পিরোজপুর ১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা আত্মসাতে ৮ মামলা, সাবেক সংসদ সদস্যসহ আসামি ২৭ জন
Published: 17th, April 2025 GMT
কাজ না করে বিভিন্ন প্রকল্পের মোট ১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আটটি পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে গত মঙ্গলবার এসব মামলা করা হয়। মামলায় পিরোজপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দীন মহারাজ, পিরোজপুর এলজিইডির সাবেক প্রধান প্রকৌশলীসহ ২৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুদকের মহাপরিচালক মো.
দুদকের মহাপরিচালক বলেন, ওই আসামিদের মধ্যে ৫ জন কর্মকর্তাকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আয়রন ব্রিজ পুনর্নির্মাণ, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লি সড়ক অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ, পিরোজপুর জেলা পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পসহ আটটি প্রকল্পের কাজ না করে টাকা আত্মাসাৎ করেন আসামিরা।
দুদক সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করে মোট ১ হাজার ৭৯ কোটি ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৩৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। আসামিদের মধ্যে আছেন মেসার্স হরিণপালা ট্রেডার্সের মালিক সাবেক সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দীন মহারাজ, পিরোজপুর এলজিইডির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আলি আখতার হোসেন, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুর রশীদ খান, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুস সাত্তার হাওলাদার। অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় পৃথক ৮ মামলায় মোট ২৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রকল প
এছাড়াও পড়ুন:
টেক্সাসে আবাসন প্রকল্প সম্প্রসারণ করতে গিয়ে হুমকির মুখে মুসলিমরা
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বসবাসকারী মুসলিমদের হুমকি দেওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে সম্প্রতি ইমরান চৌধুরীর কাছে হুমকি দিয়ে ফোনকল আসার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
কারণটা কী
পূর্ব টেক্সাসের ইস্ট প্লানো এলাকার কাছে মুসলিমদের জন্য এক হাজার নতুন বাড়ি, একটি কমিউনিটি সেন্টার, স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ ও ইসলামিক বেসরকারি স্কুল নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন ইমরান চৌধুরী।
এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ফোনে ইমরানকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমি আপনাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। এটি এখন পর্যন্ত একটি বিকল্প পথ।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকা টেক্সাসের রক্ষণশীল, শ্বেতাঙ্গ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতারাও ইমরানের এ পরিকল্পনাকে সাদরে গ্রহণ করতে পারছেন না। তাঁরা প্রকল্পের বৈধতা নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন।
ইমরান চৌধুরী বলছেন, ভুলভাল বুঝিয়ে এ চাপ তৈরি করা হচ্ছে।
ইমরান আরও বলেন, ‘অঙ্গরাজ্য থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত যত আইন আছে, তার সব কটিই আমরা মেনে চলার চেষ্টা করছি।’
তবে চলতি সপ্তাহে ইমরান চৌধুরীর প্রকল্পটির সাংবিধানিক বৈধতা আছে কি না, তা নিয়ে তদন্তের জন্য সিনেটর জন করনিন আহ্বান জানিয়েছেন।
ইস্ট প্লানো ইসলামিক সেন্টার বা এপিক নামে পরিচিত বিদ্যমান একটি বসতি এলাকাকে সম্প্রসারণের লক্ষ্য নিয়েই ওই প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সিনেটর জন করনিন মনে করেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে টেক্সাসের ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন হতে পারে।
টেক্সাসের গভর্নর ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ গ্রেগ অ্যাবট এ প্রকল্পটিকে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘স্পষ্ট করে বলছি, টেক্সাসে শরিয়াহ আইন চালু হতে দেওয়া হবে না। শরিয়াহ শহর গড়তে দেওয়া হবে না। এ প্রকল্পের আওতায় যে “নো গো জোনস” গড়তে চাওয়া হচ্ছে, তা–ও গড়তে দেওয়া হবে না।’
যুক্তরাষ্ট্রে যেসব অঙ্গরাজ্যে শরিয়াহ আইনবিরোধী বিল কার্যকর করা হয়েছে, তার একটি টেক্সাস। বিদ্বেষবিরোধী সংগঠন সাউদার্ন পভার্টি ল সেন্টার শরিয়াহ আইনবিরোধী বিলকে অতি ডানপন্থী ষড়যন্ত্রগুলোর একটি বলে অভিহিত করেছে।
ষড়যন্ত্র তত্ত্বের আওতায় বিশ্বাস করা হয় যে শরিয়াহ নামে পরিচিত ইসলামি আইন আমেরিকান আইনি ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ করছে। তবে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন ও অন্য আইন বিশেষজ্ঞরা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
জমি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে