ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বান জানাল বাংলাদেশ
Published: 17th, April 2025 GMT
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়ানোর ভারতের চেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পাশাপাশি দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজ বৃহস্পতিবার বাসসের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বাংলাদেশকে জড়ানোর যেকোনো চেষ্টাকে আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি।’
শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশ সরকার মুসলিমদের ওপর হামলা এবং তাঁদের জানমালের নিরাপত্তাহানির ঘটনার নিন্দা জানায়। তিনি বলেন, ‘আমরা ভারত সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাই।’
ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহে মুসলিম-অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ জেলায় নতুন ওয়াক্ফ আইন নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায় এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এসব এলাকায় আগুন লাগানো, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং রাস্তা অবরোধের ঘটনা ঘটে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রান্সজেন্ডারদের পাসপোর্ট দেওয়া বন্ধ করতে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশকে অসাংবিধানিক বললেন আদালত
ট্রান্সজেন্ডার ও নন-বাইনারি (লিঙ্গ নির্দিষ্ট নয়) মার্কিনদের পাসপোর্ট দেওয়া বন্ধ করতে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিকে অসাংবিধানিক বলে আদেশ জারি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক ফেডারেল বিচারক। গতকাল শুক্রবার তিনি এ আদেশ দেন। তবে তিনি সারা দেশে এ নীতির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেননি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পাসপোর্ট–সংক্রান্ত নীতি গ্রহণ করেছে। এর বিরুদ্ধে সাতজন ট্রান্সজেন্ডার মামলা করেছেন। বোস্টনের ডিস্ট্রিক্ট বিচারক জুলিয়া কোবিক এ নীতির ওপর প্রাথমিক স্থগিতাদেশ জারি করেন। এর ফলে মামলার সাতজন বাদীর মধ্যে ছয়জনের ওপর এই নীতি প্রয়োগ করা যাবে না।
কোবিক বলেন, এই পাসপোর্ট নীতি ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষরিত সংশ্লিষ্ট নির্বাহী আদেশ লিঙ্গের ভিত্তিতে বৈষম্য তৈরি করে। এটি ট্রান্সজেন্ডার মার্কিনদের প্রতি ‘বিদ্বেষ’ থেকে উৎসারিত, যা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে রক্ষিত সমান সুরক্ষার নীতিমালার লঙ্ঘন।
ছয়জন বাদীর লিঙ্গ পরিচয়সহ পাসপোর্ট পাওয়ার অনুমতি দিতে পররাষ্ট্র দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন কোবিক। যদিও তিনি বলেছেন, মামলা বাদীরা দেখাতে পারেননি, কেন পুরো দেশে এই নীতির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত।
মামলায় বাদীদের পক্ষে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের আইনজীবী লি নৌলিন-সোল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যাদের ওপর বিভ্রান্তিকর ও অসাংবিধানিক এই নীতির প্রভাব পড়বে, তাদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রে বিচারকের আদেশ কার্যকর করতে আমরা সাধ্যমতো সবকিছু করব, যাতে আমরা সবাই নিজেদের মতো বাঁচতে পারি।’
এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি পররাষ্ট্র দপ্তর ও হোয়াইট হাউস।
বিচারকের ওই আদেশে পররাষ্ট্র দপ্তরকে তাদের নীতিমালা পরিবর্তনের নির্দেশ দেওয়া হয়। কেবল সেসব পাসপোর্ট ইস্যু করতে বলা হয়, যা ‘ধারকের (জন্মগত বা জৈবিকভাবে নির্ধারিত) লিঙ্গ পরিচয়কে যথাযথভাবে প্রতিফলিত করে।’