শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় ১৪ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
Published: 17th, April 2025 GMT
গ্যাস পাইপলাইন স্থানান্তরের জন্য শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত মোট ১৪ ঘণ্টা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। কিছু এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকবে। বৃহস্পতিবার তিতাস গ্যাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের আওতাধীন এমআরটি লাইন-১-এর ভূগর্ভস্থ স্টেশনের (বিমানবন্দর ও খিলক্ষেত) অ্যালাইনমেন্ট থেকে তিতাস গ্যাসের বিদ্যমান গ্যাস পাইপলাইন স্থানান্তর কাজের জন্য ১৮ এপ্রিল (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত শিল্প, বাণিজ্যিক ও ক্যাপটিভ শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এলাকাগুলো হলো- বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গ্রামীণফোন প্রধান কার্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিক হোটেল, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস, অনন্ত এনার্জি রিসোর্স, পিনাকল পাওয়ার, প্রগতি সিএনজিসহ কাওলার বলাকা ভবন থেকে শাহাজতপুর সুবাস্তু টাওয়ার পর্যন্ত।
এ ছাড়া নিকুঞ্জ, খিলক্ষেত, বারিধারা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, কুড়িল, জগন্নাথপুর, কালাচাঁদপুর, বারিধারা আবাসিক এলাকা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকবে।
গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আগাম আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় ওয়াসা কর্মচারীর ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম, পানি বন্ধের হুমকি
খুলনা ওয়াসা কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জি এম আব্দুল গফফারের ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে নগরীতে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ওয়াসার শ্রমিক-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ওয়াসা ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ হুমকি দেওয়া হয়।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওয়াসা কর্মচারী ইউনিয়নের সহ-সভাপতি নুর করিম বলেন, ‘ওয়াসার কয়েকজন কর্মচারীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা বুধবার দুপুরে জি এম আব্দুল গফফারের ওপর হামলা চালায়। দুটি মোটরসাইকেলে আসা সন্ত্রাসীরা ওয়াসা অফিসের কাছে পোর্ট স্কুলের সামনে গতিরোধ করে অস্ত্র প্রদর্শন করে। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গফফারকে রক্তাক্ত জখম করে। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় খালিশপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।’
এক প্রশ্নের জবাবে ইউনিয়নের নেতারা বলেন, ‘খুলনা নগরীতে ওয়াসার ১৮০টি পাম্প ও ৯টি প্লান্ট রয়েছে। সব মিলিয়ে ৫ শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী ওয়াসায় কর্মরত। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হলে এসব পাম্প ও প্লান্টে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
সম্মেলনে আরও বলা হয়, ওয়াসার কয়েকজন কর্মচারী গত ১৫ বছরে বাড়িতে বাড়িতে অবৈধ পানির সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে আয় করেছে। তাদের এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করায় তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা গফফারের ওপর হামলা চালিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের সভাপতি কবীর হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক রবিউল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, একরাম হোসেন, আরাফাত হোসেন, এস এ মুকুল প্রমুখ।