খোয়া যাওয়া ২৫১টি মুঠোফোন উদ্ধার করে মালিকদের বুঝিয়ে দিল পুলিশ
Published: 17th, April 2025 GMT
বিভিন্ন সময়ে হারানো, চুরি ও ছিনতাই হওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২৫১টি মুঠোফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ।
মুঠোফোন হারিয়ে যাওয়া এবং চুরি ও ছিনতাই হওয়ার ঘটনায় মুঠোফোনের মালিকদের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত এক মাসে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ ৬৩টি, হাতিরঝিল থানার পুলিশ ৫৪টি, মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ ৪০টি, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পুলিশ ৩২টি, আদাবর থানার পুলিশ ৩২টি এবং তেজগাঁও থানার পুলিশ ৩০টি মুঠোফোন উদ্ধার করে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের কার্যালয়ে উপকমিশনার মো.
অনুষ্ঠানে উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেন, উদ্ধার করা মুঠোফোন কয়েক হাত ঘুরে বিক্রি হয়েছে। অনেকেই কম দামে এসব ফোন ব্যবহার করছিলেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা তো অপরাধ করেননি। তাই তাঁদের আইনের আওতায় নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, মুঠোফোন ফিরে পেয়ে মালিকেরা খুশি হন এবং তাঁরা পুলিশের প্রশংসা করেন ও কৃতজ্ঞতা জানান। জনাকীর্ণ এলাকায় ও ভিড়ের মধ্যে সবাই যেন তাঁর মুঠোফোনটি নিয়ে একটু সতর্ক থাকেন, সেই অনুরোধ করেন পুলিশ কর্মকর্তা ইবনে মিজান।
পুলিশ কর্মকর্তা ইবনে মিজান বলেন, চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি মুঠোফোন হারানোর বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তেজগাঁও বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে মুঠোফোন উদ্ধারকারী দল গঠন করা হয়। দল গঠনের পর ৩৭৫টি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এতে ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে আছেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রব্বানি হোসেন ও তেজগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার জিয়াউর রহমান। তাঁদের তদারকির দায়িত্বে আছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. জুয়েল রানা ও তেজগাঁও অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. আলমগীর কবির। দলের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেছেন তিনি নিজেই (ইবনে মিজান)।
খোয়া যাওয়া মুঠোফোন ফিরে পেয়ে পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক বেলায়েত হোসেন। তিনি আগে সাংবাদিকতা করতেন। আজ বিকেলে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ১১ নভেম্বর রাজধানীর মগবাজারের আমবাগানে তাঁর চেম্বারের ড্রয়ার থেকে মুঠোফোন খোয়া যায়। ওই ঘটনায় তিনি হাতিরঝিল থানায় জিডি করেছিলেন। মুঠোফোনে তাঁর প্রয়াত মায়ের একটি মাত্র ছবি ও গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য ছিল। মুঠোফোন হারিয়ে তিনি ভেঙে পড়েছিলেন এবং কান্নাকাটিও করেন। তিনি মনে করেছিলেন পুলিশ তাঁর এই ফোন উদ্ধার করতে পারবে না। তবে ফোনটি ফিরে পেয়ে তিনি খুশি হয়েছেন এই ভেবে যে পুলিশ সক্রিয় হয়েছে। এখন মানুষ পুলিশের কাছ থেকে সেবা পাবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামি গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে শাহমখদুম থানার পুরাতন ফুদকিপাড়া অভয়ের মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামির নাম মো. আরিফ (২৫)। তাঁর বাড়ি শাহমখদুম থানার ফুদকিপাড়া খিরসিন এলাকায়। গতকাল দুপুরে তিনি রাজশাহীর আদালত থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মহানগর পুলিশ।
আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে মাদক মামলার আসামি আরিফকে আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান আসামিকে হাতকড়া পরা অবস্থায় আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন আরিফ পালিয়ে যান।
পুলিশের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘটনার পরপরই পুলিশ পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য নগরের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশিচৌকি স্থাপন করে এবং বিভিন্ন থানার টহল দলকে সতর্ক করে বার্তা দেয়। পরে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মাঈনুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ডিবির একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত ১১টার দিকে শাহমখদুম থানার পুরাতন ফুদকিপাড়া অভয়ের মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপকমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, গ্রেপ্তারের পর আরিফের বিরুদ্ধে নগরের রাজপাড়া থানায় মামলা হয়েছে। পরে ওই মামলায় তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।