ইমারত নির্মাণ বিধিমালা না মেনে যে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম।

আজ বৃহস্পতিবার রাজউক সভাকক্ষে অ্যাপিলেট উপকমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।

রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম বলেন, একটি বাসযোগ্য নগরী গড়ে তুলতে হলে আমাদের অবশ্যই বিধি অনুযায়ী ভবন নির্মাণ করতে হবে। আশেপাশের ভবনে ব্যত্যয় হয়েছে ভেবে নিজের ভবনেও ব্যত্যয় করা যাবে না। বরং অন্য যারা নিয়মের ব্যত্যয় করেছে তাদের তথ্য রাজউককে জানালে রাজউক দ্রুতগতিতে আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সভায় ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী রাজউকের অথোরাইজড অফিসার, ইমারত নির্মাণ কমিটি ও বৃহদায়তন বা বিশেষ প্রকল্প অনুমোদন কমিটির আদেশের বিরুদ্ধে পেশকৃত আপত্তি নিষ্পত্তিকল্পে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় মোট ২৬টি আপিলের বিপরীতে শুনানি হয়। এ সময় আপিলকারীরা উপস্থিত থেকে তাদের ইমারত সম্পর্কিত রাজউকের আদেশের বিপরীতে তাদের অভিমত রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে পেশ করেন। রাজউক চেয়ারম্যানসহ উপকমিটির সদস্যবৃন্দ যাচাই-বাছাই করে ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতামতের ভিত্তিতে তাদের সিদ্ধান্ত জানান।

সভায় রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মো.

হারুন-অর-রশীদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, গণপূর্ত অধিদপ্তর, অতিরিক্ত প্রধান স্থপতি, স্থাপত্য অধিদপ্তর, রাজউকের সকল জোনের পরিচালক, অথরাইজড অফিসারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জউক ভবন ন র ম ণ র জউক র

এছাড়াও পড়ুন:

খোয়া যাওয়া ২৫১টি মুঠোফোন উদ্ধার করে মালিকদের বুঝিয়ে দিল পুলিশ

বিভিন্ন সময়ে হারানো, চুরি ও ছিনতাই হওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২৫১টি মুঠোফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ।

মুঠোফোন হারিয়ে যাওয়া এবং চুরি ও ছিনতাই হওয়ার ঘটনায় মুঠোফোনের মালিকদের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত এক মাসে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ ৬৩টি, হাতিরঝিল থানার পুলিশ ৫৪টি, মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ ৪০টি, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পুলিশ ৩২টি, আদাবর থানার পুলিশ ৩২টি এবং তেজগাঁও থানার পুলিশ ৩০টি মুঠোফোন উদ্ধার করে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের কার্যালয়ে উপকমিশনার মো. ইবনে মিজানের উপস্থিতিতে উদ্ধারকৃত মুঠোফোনগুলো প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেন, উদ্ধার করা মুঠোফোন কয়েক হাত ঘুরে বিক্রি হয়েছে। অনেকেই কম দামে এসব ফোন ব্যবহার করছিলেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা তো অপরাধ করেননি। তাই তাঁদের আইনের আওতায় নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, মুঠোফোন ফিরে পেয়ে মালিকেরা খুশি হন এবং তাঁরা পুলিশের প্রশংসা করেন ও কৃতজ্ঞতা জানান। জনাকীর্ণ এলাকায় ও ভিড়ের মধ্যে সবাই যেন তাঁর মুঠোফোনটি নিয়ে একটু সতর্ক থাকেন, সেই অনুরোধ করেন পুলিশ কর্মকর্তা ইবনে মিজান।

পুলিশ কর্মকর্তা ইবনে মিজান বলেন, চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি মুঠোফোন হারানোর বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তেজগাঁও বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে মুঠোফোন উদ্ধারকারী দল গঠন করা হয়। দল গঠনের পর ৩৭৫টি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এতে ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে আছেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রব্বানি হোসেন ও তেজগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার জিয়াউর রহমান। তাঁদের তদারকির দায়িত্বে আছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. জুয়েল রানা ও তেজগাঁও অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. আলমগীর কবির। দলের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেছেন তিনি নিজেই (ইবনে মিজান)।

খোয়া যাওয়া মুঠোফোন ফিরে পেয়ে পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক বেলায়েত হোসেন। তিনি আগে সাংবাদিকতা করতেন। আজ বিকেলে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ১১ নভেম্বর রাজধানীর মগবাজারের আমবাগানে তাঁর চেম্বারের ড্রয়ার থেকে মুঠোফোন খোয়া যায়। ওই ঘটনায় তিনি হাতিরঝিল থানায় জিডি করেছিলেন। মুঠোফোনে তাঁর প্রয়াত মায়ের একটি মাত্র ছবি ও গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য ছিল। মুঠোফোন হারিয়ে তিনি ভেঙে পড়েছিলেন এবং কান্নাকাটিও করেন। তিনি মনে করেছিলেন পুলিশ তাঁর এই ফোন উদ্ধার করতে পারবে না। তবে ফোনটি ফিরে পেয়ে তিনি খুশি হয়েছেন এই ভেবে যে পুলিশ সক্রিয় হয়েছে। এখন মানুষ পুলিশের কাছ থেকে সেবা পাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজশাহীতে আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামি গ্রেপ্তার
  • খোয়া যাওয়া ২৫১টি মুঠোফোন উদ্ধার করে মালিকদের বুঝিয়ে দিল পুলিশ
  • চট্টগ্রামে জব্বারের বলীখেলা ২৫ এপ্রিল