প্রায় ১৫ বছর পর ঢাকা ও ইসলামাবাদের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনা ফরেন অফিস কনসাল্টেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘পদ্মা’য় আয়োজিত এফওসিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ তাদের নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকে উভয়পক্ষ দু’দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বিষয়সমূহের সামগ্রিক দিক বিশেষ করে বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। খবর বাসসের।

এদিকে আজ বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিবের সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সর্বশেষ এফওসি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারও এই মাসের শেষের দিকে ঢাকা সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ২০১২ সালের পর এটি হবে পাকিস্তানি কোনও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

১৫ বছর পর বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে বৈঠক আজ

প্রায় ১৫ বছর পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ঢাকায় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে পররাষ্ট্র দপ্তর পরামর্শ (এফওসি) বৈঠক হবে আজ। 
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবেন আমনা বালুচ। বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন।গতকাল বুধবার আমনা বালুচ ঢাকায় এসেছেন।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে শেষ এফওসি ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কোনো নির্দিষ্ট এজেন্ডা নির্ধারণ করা না হলেও আলোচনার সময় পারস্পরিক স্বার্থের সব বিষয়ই আলোচনায় আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হুসেন খান এই বৈঠকে যোগদানের জন্য বর্তমানে ঢাকায় রয়েছেন। তিনি বলেন, “ইসলামাবাদ ঢাকার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে আগ্রহী।”

তিনি বলেন, “পাকিস্তান বিশেষ করে তাদের পণ্যের দাম প্রতিযোগিতামূলক বিবেচনায় বাংলাদেশে রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছে। তুলাকে প্রধান পণ্য হিসেবে তুলে ধরে করে পাকিস্তান তুলা সরবরাহ করতে আগ্রহী।”

হাইকমিশনার বলেন, “পাকিস্তান যেহেতু আফগানিস্তান ও ইরান থেকে পণ্যের প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে, তাই পরিবহন খরচ কম হলে বাংলাদেশের জন্য পাকিস্তানের মাধ্যমে আমদানি অন্বেষণ করার সুযোগ রয়েছে।”

সরাসরি বিমান যোগাযোগের বিষয়ে ইকবাল হুসেন বলেন, “ফ্লাই জিন্নাহ ছাড়াও শিয়ালকোটে অবস্থিত আরেকটি পাকিস্তানি বেসরকারি বিমান সংস্থা এয়ার সিয়াল ঢাকায় ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের কাছে আবেদন করেছে।”

তিনি বলেন, “ফ্লাই জিন্নাহ বর্তমানে ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করার জন্য অপেক্ষা করছে। এয়ার সিয়াল অনুমোদন পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।”

দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত ঐতিহাসিক সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে হাইকমিশনার বলেন, “সারা বিশ্বে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই ধরনের বিষয় বিদ্যমান থাকে, তবে বর্তমান সম্পর্ক বা অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে বাধাগ্রস্ত করা উচিত নয়।”

বৃহস্পতিবার এফওসির পরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আমনা বালুচ সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এই মাসের শেষের দিকে ঢাকা সফর করবেন। ২০১২ সালের পর বাংলাদেশে এটি হবে কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম সফর।

দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ের পাশাপাশি মন্ত্রী পর্যায়ের সফরবিনিময় বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরাম পাকিস্তানে বৈঠক আয়োজন করলে তাতে প্রতিনিধি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ, থেমে থাকেনি ব্যবসা-বাণিজ্য। আবার প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে অব্যাহত থেকেছে সহযোগিতা।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৫ বছর পর বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে বৈঠক আজ