সোনারগাঁয়ে দাবিকৃত যৌতুকের ১০ লাখ টাকা না পেয়ে স্বামী ও শ্বশু বাড়ির লোকজন বর্ষা আক্তার মিম (১৯) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন চালিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

উপজেলার বরাবো খিদিরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বর্ষা আক্তার মিম উপজেলার বরাবো খিদিরপুর এলাকার কবির ভুইয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় বর্ষা আক্তার মিম (১৭ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার সকালে বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

বর্ষা আক্তার মিম জানান, গত বছরের ৭ জুন তার সঙ্গে রাজধানীর ডেমরা থানার রসূলনগর এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে আবিদুর রহমান জয়ের ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে হয়।

বিয়ের সময় তার বাবা আবিদুর রহমান জয়কে নগদ ৫ লাখ টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণ ও ৫ লাখ টাকার আসবাবপত্র প্রদান করেন।

গত কয়েকমাস ধরে আবিদুর রহমান জয় ও তার মা বদরুন নেছা বীনা ও ছোট ভাই আবিদুর রহমান দূর্জয় মিলে বর্ষা আক্তার মিমকে তার বাবার বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে আসছিল।

গত ১০ এপ্রিল বর্ষা আক্তার মিমকে স্বামী আবিদুর রহমান জয় ও তার শাশুরি ও দেবর মিলে পূনরায় তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বললে বর্ষা টাকা এনে দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন বর্ষার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে বাড়ি থেকে বিতারিত করে দেয়। এ ঘটনায় বর্ষা মামলা দায়ের করায় স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। 

এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল রহমান বলেন, এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেছেন বাদী। ঘটনা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

টিউমার ভেবে অস্ত্রোপচার, বেরিয়ে এল পরিণত শিশু

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলের এক নারী সম্প্রতি ডিম্বাশয়ের টিউমার অপসারণের প্রস্তুতি নেন। আশঙ্কা করা হয়েছিল, তাঁর একটি বড় টিউমার হয়েছে। কিন্তু অস্ত্রোপচারের কয়েক দিন আগে যা জানা গেল, তা সবাইকে বিস্মিত করে দিয়েছে। কারণ, এ জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলেন না। ঘটনা হলো, চিকিৎসকেরা টিউমার নয়, এই নারীর পেট থেকে বের করলেন একটি পরিণত জীবিত শিশু।

ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারে গত ১৮ আগস্ট ৪১ বছর বয়সী সুজে লোপেজের অস্ত্রোপচার হয়। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে অনিয়মিত মাসিক এবং পেটের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর ডিম্বাশয়ে ২২ পাউন্ড ওজনের একটি সিস্ট রয়েছে।

অস্ত্রোপচারের আগের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করান লোপেজ। এতে তাঁর গর্ভধারণ পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। বিষয়টি চিকিৎসকদের বিস্মিত করে।

সাধারণত ভ্রূণ জরায়ুতে বেড়ে ওঠে। কিন্তু আলট্রাসাউন্ড ও এমআরআই স্ক্যানে নিশ্চিত হওয়া যায়, লোপেজের ভ্রূণটি তাঁর জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছে বড় টিউমারের পেছনে পেটের ভেতরে যকৃতের কাছাকাছি স্থানে।

চিকিৎসকেরা এটাকে ‘অ্যাবডোমিনাল একটোপিক প্রেগন্যান্সি’ বলে জানান। এই ধরনের গর্ভধারণ অত্যন্ত বিরলও ঝুঁকিপূর্ণ।

একটোপিক প্রেগন্যান্সিতে সাধারণত নিষিক্ত ডিম জরায়ুর বাইরে, কোনো অঙ্গ বা রক্তনালিতে যুক্ত হয়। এতে তীব্র রক্তক্ষরণ এবং মায়ের জীবনহানির আশঙ্কা থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ ধরনের গর্ভধারণ শুরুতেই ধরা পড়ে এবং পূর্ণ মেয়াদে পৌঁছায় না। তবে দু-একটি ক্ষেত্রে সময়মতো শনাক্ত হলে জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুকে জীবিত বের করা সম্ভব হয়।

লোপেজের অস্ত্রোপচারের দিন প্রায় ৩০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের একটি দল একসঙ্গে কাজ করে। প্রথমে বড় টিউমারটি সরানো হয়। এরপর বের করা হয় শিশুকে। তার নাম রাখা হয়েছে রিউ। জন্মের সময় তার ওজন ছিল প্রায় আট পাউন্ড।

অস্ত্রোপচারের সময় লোপেজের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তবে রক্ত দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেছে। তবে কিছু সময় তাঁকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছিল।

চিকিৎসার পর মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। চিকিৎসকেরা বলেন, পূর্ণমেয়াদি অ্যাবডোমিনাল একটোপিক প্রেগন্যান্সি থেকে মা ও শিশুর নিরাপদ ফিরে আসা চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক বিরল সাফল্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ