বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের করপাড়া গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম মোল্লাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগ নেতা সালাম মোল্লাকে বানারীপাড়া বন্দরের মাছ বাজারে দেখতে পেয়ে তার এলাকার প্রতিপক্ষের লোকজন আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেয়। এ সময় তাকে মারধরেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে বানারীপাড়া থানায় নিয়ে যায়। থানায় তার বিরুদ্ধে কোন মামলা না থাকায় দুপুরে ১৫১ ধারায় তাকে বরিশাল জেলহাজতে পাঠানো হয়।

এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

মোস্তফা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা সালাম মোল্লাকে বানারীপাড়া পৌর শহরের মাছ বাজারে লোকজন আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেয়। তাকে সেখান থেকে থানায় এনে ১৫১ ধারায় বরিশাল আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর শ ল আওয় ম ল গ ন ত আটক আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

কঙ্গোতে আগুন লেগে নৌকাডুবি, অন্তত ১৪৮ প্রাণহানি

মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক (ডিআর) কঙ্গোতে একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকায় আগুন লেগে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১৪৮ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কঙ্গো নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।

ডিআর কঙ্গোর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, আগুন লাগার সময় নৌকাটিতে নারী ও শিশুসহ পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিলেন। পুলিশ ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এইচ বি কঙ্গোলো নামের সেই ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি মাতানকুমু বন্দর থেকে বোলোম্বা অঞ্চলের দিকে যাচ্ছিল। পথে এমবানদাকা এলাকায় পৌঁছানোর পর নৌকাটিতে আগুন ধরে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিতে ডুবে যায়।

কঙ্গোর নদী পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কম্পেটেন্ট লোয়োকো অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, নৌকার ডেকে এক নারী রান্না চড়িয়েছিলেন। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত।

ডুবে যাওয়া সেই নৌকাটি থেকে প্রায় ১০০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের মধ্যে যাদের আগুনে পোড়ার ক্ষত রয়েছে, তাদেরকে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।

কঙ্গোতে নৌকাডুবি বিরল কোনো দুর্ঘটনা নয়। কারণ গণপরিবহন হিসেবে সেখানে যেসব নৌকা ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর অধিকাংশই পুরনো ও ত্রুটিযুক্ত। আবার অনেক সময় ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী বা মালপত্র বোঝাই করে নৌকাগুলো।

২০২৪ সালে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে কিভু হ্রদে একটি নৌকা ডুবে নিহত হয়েছিলেন ৭৮ জন। একই বছর ডিসেম্বরে পশ্চিমাঞ্চলে নদীতে নৌকাডুবে নিহত হন অন্তত ২২ জন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ