বিদায় ঘণ্টা বাজল আনচেলত্তির, দিনক্ষণ ‘চূড়ান্ত’
Published: 17th, April 2025 GMT
আর্সেনালের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগেই হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। কার্লো আনচেলত্তির চাকরি যাচ্ছে এই আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। ৫-১ গোলের হারের পর তা একপ্রকার চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এবার সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, ডন কার্লোর বিদায়ের ওই ঘণ্টা বেজে গেছে। কবে ছাঁটাই হবেন ওই দিনক্ষণও চূড়ান্ত হয়ে গেছে।
সংবাদ মাধ্যম স্কাই স্পোর্টস দাবি করেছে, আগামী সপ্তাহেই রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হতে যাচ্ছে কার্লো আনচেলত্তির। যার অর্থ কোপা দে রে ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে শেষবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন
এই ইতালিয়ান বস।
স্কাই স্পোর্টসের মতে, ওই পরীক্ষায় পাস করলেও চাকরি হারাবেন সাবেক বায়ার্ন মিউনিখ, চেলসি ও এভারটন কোচ আনচেলত্তি। লস ব্লাঙ্কোস শিবির ছাড়ার আগে কিছু একটা জয়ের এটাই ইতালিয়ান কোচের জন্য শেষ সুযোগ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এপ্রিলেই কার্লো আনচেলত্তির চাকরি গেলে ব্রাজিলের কোচ হওয়ার জন্য অন্যদের চেয়ে এগিয়ে যাবেন তিনি। কোচ হিসেবে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) প্রেসিডেন্ট এডনাল্ডো রদ্রিগুয়েজের প্রথম পছন্দ আনচেলত্তি। কিন্তু তাকে জুলাইয়ের আগে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এখন তাকে মে’র শুরুতেই পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
গোলসহ একাধিক সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, আর্সেনালের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের হারের পর কার্লো আনচেলত্তির সঙ্গে কথা বলার জন্য এজেন্ট পাঠিয়েছে ব্রাজিল। ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত সেলেসাওদের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে ডন কার্লোর সঙ্গে আলোচনা করবেন সিবিএফ কর্তৃপক্ষ। তিনি মে’তে দায়িত্ব নিতে রাজি হলে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠানো হবে। এর আগে আল হিলালের কোচ হোর্হে জেসুসকে ব্রাজিলের পরবর্তী কোচ হিসেবে এগিয়ে রাখা হয়েছিল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র জ ল ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
কানাডায় ফেডারেল নির্বাচনের আগাম ভোট শুরু, এগিয়ে লিবারেল পার্টি
কানাডার স্থানীয় সময় শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ফেডারেল নির্বাচনের আগাম ভোট গ্রহণ। ভোট চলবে ১৮, ১৯, ২০ ও ২১ এপ্রিল। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ভোট চলবে।
নির্বাচন কানাডার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভোটাররা নির্ধারিত চার দিনের যেকোনো দিন তাদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন। আগাম ভোটের সুবিধা গ্রহণ করে অনেকেই মূল নির্বাচনের দিন ভিড় এড়াতে চাইছেন।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য এই সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা এই সময়ে আরও বেশি ভোটারকে টানার চেষ্টা চালিয়ে যাবে। ভোটারদের ভোটার কার্ড ও একটি সরকার স্বীকৃত পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
ফেডারেল নির্বাচনের মূল ভোট গ্রহণ দিন নির্ধারিত রয়েছে এ মাসেই, ২৮ এপ্রিল। তবে আগাম ভোটারদের অংশগ্রহণ নির্বাচনের ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে কানাডার যেকোনো নির্বাচনের আগে ন্যাশনাল ডিবেট অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে নেতারা বিতর্কে লিপ্ত হয়ে একে অপরের যুক্তি তুলে ধরে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুদিন দুটি ডিবেট অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটি ফ্রান্স ভাষায়, অন্যটি ইংরেজি ভাষায়।
কানাডার যে কোনো জাতীয় নির্বাচন কিংবা ভবিষ্যৎ নির্বাচন এমনকি মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনে প্রধান নেতারা এ রকম বিতর্কে লিপ্ত হয় নির্বাচনের আগে। এবারের নির্বাচনে মাত্র ৩৬ দিনের প্রচারণায় দুটি বিতর্ক রাখা হয়েছে। দুদিনের বিতর্কে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল কানাডার অর্থনীতি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত শুল্ক। এই শুল্ক আরোপের ফলে কানাডার অর্থনীতিতে কি ধরনের প্রভাব পড়বে তাঁর বিশ্লেষণ। এই সকল সমস্যা কে ভালোভাবে সমাধান করতে পারবে, পাশাপাশি নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান নিয়েও আলাপ আলোচনা হয়েছে। এই দুই দিনের ভেতর ইমিগ্রেশন নিয়ে কোন আলাপ আলোচনা হয়নি। এবারের নির্বাচনে প্রচারণা শুরুর প্রথম থেকেই ইমিগ্রেন্টদের নিয়ে তেমন কথাবার্তা বলা হয়নি। যদিও ইমিগ্রেশন পলিসিই দেশকে নির্বাচনের দিকে ঠেলে দিয়েছে কিন্তু গত দু’দিনের আলোচনায় ইমিগ্রেশন পলিসির কোনো আলাপ হয়নি।
কানাডা এই মুহূর্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছে। দলের নেতারা তাদের ভোটারদের কাছ থেকে ভোট পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে ভোটারদের মধ্য এক ধরনের দোদুল্যমান অবস্থা বিরাজ করছে। শেষের এই সময়টার মধ্যে তারা মনস্থির করে ফেলেন কাকে ভোট দেবেন। এখন পর্যন্ত কোনো দল তাদের ইলেকশন ম্যানিফেস্টো এখনও প্রচার করেনি।
বিভিন্ন সংগঠনের জনমত জরিপের তথ্য উপাত্ত ও জরিপ সংগ্রহ করে ‘দ্য টরেন্টোস্টার দ্য সিগন্যাল’ একটি গড় জরিপ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে লিবারেল পার্টি ৪২.৪ শতাংশ সমর্থন নিয়ে এগিয়ে রয়েছে। ৩৪৩ টি আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত তারা ১৭৭টি আসনে এগিয়ে যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনের জন্য ১৭২ আসনের প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টির অবস্থান ৪০.২ শতাংশ যা আসনের দিক দিয়ে ১৩০টি। সিটিভি ও গ্লোবাল মেইলের মিডিয়ার জরিপেও লিবারেল পার্টি এগিয়ে রয়েছে।