তরুণ প্রজন্মের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়া ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’–এর নতুন সিজন নিয়ে অবশেষে সুখবর দিয়েছেন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি। দীর্ঘ দুই বছর পর আবারও দর্শকদের সামনে হাজির হতে যাচ্ছে নাটকটির পঞ্চম সিজন।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পোস্টে নাটকটির পঞ্চম সিজনের একটি পোস্টার শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন- “দীর্ঘ আড়াই বছর পর আবার শুরু হতে যাচ্ছে ব্যাচেলর পয়েন্ট”।


প্রথম প্রচারিত হয়েছিল ২০১৮ সালে, তবে নাটকটির যাত্রা শুরু হয় ২০১৭ সালেই। একঝাঁক তরুণ চরিত্রকে ঘিরে গড়ে উঠা এই ধারাবাহিক খুব অল্প সময়েই দর্শকমহলে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। বিশেষ করে নাটকের কাবিলা, পাশা, হাবু, শুভ, রিয়া, নাবিলা, শিমুল, সিরিন, বোরহান, জাকির ও অন্তরার মতো চরিত্রগুলো হয়ে উঠেছিল দর্শকদের নিকটস্থ।

২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর প্রচারিত হয়েছিল ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজন ৪-এর শেষ পর্ব। এরপর থেকেই দর্শকরা সিজন ৫–এর অপেক্ষায় ছিলেন। মাঝে একাধিকবার গুঞ্জন উঠলেও, এবার নির্মাতা অমি নিজেই গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন, খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে দর্শকদের সুখবর দেবেন তিনি।

নাটকটির নিয়মিত দর্শকরা জানান, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ শুধুই একটি নাটক নয়, এটি তরুণদের জীবনের হাসি-কান্না আর বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। প্রতিটি চরিত্র যেন জীবন্ত হয়ে তাদের জীবনে মিশে গেছে।

এই ধারাবাহিকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মারজুক রাসেল, জিয়াউল হক পলাশ, চাষী আলম, সাবিলা নূর, সানজানা সরকার, ফারিয়া শাহরিন, শরাফ আহমেদ জীবন, সুমন পাটোয়ারি, পারসা ইভানা, আশুতোষ সুজন, মনিরা মিঠু, আবদুল্লাহ রানা, পাভেল ও শিমুল প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন টকট র

এছাড়াও পড়ুন:

কঙ্গোতে আগুন লেগে নৌকাডুবি, অন্তত ১৪৮ প্রাণহানি

মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক (ডিআর) কঙ্গোতে একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকায় আগুন লেগে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১৪৮ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কঙ্গো নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।

ডিআর কঙ্গোর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, আগুন লাগার সময় নৌকাটিতে নারী ও শিশুসহ পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিলেন। পুলিশ ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এইচ বি কঙ্গোলো নামের সেই ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি মাতানকুমু বন্দর থেকে বোলোম্বা অঞ্চলের দিকে যাচ্ছিল। পথে এমবানদাকা এলাকায় পৌঁছানোর পর নৌকাটিতে আগুন ধরে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিতে ডুবে যায়।

কঙ্গোর নদী পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কম্পেটেন্ট লোয়োকো অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, নৌকার ডেকে এক নারী রান্না চড়িয়েছিলেন। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত।

ডুবে যাওয়া সেই নৌকাটি থেকে প্রায় ১০০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের মধ্যে যাদের আগুনে পোড়ার ক্ষত রয়েছে, তাদেরকে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।

কঙ্গোতে নৌকাডুবি বিরল কোনো দুর্ঘটনা নয়। কারণ গণপরিবহন হিসেবে সেখানে যেসব নৌকা ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর অধিকাংশই পুরনো ও ত্রুটিযুক্ত। আবার অনেক সময় ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী বা মালপত্র বোঝাই করে নৌকাগুলো।

২০২৪ সালে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে কিভু হ্রদে একটি নৌকা ডুবে নিহত হয়েছিলেন ৭৮ জন। একই বছর ডিসেম্বরে পশ্চিমাঞ্চলে নদীতে নৌকাডুবে নিহত হন অন্তত ২২ জন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ