বগুড়ায় শাজাহানপুরে যুবদল নেতা হত্যা মামলায় জামিনে থাকা নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে ধাওয়া করে ধরে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে শাজাহানপুর উপজেলার ডোমনপুকুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার ছাত্রলীগ নেতার নাম আরিফুল ইসলাম ওরফে কাজল। তিনি শাজাহানপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁর বাড়ি উপজেলার পারতেখুর মধ্যপাড়া গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আরিফুল ইসলাম উপজেলার খরনা বাজারে অবস্থান করছিলেন। এ সময় স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা তাঁকে ধাওয়া দেন। আত্মরক্ষার্থে আরিফুল ডোমনপুকুর গুচ্ছগ্রামে আশ্রয় নেন। বিএনপির নেতা-কর্মীরা সেখান থেকে তাঁকে ধরে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করেন।

২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর বিএনপির দলীয় কর্মসূচিতে যুবদল নেতা ফোরকান আলীকে হত্যার অভিযোগে গত ১ নভেম্বর বগুড়ার আদালতে মামলা হয়।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াদুদ আলম বলেন, যুবদল নেতা ফোরকান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আরিফুল ইসলাম সম্প্রতি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে নতুন মামলা নেই। এখন জনতা যেহেতু তাঁকে আটক করে থানায় দিয়েছে, সে কারণে যেকোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

আরও পড়ুনমিথ্যা তথ্য দিয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৬০ আসামির নামে ফোরকান হত্যা মামলা, বাবার অভিযোগ২২ নভেম্বর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম রধর র ব এনপ র কর ম র আর ফ ল উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

টেক্সাসে আবাসন প্রকল্প সম্প্রসারণ করতে গিয়ে হুমকির মুখে মুসলিমরা

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বসবাসকারী মুসলিমদের হুমকি দেওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে সম্প্রতি ইমরান চৌধুরীর কাছে হুমকি দিয়ে ফোনকল আসার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

কারণটা কী

পূর্ব টেক্সাসের ইস্ট প্লানো এলাকার কাছে মুসলিমদের জন্য এক হাজার নতুন বাড়ি, একটি কমিউনিটি সেন্টার, স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ ও ইসলামিক বেসরকারি স্কুল নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন ইমরান চৌধুরী।

এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ফোনে ইমরানকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমি আপনাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। এটি এখন পর্যন্ত একটি বিকল্প পথ।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকা টেক্সাসের রক্ষণশীল, শ্বেতাঙ্গ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতারাও ইমরানের এ পরিকল্পনাকে সাদরে গ্রহণ করতে পারছেন না। তাঁরা প্রকল্পের বৈধতা নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন।

ইমরান চৌধুরী বলছেন, ভুলভাল বুঝিয়ে এ চাপ তৈরি করা হচ্ছে।

ইমরান আরও বলেন, ‘অঙ্গরাজ্য থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত যত আইন আছে, তার সব কটিই আমরা মেনে চলার চেষ্টা করছি।’

তবে চলতি সপ্তাহে ইমরান চৌধুরীর প্রকল্পটির সাংবিধানিক বৈধতা আছে কি না, তা নিয়ে তদন্তের জন্য সিনেটর জন করনিন আহ্বান জানিয়েছেন।

ইস্ট প্লানো ইসলামিক সেন্টার বা এপিক নামে পরিচিত বিদ্যমান একটি বসতি এলাকাকে সম্প্রসারণের লক্ষ্য নিয়েই ওই প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সিনেটর জন করনিন মনে করেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে টেক্সাসের ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন হতে পারে।

টেক্সাসের গভর্নর ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ গ্রেগ অ্যাবট এ প্রকল্পটিকে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘স্পষ্ট করে বলছি, টেক্সাসে শরিয়াহ আইন চালু হতে দেওয়া হবে না। শরিয়াহ শহর গড়তে দেওয়া হবে না। এ প্রকল্পের আওতায় যে “নো গো জোনস” গড়তে চাওয়া হচ্ছে, তা–ও গড়তে দেওয়া হবে না।’

যুক্তরাষ্ট্রে যেসব অঙ্গরাজ্যে শরিয়াহ আইনবিরোধী বিল কার্যকর করা হয়েছে, তার একটি টেক্সাস। বিদ্বেষবিরোধী সংগঠন সাউদার্ন পভার্টি ল সেন্টার শরিয়াহ আইনবিরোধী বিলকে অতি ডানপন্থী ষড়যন্ত্রগুলোর একটি বলে অভিহিত করেছে।

ষড়যন্ত্র তত্ত্বের আওতায় বিশ্বাস করা হয় যে শরিয়াহ নামে পরিচিত ইসলামি আইন আমেরিকান আইনি ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ করছে। তবে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন ও অন্য আইন বিশেষজ্ঞরা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

জমি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ