বাগেরহাট জেলার পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফের বিরুদ্ধে প্রায় ১০ কোটি টাকার দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেনের দেওয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ব্যারিস্টার সারোয়ারের দেওয়া পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিওটি পর্যালোচনায় দেখা যায়, ব্যারিস্টার সরোয়ার গত ১৬ এপ্রিল তৌহিদুল আরিফের সম্পর্কে কম-বেশি ১০ কোটি টাকার দুর্নীতি উল্লেখপূর্বক খাতওয়ারি দুর্নীতির বিভিন্ন পরিমাণ উল্লেখ করেছেন। এমনকি, পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহিনীতে কর্মরত কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেন না বলেও তিনি বক্তব্যে উল্লেখ করেন। 

এতে আরও বলা হয়, পুলিশ বাহিনীতে কোনো কর্মকর্তা কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ অনুসন্ধান করে বিধি মোতাবেক বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সাম্প্রতিক সময়ে অনেকগুলো জেলার পুলিশ সুপারসহ একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আইন অনুযায়ী সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে এ রকম বক্তব্য উপস্থাপন করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মানহানির শামিল। একজন স্বনামধন্য আইনজীবী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত একজন কর্মকর্তাকে যথাযথ অনুসন্ধান ছাড়া দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসার বলায় আমাদের হতাশ করেছে এবং পুলিশ বাহিনীর প্রধানকে জড়িয়ে এ ধরনের অসত্য বক্তব্য কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ধরনের বক্তব্য পুলিশ বাহিনীর মনোবলকে দুর্বল করা ও সুনাম জনসম্মুখে হেয় করার শামিল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর মকর ত উল ল খ

এছাড়াও পড়ুন:

অনলাইন জুয়া ও বেটিং সাইটের বিজ্ঞাপন বন্ধে রিট

সেলিব্রেটিদের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মূলধারার গণমাধ্যমে অনলাইন জুয়া ও বেটিং সাইটের বিজ্ঞাপন এবং প্রচার বন্ধে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। ​

বুধবার তানজিম রাফিদ নামের ঢাকার এক বাসিন্দা এই রিট আবেদনটি দায়ের করেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমানের মাধ্যমে দাখিল করা এই আবেদনে অনলাইন জুয়া, বেটিং সাইট ও অ্যাপ্লিকেশনগুলোর বিজ্ঞাপন ও প্রচার বন্ধে সরকারের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।​

আবেদনে আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্থায়ী সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য সরকারকে নির্দেশ দিতে হাইকোর্টের প্রতি অনুরোধ জানানো হলো। ​

বিষয়টি নিয়ে আইনজীবী মাহিন এম রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধান অনুযায়ী জুয়া ও বেটিং নিষিদ্ধ।

মাহিন আরও জানান, হাইকোর্ট আগামী সপ্তাহে এই রিট আবেদনের শুনানি করতে পারে।

এর আগে মঙ্গলবার অনলাইন জুয়ার সব ওয়েবসাইট, লিংক, গেইটওয়ে বন্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারকে আইনি নোটিশ দিয়েছে ল‘ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট। 

মঙ্গলবার সংগঠনটির পক্ষে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ই-মেইলে এই নোটিশ পাঠান। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, পুলিশের মহাপরিদর্শককে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। 

নোটিশে অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে স্পেশাল মনিটরিং সেল গঠনের পাশাপাশি জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। দ্রুত এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে হাইকোর্টে রিট মামলা করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিজেএম আদালত ভবন নির্মাণে গতি নেই
  • পুলিশের কোনো কর্মকর্তা অপরাধে জড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হয়
  • আইনজীবী তালিকাভুক্তির এমসিকিউ পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ শুরু
  • সত্য ঘটনার ‘কেশারি টু’, কী আছে অক্ষয়ের এই ছবিতে
  • সত্য ঘটনার ‘কেশারি টু’
  • গাইবান্ধার সাবেক এমপি সারোয়ার কবির কারাগারে 
  • বিচারক বললেন, আদালতের অনুমতি ছাড়া মক্কেলের সঙ্গে আইনজীবীর কথা নয়
  • অনলাইন জুয়ার ওয়েবসাইট–অ্যাপ ব্লক, প্রকাশিত বিজ্ঞাপন সরাতে নির্দেশনা চেয়ে রিট
  • অনলাইন জুয়া ও বেটিং সাইটের বিজ্ঞাপন বন্ধে রিট