এবার যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের ওপর চটেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্রুত সুদের হার কমাতে ব্যর্থতার জন্য তাকে ‘বরখাস্ত’ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। 

অর্থনীতিতে ট্রাম্পের ব্যাপক শুল্ক আরোপের প্রভাব সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কঠোর সতর্কীকরণ দেওয়ার একদিন পর তার এই মন্তব্য এলো।

বৃহস্পতিবার সকালে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষণা করেছে যে তারা গত আর্থিক বছরের মধ্যে সপ্তমবারের মতো সুদের হার কমাচ্ছে।

এরপরেই ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যানের তীব্র সমালোচনা করে জানিয়েছেন, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার ইউরোপীয় প্রতিপক্ষের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। 

ট্রাম্প বলেছেন, “ফেডারেল রিজার্ভের জেরোম পাওয়েল, যিনি সবসময় অতি ধীর এবং ভুল করেন, গতকাল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন যা ছিল আরেকটি জঞ্জাল! পাওয়েলের বরখাস্ত দ্রুত হচ্ছে ন!”

বুধবার পাওয়েল বলেছিলেন, ট্রাম্প প্রশাসন ‘অত্যন্ত মৌলিক নীতিগত পরিবর্তন’ এনেছে, যার মধ্যে রয়েছে অতিশুল্ক যা ‘প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।’

তিনি বলেন, “এই ধরনের পরিবর্তন আধুনিক ইতিহাসে দেখা যায়নি , যা ফেডারেল রিজার্ভকে অজানা পানিতে ফেলেছে এবং এমন একটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার পথে নিয়ে গেছে যা কয়েক দশক ধরে দেখা যায়নি; স্থবিরতা।”
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

টেক্সাসে আবাসন প্রকল্প সম্প্রসারণ করতে গিয়ে হুমকির মুখে মুসলিমরা

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বসবাসকারী মুসলিমদের হুমকি দেওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে সম্প্রতি ইমরান চৌধুরীর কাছে হুমকি দিয়ে ফোনকল আসার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

কারণটা কী

পূর্ব টেক্সাসের ইস্ট প্লানো এলাকার কাছে মুসলিমদের জন্য এক হাজার নতুন বাড়ি, একটি কমিউনিটি সেন্টার, স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ ও ইসলামিক বেসরকারি স্কুল নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন ইমরান চৌধুরী।

এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ফোনে ইমরানকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমি আপনাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। এটি এখন পর্যন্ত একটি বিকল্প পথ।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকা টেক্সাসের রক্ষণশীল, শ্বেতাঙ্গ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতারাও ইমরানের এ পরিকল্পনাকে সাদরে গ্রহণ করতে পারছেন না। তাঁরা প্রকল্পের বৈধতা নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন।

ইমরান চৌধুরী বলছেন, ভুলভাল বুঝিয়ে এ চাপ তৈরি করা হচ্ছে।

ইমরান আরও বলেন, ‘অঙ্গরাজ্য থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত যত আইন আছে, তার সব কটিই আমরা মেনে চলার চেষ্টা করছি।’

তবে চলতি সপ্তাহে ইমরান চৌধুরীর প্রকল্পটির সাংবিধানিক বৈধতা আছে কি না, তা নিয়ে তদন্তের জন্য সিনেটর জন করনিন আহ্বান জানিয়েছেন।

ইস্ট প্লানো ইসলামিক সেন্টার বা এপিক নামে পরিচিত বিদ্যমান একটি বসতি এলাকাকে সম্প্রসারণের লক্ষ্য নিয়েই ওই প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সিনেটর জন করনিন মনে করেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে টেক্সাসের ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন হতে পারে।

টেক্সাসের গভর্নর ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ গ্রেগ অ্যাবট এ প্রকল্পটিকে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘স্পষ্ট করে বলছি, টেক্সাসে শরিয়াহ আইন চালু হতে দেওয়া হবে না। শরিয়াহ শহর গড়তে দেওয়া হবে না। এ প্রকল্পের আওতায় যে “নো গো জোনস” গড়তে চাওয়া হচ্ছে, তা–ও গড়তে দেওয়া হবে না।’

যুক্তরাষ্ট্রে যেসব অঙ্গরাজ্যে শরিয়াহ আইনবিরোধী বিল কার্যকর করা হয়েছে, তার একটি টেক্সাস। বিদ্বেষবিরোধী সংগঠন সাউদার্ন পভার্টি ল সেন্টার শরিয়াহ আইনবিরোধী বিলকে অতি ডানপন্থী ষড়যন্ত্রগুলোর একটি বলে অভিহিত করেছে।

ষড়যন্ত্র তত্ত্বের আওতায় বিশ্বাস করা হয় যে শরিয়াহ নামে পরিচিত ইসলামি আইন আমেরিকান আইনি ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ করছে। তবে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন ও অন্য আইন বিশেষজ্ঞরা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

জমি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ