাক ট্রেন্ট  অ্যালেক্সজান্ডার অর্নাল্ড। 

ম্যাক অ্যালিস্টারকে নিয়ে পেন্নাট বলেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদ খুবই বিরক্তিকর একটা দল। এবার তারা লিভারপুলের খেলোয়াড় ভাগিয়ে নেওয়ার পায়তারা করছে। আমি আশা করবো, গ্রীষ্মে রিয়াল ম্যাককে নেবে না। যদিও মাদ্রিদের সংস্কৃতি, ভাষা তার খুব কাছের এবং সেখানে সে নিজের বাড়ির মতো মনে করবে। সে লিভারপুলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার, আংসাং হিরো। 

সে হয়তো জাবি আলোনসোর মতো ৬০ গজ লম্বা পাস দেবে না। কিন্তু ছোট ছোট পাস দিয়ে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করবে। সবসময় গোলে তার একটা চোখও থাকে। আর্দা গুলারকে নাকি দিতে চায় রিয়াল। আর্দা ভালো ফুটবলার, তাকে দলে পাওয়াও দারুণ ব্যাপার হবে। কিন্তু সে ম্যাকের অভাব পূরণ করতে পারবে না।’ 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল

এছাড়াও পড়ুন:

গার্দিওয়ালার ভয়, চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা হারালে বড় ট্রান্সফার হবে

পেপে গার্দিওলা যেমন শিরোপা জেতাতে পারদর্শী, ঠিক একইভাবে ট্রান্সফার মার্কেটের সবচেয়ে বড় খদ্দেরও তিনি। শীতকালীন দল বদলেই খরচ করেছেন ২০০ মিলিয়ন ইউরো। সিটি কোচের এই ধরনের বিশাল অংকের অর্থ খরচের ইচ্ছে আছে আসন্ন গ্রীষ্মকালীন দল বদলেও। তবে গার্দিওয়ালা সতর্ক করে বলেছেন যে, ম্যানসিটি চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা না পেলে তাদের শীর্ষস্থানীয় ট্রান্সফার টার্গেটগুলো মিস হয়ে যেতে পারে।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএলে) সবশেষ ৭ মৌসুমে ৬ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। তবে এই মৌসুমে তারা আছে টেবিলের পাঁচ নম্বরে। সামনের মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে ইপিএল থেকে ৫টি দল খেলার সুযোগ পাবে। তাই বর্তমান অবস্থানে থেকেই যদি সিটি মৌসুম শেষ করে, তাহলে তাদের চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে অসুবিধা হবে না। তবে যদি একটুও পা ফসকায়, তাহলে ঘারে নিঃশ্বাস ফেলা অ্যাস্ট ভিলা ও চেলসির কাছে হারাতে হবে ৫ নম্বর স্থানটিও। সিটি শনিবার (১৯ এপ্রিল) এভারটনের বিপক্ষে ম্যাচে নামার আগে তাদের হাতে রয়েছে আর মাত্র ছয়টি খেলা।

চলতি মৌসুমে কিছুটা হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর গার্দিওয়ালা গ্রীষ্মে দল ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করছেন। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, যদি চ্যাম্পিয়নস লিগ ফুটবল নিশ্চিত না হয়, তাহলে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে খেলতে সেরা খেলোয়াড়দের আনতে অসুবিধা হতে পারে।

আরো পড়ুন:

ম্যানসিটির ফুটবলারদের ইচ্ছেশক্তির অভাব দেখছেন গুন্দোয়ান

ডার্বি ড্র করে ইউনাইটেড সমর্থকদের ‘ক্লাসলেস’ বললেন গার্দিওলা

গার্দিওয়ালা বলেন, “এটা নির্ভর করে আমরা কাদের নিতে চাই এবং তারা কী শুধুমাত্র আমাদেরকেই পছন্দ করে। যদি তাদের সামনে একাধিক বিকল্প থাকে, তাহলে আমি নিশ্চিত, তারা অবশ্যই চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলছে এমন ক্লাবগুলোকেই বেছে নেবে।”

ইএসপিএনের দাবি, কেভিন ডি ব্রুইনার বিকল্প হিসেবে, জার্মান ক্লাব বেয়ার লেভারকুসেনের ফরোয়ার্ড ফ্লোরিয়ান উইর্টজের দিকে নজর রেখেছে সিটি। তবে রিয়াল মাদ্রিদ এবং বায়ার্ন মিউনিখও তাকে দলে ভেড়াতে আগ্রহী। আর এই দুই দলই আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলবে।

গার্দিওয়ালার ধারনা, “আমি জানি না। হয়তো কিছু খেলোয়াড় আসবে, আবার কেউ কেউ, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে পারছি না’ বলে আসতে চাইবে না। আমি এখনও কোনও সম্ভাব্য ভবিষ্যতের খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলিনি, তাই আসলে কিছুই বলতে পারছি না।”

ডি ব্রুইনা নিশ্চিতভাবে সিটি ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন। তবে দলে বেশ কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড়ের ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। গার্দিওয়ালা বলেন, “আমার এখন বড় স্কোয়াড। দুই একজন খেলোয়াড় গুডিসন পার্কে (এভারটনের মাঠ) সফরে যেতে পারবেন না। এটা খুব বাজে বিষয়, ভয়ানক।

তারা বেঞ্চেও থাকতে পারবে না, বাসায় বসে ভাববে ‘আমি এখানে কী করছি?’ তারা তাদের কাজটাই করতে পারছে না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, দেখা যে কে কতটা নির্ভরযোগ্য। যদি কোনো খেলোয়াড় নির্ভরযোগ্য হয়, তাহলে আর কারো দরকার নেই।”

“যদি এমন হয়, যে পুরো মৌসুমে ২০ কিংবা ২৫ শতাংশ ম্যাচ খেলে, তাহলে হয় তার নিজের বিকল্প খোঁজা দরকার, নয়তো অন্য কাউকে আনতে হবে। এটা ভারসাম্য রক্ষা, যেটা আমাদের আলোচনা, পর্যবেক্ষণ করে ঠিক করতে হবে।”

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ