জবিতে বৈষম্যবিরোধী ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ৮ দাবি
Published: 17th, April 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) আট দফা দাবি উত্থাপন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জবি শাখা ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবিগুলো উত্থাপন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলন যৌথভাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র নওশীন নাওয়ার জয়া এবং কেন্দ্রীয় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক কিশোর সাম্য। লিখিত বক্তব্যে তারা এ দাবিগুরো তুলে ধরেন। একইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়ন না করলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।
লিখিত বক্তব্যে নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ গত ৫ আগস্ট থেকে শিক্ষার্থীবান্ধব ন্যায়সঙ্গত দাবি-দাওয়া উত্থাপন করে আসছে। দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো অগ্রগতি বা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। এ প্রেক্ষিতে আমরা গভীর হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান বৈষম্য অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেও শিক্ষার্থীরা যথাযথ প্রতিকার পাচ্ছে না। আমাদের উত্থাপিত দাবিসমূহের পুঙ্খানুপুঙ্খ বাস্তবায়ন এবং প্রশাসনের সর্বশেষ উদ্যোগের ভিত্তিতে একটি সুস্পষ্ট রোডমাপ প্রকাশের জন্য আমরা নিম্নোক্ত আট দফা দাবি ঘোষণা করছি।”
লিখিত বক্তব্যে কিশোর সাম্য বলেন, “এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে আমরা বৃহত্তর ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব। প্রশাসনের প্রতি আমাদের আহ্বান, দায়িত্বশীলতা ও শিক্ষার্থী স্বার্থের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়ন করুন।”
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ফ্যাসিস্ট হামলাকারী ও ইন্ধনদাতাদের বিচারের আওতায় আনা; আহত শিক্ষার্থীদের সব অ্যাকাডেমিক ফি মওকুফ; গত ১৫ বছরে সকল নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ তদন্ত ও প্রতিবেদন প্রকাশ; দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত সম্পন্ন ও অগ্রগতির প্রকাশ।
অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২০ কার্যদিবসের মধ্যে সব দুর্নীতির শ্বেতপত্র উপস্থাপন; শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন; আবাসন বৃত্তি প্রদান ও আনুপাতিক বাজেট বরাদ্দকরণ; সমাবর্তন আয়েজন এবং তিন কর্মদিবসের মধ্যে জকসুর নীতিমালা ও নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ।
সংবাদ সম্মেলনে জবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ রানা, সদস্য সচিব সিফাত হাসানসহ বৈষম্যবিরোধী ও কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নয় অঞ্চলের নদীবন্দরে সতর্কতা সংকেত
কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কায় বাংলাদেশের নয়টি অঞ্চলের নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানিয়েছেন, ফরিদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বর্তমানে লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত আছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপামাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
ঢাকা/হাসান/রফিক