আগামী সেপ্টেম্বরে ভারতে বসবে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আসরের টিকিট পেতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্রথম তিন ম্যাচেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়ার জোর সম্ভাবনা তৈরি করে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চতুর্থ ম্যাচে ৩ উইকেটে হেরে সমীকরণের প্যাচে পড়ার শঙ্কায় নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। 

বাংলাদেশ ৬ দলের এই লড়াইয়ে তিন জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে আছে। গ্রুপ পর্বে জ্যোতিরা শেষ ম্যাচ খেলবে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ হারলে সমীকরণের ফাঁদে পড়ে যাবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। 

বাংলাদেশ হারলে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ বড় ব্যবধানে থাইল্যান্ডকে হারালে এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে স্কটল্যান্ড জিতলে তিন দলের সমান ৬ করে পয়েন্ট হবে। রবিন রাউন্ড পদ্ধতির বাছাইপর্বে পয়েন্ট সমান হলে নেট রান রেটের ভিত্তিতে দুই দল পাবে বিশ্বকাপের টিকিট। নেট রান রেটে অবশ্য এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।  

বৃহস্পতিবার লাহোরের স্পোর্টস কমপ্লেক্স মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ ওভার থাকতে জয় তুলে নেয়। ৭৪ রানে তাদের ৩ উইকেট নিয়ে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। তবে মিডল অর্ডারের দৃঢ়তায় জয় তুলে নিয়েছে ক্যারিবীয়রা। 

বাংলাদেশের হয়ে এ ম্যাচেও ভালো ব্যাটিং করেছেন ওপেনার ফারজানা হক ও তিনে নামা শারমিন আক্তার। ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ১১৮ রানের জুটি গড়েন তারা। ফারজানা ৪২ রান করে ফিরে যান। শারমিন ৭৯ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন। ১০টি চারের শট মারেন তিনি। 

কিন্তু মিডল অর্ডারে জ্যোতি (৫), ঋতুমনি (১৫), স্বর্ণা আক্তার (৬) ও ফাহিমা খাতুন (৯) ব্যর্থ  হওয়ায় সংগ্রহ বড় করতে পারেনি বাংলাদেশ। লোয়ারের নাহিদা আক্তার ২৫ ও রাবেয়া খান ২৩ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুইশ’র ওপরে নিয়ে যান। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী ক্রিকেট দলের পাঁচ ব্যাটার ছোট ছোট রান করে দলকে জয় এনে দিয়েছেন। হার না মানা  ফিফটি করেছেন সিনেল্লা হেনরি। তিনি ৪৮ বলে ৫১ রান করেন। এছাড়া ওপেনার কিয়ানা জোসেপ ৩১, তিনে ব্যাট করা সীমাইন ক্যাম্পবেলা ২৪, স্টিফেন টেইলর ৩৬ ও হেইলি ম্যাথিউস ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশের পেসার মারুফা আক্তার দুই উইকেট নেন।  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ বক প ব ছ ই ব শ বক প উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

নয় অঞ্চলের নদীবন্দরে সতর্কতা সংকেত

কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কায় বাংলাদেশের নয়টি অঞ্চলের নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানিয়েছেন, ফরিদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বর্তমানে লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত আছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শনিবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপামাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

ঢাকা/হাসান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ