টেলিফোন-খুদে বার্তায়ও সমন জারি, ভুয়া মামলার শাস্তি বাড়ছে
Published: 17th, April 2025 GMT
টেলিফোন, খুদে বার্তাসহ যোগাযোগের অন্যান্য আধুনিক পদ্ধতিতে সমন জারি করতে পারবেন আদালত। দেওয়ানি কার্যবিধি বা সিপিসিতে এই বিধান যুক্তসহ আরও কিছু পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এ সভা হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন দেওয়ানি কার্যবিধি বা সিভিল প্রসিডিউর কোডে (সিপিসি) কিছু কিছু পরিবর্তন আনার সুপারিশ করেছিল। তারই আলোকে ব্রিটিশ সরকারের সময়ে প্রণীত সিপিসিতে কিছু পরিবর্তন আনার জন্য নীতিগত অনুমোদন হয়েছে।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি কথা আছে, কারও সঙ্গে শত্রুতা করলে ভূমির মামলা দিয়ে দাও। তাহলে তিন প্রজন্মেও সেই মামলা আর শেষ হবে না। তাই সেই তিন প্রজন্ম যেন না লাগে, এক প্রজন্মেই যেন শেষ করা যায় সেজন্য সিপিসির কিছু সংশোধনী আনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যাতে করে বিচারের সময় কম লাগে, টাকা কম লাগে।’
সিপিসির কিছু সংশোধনীর কথা উল্লেখ করে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আগে একটি মামলার রায় হওয়ার পরেও জারি-মোকদ্দমা করতে হতো সেই মামলার রায় বাস্তবায়নের জন্য। এখন বলা হচ্ছে যখন রায় হবে, তখনই এই পিটিশনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া আগে বারবার সময় নেওয়া হতো। এখন বলে দেওয়া হবে সর্বোচ্চ কয়বার সময় নেওয়া যাবে। বিচার কাজও আধুনিকায়ন করতে বলা হয়েছে। এখন থেকে সমন জারি টেলিফোনের মাধ্যমে, এসএমএসের মাধ্যমে বা অন্য আধুনিক পদ্ধতিতে করা যাবে। আগে ভুয়া মামলার জন্য শাস্তি ছিল ২০ হাজার টাকা জরিমানা। এখন সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট র জওয় ন র সময়
এছাড়াও পড়ুন:
কঙ্গোতে আগুন লেগে নৌকাডুবি, অন্তত ১৪৮ প্রাণহানি
মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক (ডিআর) কঙ্গোতে একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকায় আগুন লেগে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১৪৮ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কঙ্গো নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।
ডিআর কঙ্গোর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, আগুন লাগার সময় নৌকাটিতে নারী ও শিশুসহ পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিলেন। পুলিশ ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এইচ বি কঙ্গোলো নামের সেই ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি মাতানকুমু বন্দর থেকে বোলোম্বা অঞ্চলের দিকে যাচ্ছিল। পথে এমবানদাকা এলাকায় পৌঁছানোর পর নৌকাটিতে আগুন ধরে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিতে ডুবে যায়।
কঙ্গোর নদী পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কম্পেটেন্ট লোয়োকো অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, নৌকার ডেকে এক নারী রান্না চড়িয়েছিলেন। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত।
ডুবে যাওয়া সেই নৌকাটি থেকে প্রায় ১০০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের মধ্যে যাদের আগুনে পোড়ার ক্ষত রয়েছে, তাদেরকে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।
কঙ্গোতে নৌকাডুবি বিরল কোনো দুর্ঘটনা নয়। কারণ গণপরিবহন হিসেবে সেখানে যেসব নৌকা ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর অধিকাংশই পুরনো ও ত্রুটিযুক্ত। আবার অনেক সময় ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী বা মালপত্র বোঝাই করে নৌকাগুলো।
২০২৪ সালে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে কিভু হ্রদে একটি নৌকা ডুবে নিহত হয়েছিলেন ৭৮ জন। একই বছর ডিসেম্বরে পশ্চিমাঞ্চলে নদীতে নৌকাডুবে নিহত হন অন্তত ২২ জন।