দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা যুবদলের কয়েকটি ইউনিটের ৭ নেতাকে বুধবার সকালে বহিষ্কার করা হয়। আবার রাতেই তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সংগঠন পরিচালনা করার অভিযোগে সিরাজগঞ্জ জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল আমিন খান ও সাধারণ সম্পাদক মুরাদুজ্জামান মুরাদকে শোকজ করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

৭ নেতা হলেন- বেলকুচি উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য পল্টন জোর্য়াদার, হাফিজুল ইসলাম, পৌর যুবদলের সাবেক সদস্য উজ্জল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মো.

কাইয়ুম, ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি চাইনিজ রফিকুল, সাবেক সদস্য হাবিব ওরফে হাবলু ও সাবেক সদস্য সেলিফ আল আকবর শশী।

জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবুর মৃত্যুজনিত কারনে এই নিদের্শনার মাত্র একদিন আগে আল আমিন খানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মতো পদে দায়িত্বে থেকেও নিয়মবহির্ভূত কার্যক্রম পরিচালনা করার বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিষয়টি আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সামনে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে এর জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। 

অপরদিকে, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা যুবদলের কয়েকটি ইউনিটের ৭ নেতাকে বুধবার সকালে বহিষ্কারের পর আবার রাতেই তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক মাসুম রেজা মুসা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বহিস্কারের তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হলেও কর্ণপাত না করায় তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সর্ম্পক না রাখতে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। তাদের অপরাধের দায়িত্ব সংগঠন নেবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। 

এরপর রাতে জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল আমিন খান ও সাধারণ সম্পাদক মুরাদুজ্জামান মুরাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ওই ৭ নেতার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার জন্যও নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ য বদল ক ন দ র য় কম ট স ব ক সদস য স র জগঞ জ য বদল র স

এছাড়াও পড়ুন:

কঙ্গোতে আগুন লেগে নৌকাডুবি, অন্তত ১৪৮ প্রাণহানি

মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক (ডিআর) কঙ্গোতে একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকায় আগুন লেগে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১৪৮ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কঙ্গো নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।

ডিআর কঙ্গোর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, আগুন লাগার সময় নৌকাটিতে নারী ও শিশুসহ পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিলেন। পুলিশ ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এইচ বি কঙ্গোলো নামের সেই ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি মাতানকুমু বন্দর থেকে বোলোম্বা অঞ্চলের দিকে যাচ্ছিল। পথে এমবানদাকা এলাকায় পৌঁছানোর পর নৌকাটিতে আগুন ধরে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিতে ডুবে যায়।

কঙ্গোর নদী পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কম্পেটেন্ট লোয়োকো অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, নৌকার ডেকে এক নারী রান্না চড়িয়েছিলেন। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত।

ডুবে যাওয়া সেই নৌকাটি থেকে প্রায় ১০০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের মধ্যে যাদের আগুনে পোড়ার ক্ষত রয়েছে, তাদেরকে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।

কঙ্গোতে নৌকাডুবি বিরল কোনো দুর্ঘটনা নয়। কারণ গণপরিবহন হিসেবে সেখানে যেসব নৌকা ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর অধিকাংশই পুরনো ও ত্রুটিযুক্ত। আবার অনেক সময় ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী বা মালপত্র বোঝাই করে নৌকাগুলো।

২০২৪ সালে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে কিভু হ্রদে একটি নৌকা ডুবে নিহত হয়েছিলেন ৭৮ জন। একই বছর ডিসেম্বরে পশ্চিমাঞ্চলে নদীতে নৌকাডুবে নিহত হন অন্তত ২২ জন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ