চট্টগ্রামে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলিসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে নগরের ডবলমুরিং থানার বারেক বিল্ডিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার যুবকের নাম আরিফ হোসেন ওরফে মেহেদী হাসান (২৭)। তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৫০ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। পিস্তল ও গুলিগুলো থানা থেকে লুট হওয়া বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

পুলিশ বলছে, ডবলমুরিং, পাঁচলাইশ, সদরঘাটসহ নগরের চুরি ও ডাকাতির ঘটনার মূলহোতা মেহেদী হাসান। এর আগে তাকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে পুলিশের দুই এসআই আহত হয়েছিলেন।

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূইয়া বলেন, ‘গ্রেপ্তার মেহেদীর বিরুদ্ধে ৫০টিরও বেশি মামলা আছে। মাস দুয়েক আগে বারিক বিল্ডিং মোড়ে অভিযান চালানোর সময় আমাদের দুজন পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে তারা পালিয়ে যায়। সেখান থেকেও আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিলাম। তারা ডাকাতির টাকা সেখানে বসে ভাগ করছিল। জামিনে বের হয়ে চক্রটি আরও বড় করেছে। এই চক্রের সঙ্গে আরও জড়িত আছে রাতুল, হানিফ, নুরুন্নবি, শ্রাবণ এবং বদর।’

উদ্ধার হওয়া অস্ত্রটি থানা থেকে লুট হওয়া জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, মেহেদী হাসানের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রটি ডবলমুরিং থানায় বেসরকারি ব্যক্তির জমা রাখা অস্ত্র। সেটি ইতালির তৈরি ৭ পয়েন্ট ৬৫ এমএম পিস্তল, যা ৫ আগস্ট থানা থেকে লুট হয়েছিল। কার্তুজগুলোও থানা থেকে লুট করা। চক্রটির টার্গেট আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। ইতোমধ্যে একটি ব্যাংকসহ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ডাকাতিতে তাদের সম্পৃক্ততা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল টপ ট ল ট হওয়

এছাড়াও পড়ুন:

থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-গুলি দিয়ে ডাকাতি–ছিনতাই, দলনেতা গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে আরিফ হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, আরিফ একটি ডাকাত দলের নেতা। থানা থেকে লুট করা অস্ত্র-গুলি দিয়ে ডাকাতি, ছিনতাই করেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে নগরের ডবলমুরিং থানার বারিক বিল্ডিং মোড় এলাকা থেকে আরিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁর আস্তানা থেকে ইতালির তৈরি একটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল ও ৫০টি গুলি উদ্ধার করা হয়।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ডাকাত দলের নেতা আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর কাছ থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ স্বীকার করেছেন তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্র-গুলি ডবলমুরিং থানা থেকে লুট করেছিলেন। তবে এগুলোর বাইরে তাঁর কাছে আরও অস্ত্র-গুলি আছে কি না, তা কৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছেন। এ জন্য তাঁকে থানা লুটের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করা হবে আদালতে। তা মঞ্জুর হলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। রিমান্ডে হয়তো তাঁর কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নগরের ৮টি থানা ও ৮টি ফাঁড়ি লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। ওই সময় ৮১৩টি অস্ত্র ও ৪৪ হাজার ৩২৪টি গুলি লুট হয়। এসব অস্ত্রের বেশির ভাগ এখনো উদ্ধার হয়নি। সাজ্জাদ হোসেনের মতো সন্ত্রাসী লুট হওয়া গুলি ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়ায় চিন্তিত পুলিশ।

ওসি রফিক আহমেদ বলেন, গ্রেপ্তার আরিফ একজন অপরাধী। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি, ছিনতাই করে থাকেন। এই পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজির ১৩টি মামলা পাওয়া গেছে। আরও আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বারেক বিল্ডিং এলাকায় ডাকাতদের আস্তানায় অভিযান চালাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত হন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আহলাত ইবনে জামিল ও মো. নজরুল ইসলাম। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় মো. তারেক, মো. জুয়েল ও জাহেদুল ইসলাম নামের তিন ছিনতাইকারীকে। কিন্তু পলাতক ছিলেন তাঁদের দলনেতা আরিফ। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-গুলি দিয়ে ডাকাতি–ছিনতাই, দলনেতা গ্রেপ্তার