ভাইয়ের হাতে ভাই খুন, অপর ভাই হাসপাতালে
Published: 17th, April 2025 GMT
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় ঘর নির্মাণ নিয়ে বিরোধের জেরে দুই ভাইয়ের মধ্যে মারামারিতে এক ভাই নিহত হয়েছেন। অপর ভাইকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কৈকুন্ডা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত জিকু সরদার (৩০) কৈকুন্ডা গ্রামের রিকাত আলী সরদারের ছেলে। অপর ভাই মনিরুল সরদারকে (৩৫) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, জিকু অবিবাহিত আর মনিরুল এক সন্তানের জনক। সম্প্রতি তারা একসঙ্গেই বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছেন। সেই বাড়ির রুম নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
এ নিয়ে আজ সকালে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মনিরুল ও তার স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে মারামারিতে জরিয়ে পড়েন জিকু। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারি হলে দুই ভাইই গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে জিকুর মৃত্যু হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার বিস্তারিত বলা যাবে।
ঢাকা/শাহীন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কঙ্গোতে আগুন লেগে নৌকাডুবি, অন্তত ১৪৮ প্রাণহানি
মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক (ডিআর) কঙ্গোতে একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকায় আগুন লেগে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১৪৮ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কঙ্গো নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।
ডিআর কঙ্গোর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, আগুন লাগার সময় নৌকাটিতে নারী ও শিশুসহ পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিলেন। পুলিশ ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এইচ বি কঙ্গোলো নামের সেই ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি মাতানকুমু বন্দর থেকে বোলোম্বা অঞ্চলের দিকে যাচ্ছিল। পথে এমবানদাকা এলাকায় পৌঁছানোর পর নৌকাটিতে আগুন ধরে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিতে ডুবে যায়।
কঙ্গোর নদী পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কম্পেটেন্ট লোয়োকো অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, নৌকার ডেকে এক নারী রান্না চড়িয়েছিলেন। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত।
ডুবে যাওয়া সেই নৌকাটি থেকে প্রায় ১০০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের মধ্যে যাদের আগুনে পোড়ার ক্ষত রয়েছে, তাদেরকে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।
কঙ্গোতে নৌকাডুবি বিরল কোনো দুর্ঘটনা নয়। কারণ গণপরিবহন হিসেবে সেখানে যেসব নৌকা ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর অধিকাংশই পুরনো ও ত্রুটিযুক্ত। আবার অনেক সময় ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী বা মালপত্র বোঝাই করে নৌকাগুলো।
২০২৪ সালে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে কিভু হ্রদে একটি নৌকা ডুবে নিহত হয়েছিলেন ৭৮ জন। একই বছর ডিসেম্বরে পশ্চিমাঞ্চলে নদীতে নৌকাডুবে নিহত হন অন্তত ২২ জন।