হিমোফিলিয়াসহ রক্তক্ষরণজনিত রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা জরুরি
Published: 17th, April 2025 GMT
হিমোফিলিয়া একটি বিরল জেনেটিক রক্তের রোগ। এই রোগ শরীরের রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। এই রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, দ্রুত ও সঠিক রোগ নির্ণয় এবং যথাযথ চিকিৎসা জরুরি।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব মতামত জানান।
হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ বরাবরের মতো এবারো বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস উদযাপন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে সকালে র্যালির আয়োজন করা হয়। সকাল ৮টায় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য অধ্যাপক ডা.
র্যালি শেষে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি উপাচার্য, সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আমীন লুৎফুল কবীর, হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি নাজমুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আরিফ।
বক্তারা হিমোফিলিয়া তথা সব রক্তক্ষরণজনিত রোগের ব্যাপারে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, দ্রুত ও সঠিক রোগ নির্ণয় এবং যথাযথ চিকিৎসার উপরে গুরুত্ব আরোপ করেন।
পরে রোশ বাংলাদেশ লিমিটেডের সহযোগিতায় ঢাকা ক্লাবে একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো. আক্তার হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. শাহ আলী আকবর আশরাফী, পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মোহাম্মদ মইনুল আহসান, স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাপনার লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. জয়নাল আবেদীন টিটো এবং অসংক্রামকব্যাধি নিয়ন্ত্রণের লাইন ডিরেক্টর ডা. সৈয়দ জাকির হোসেন।
অনুষ্ঠানে হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক আমীন লুৎফুল কবীর, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আদনান হাসান মাসুদসহ অন্যান্য স্বনামধন্য হেমাটোলজিস্টবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন হিমোফিলিয়া সোসাইটি অফ বাংলাদেশের সভাপতি নাজমুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আরিফ, রোগীদের প্রতিনিধি এবং রোশ বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
গোলটেবিল বৈঠকে রোগীদের জন্য একটা কেন্দ্রীয় রেজিস্ট্রি প্রণয়ন, হিমোফিলিয়া গাইড লাইন চূড়ান্তকরণ এবং রোগীদের চিকিৎসার জন্য স্বল্পমূল্যে জরুরি ওষুধসমূহের সরবরাহ নিশ্চিত করা ইত্যাদি বিষয়ে বাস্তবমুখী এবং স্বতঃস্ফূর্ত আলোচনা হয়।
দুপুরে হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস-২০২৫ উপলক্ষে একই ভেন্যুতে একটি বৈজ্ঞানিক অধিবেশনের আয়োজন করে। অধিবেশনে অতিথি হিসেবে ছিলেন সিনিয়র হেমাটোলজিস্ট অধ্যাপক এবিএম ইউনূস এবং অধ্যাপক সালমা আফরোজ।
বৈজ্ঞানিক অধিবেশনটিতে হিমোফিলিয়া রোগীদের জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসা, হিমোফিলিয়া রোগীদের শল্য চিকিৎসা সম্পর্কিত গাইডলাইন এবং হিমোফিলিয়া রোগীদের জীবনযাপনের গুণগতমান উন্নতকরণের উপরে তিনটি গবেষণাপত্র পাঠ করা হয় এবং এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানটিতে বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. আব্দুস শাকুর ও অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান এবং রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অখিল রঞ্জন বিশ্বাস ও ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপস থ ত ছ ল ন স স ইট
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানের কাছে আজ হারলেও যেভাবে বিশ্বকাপে যেতে পারে বাংলাদেশ
শুরুটা হয়েছিল ৬ দল দিয়ে, লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপে বাকি থাকা দুটি টিকিট। প্রতি দলের ম্যাচ ৫টি করে। এর মধ্যে প্রথম ৪টিতে জিতে একটি টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছে পাকিস্তান। ২০২৫ নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শেষ টিকিটের লড়াইটা এখন বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
দুটি দল অবশ্য একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে না। আজ বাছাইয়ের শেষ দিনে বাংলাদেশ খেলবে পাকিস্তানের বিপক্ষে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড।
থাইল্যান্ড এবারের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সবচেয়ে দুর্বল দল। ৪ ম্যাচের ৪টিতেই হেরেছে। বিপরীতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান জিতেছে ৪ ম্যাচের ৪টিতেই। বোঝাই যাচ্ছে, প্রতিপক্ষ বিবেচনায় বাংলাদেশের কাজটা কঠিন।
তবে নিগার সুলতানার দলের স্বস্তির দিক পয়েন্ট তালিকা। এ মুহূর্তে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পয়েন্ট তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দুইয়ে, ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট। আর ছয় দলের মধ্যে পাঁচে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট ৪ ম্যাচে ৪।
বাংলাদেশ পয়েন্টের পাশাপাশি আরেকটি জায়গায়ও এগিয়ে। নিগারদের রান রেট +১.০৩৩, যেখানে ক্যারিবীয় মেয়েদের –০.২৮৩।
প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্বকাপের টিকিট কাটতে হলে বাংলাদেশকে আজ কী করতে হবে?
সোজাসাপটা পথ হচ্ছে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়। লাহোরের সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডে সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু ম্যাচে বাংলাদেশ জিততে পারলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা করে নেবে। তখন বেলা তিনটায় শুরু গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের ওয়েস্ট ইন্ডিজ–থাইল্যান্ড ম্যাচ হয়ে পড়বে শুধুই আনুষ্ঠানিকতায়। কারণ, জিতলেও বাংলাদেশের দুই পয়েন্ট পেছনেই থাকবে ক্যারিবীয়রা।
বৃষ্টিতে পণ্ড হলেম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হলেও বাংলাদেশই বিশ্বকাপে জায়গা করবে। ম্যাচ পণ্ড মানে পয়েন্ট ভাগাভাগি হওয়া। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পয়েন্ট হবে ৭। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল থাইল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলেও পয়েন্ট হবে ৬। অর্থাৎ এক পয়েন্টে পিছিয়েই থাকবে। তবে বৃষ্টিতে ম্যাচ পণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা কম। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ বাছাইয়ের কোনো ম্যাচ বৃষ্টির কারণে ভেসে যায়নি।
বাংলাদেশ হেরে গেলেবাংলাদেশ দল পাকিস্তানের কাছে হেরে গেলেও বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা থাকবে। তবে তাকিয়ে থাকতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ–থাইল্যান্ড ম্যাচের দিকে। ওই ম্যাচটিতে চমক দেখিয়ে থাইল্যান্ড জিতলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সম্ভাবনা নষ্ট হবে, এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশই। তবে বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের কাছে হারার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি থাইল্যান্ডকে হারায়, তাহলে সমীকরণ ভিন্ন।
সে ক্ষেত্রে নেট রান রেট হয়ে উঠবে গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল বাংলাদেশের চেয়ে রান রেটে বেশ পিছিয়ে, এখন শেষ দিনে বাংলাদেশকে টপকে যেতে হলে পয়েন্ট সমান করার পর জয়ের ব্যবধানও বড় রাখতে হবে। নেট রান রেটের কারণে ব্যবধান হতে হবে ২৫০ রানের।
অর্থাৎ বাংলাদেশ দল যদি পাকিস্তানের কাছে ১০০ রানে হারে, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে হবে ১৫০ রানে। বাংলাদেশ দলের হারের ব্যবধান আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের ব্যবধানের যোগফল ২৫০ করলেই নিগারদের টপকে যেতে পারবে ক্যারিবীয়রা।
তবে এত সব হিসাব–নিকাশের কিছুই লাগবে না, যদি বাংলাদেশ দল আগেভাগেই পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয়। সেটা ১ রানে হোক বা ১ উইকেটে।
২০২৫ নারী বিশ্বকাপের আসর বসবে সেপ্টেম্বর–অক্টোবরে ভারতে। বাংলাদেশ মাত্র একবারই ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টটি খেলেছে, ২০২২ সালে।