আর্সেনালকে ‘বার্নিশ’ করতে চেয়ে ‘লা রেমোনটা–টা’ পেল রিয়াল
Published: 17th, April 2025 GMT
সব খেলাতেই এমন হয়। বিভিন্ন দলের ভয়ের একটি জায়গা থাকে। ক্রিকেটে ভারতের ক্ষেত্রে যেমন ট্রাভিস হেড, জিম্বাবুয়ের বাবর আজম, নিউজিল্যান্ডের আইসিসির নিয়ম, দক্ষিণ আফ্রিকার নকআউট ম্যাচ এবং বাংলাদেশের জন্য সম্ভবত ক্রিকেট খেলাটাই। ফুটবলেও এমন আছে। এই মুহূর্তে প্রাসঙ্গিকতা বিচারে আপাতত একটি উদাহরণই দেওয়া উচিত। রিয়াল মাদ্রিদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যু। এ মাঠে নামার আগেই ঘুম হারাম হয় প্রতিপক্ষ দলের।
আরও পড়ুনবার্নাব্যুর ভয়কেও জয়, রিয়ালকে বিদায় করে সেমিফাইনালে আর্সেনাল১৪ ঘণ্টা আগেআর আগেই ভয় দেখানো শুরু করলে তো কথাই নেই। দুই এলাকার ছেলেপুলের মধ্যে ঝামেলা লাগলে যেটা হয়—প্রতিপক্ষের এলাকায় গিয়ে মার খেয়ে আসার পর নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে চোখ রাঙানি দেওয়া, অনেকটাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খেলাধুলা নিয়ে পরিচিতি পাওয়া কমিক বই ‘নন্টে-ফন্টে’র সেই সংলাপের মতো, ‘পাড়ায় আসিস, বার্নিশ করে ছেড়ে দেব!’
রিয়াল মাদ্রিদের অবস্থাও হয়েছিল ঠিক তাই। গত সপ্তাহে আর্সেনালের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয় গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। সেই হারের পর থেকেই শুরু হয়েছিল আর্সেনালকে চোখ রাঙানি।
ঘরের মাঠেও হার। মোটেও ঘুরে দাঁড়ানোর মতো খেলা খেলতে পারেনি রিয়াল.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর স ন ল
এছাড়াও পড়ুন:
কঙ্গোতে আগুন লেগে নৌকাডুবি, অন্তত ১৪৮ প্রাণহানি
মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক (ডিআর) কঙ্গোতে একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকায় আগুন লেগে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১৪৮ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কঙ্গো নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।
ডিআর কঙ্গোর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, আগুন লাগার সময় নৌকাটিতে নারী ও শিশুসহ পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিলেন। পুলিশ ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এইচ বি কঙ্গোলো নামের সেই ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি মাতানকুমু বন্দর থেকে বোলোম্বা অঞ্চলের দিকে যাচ্ছিল। পথে এমবানদাকা এলাকায় পৌঁছানোর পর নৌকাটিতে আগুন ধরে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিতে ডুবে যায়।
কঙ্গোর নদী পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কম্পেটেন্ট লোয়োকো অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, নৌকার ডেকে এক নারী রান্না চড়িয়েছিলেন। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত।
ডুবে যাওয়া সেই নৌকাটি থেকে প্রায় ১০০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের মধ্যে যাদের আগুনে পোড়ার ক্ষত রয়েছে, তাদেরকে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।
কঙ্গোতে নৌকাডুবি বিরল কোনো দুর্ঘটনা নয়। কারণ গণপরিবহন হিসেবে সেখানে যেসব নৌকা ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর অধিকাংশই পুরনো ও ত্রুটিযুক্ত। আবার অনেক সময় ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী বা মালপত্র বোঝাই করে নৌকাগুলো।
২০২৪ সালে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে কিভু হ্রদে একটি নৌকা ডুবে নিহত হয়েছিলেন ৭৮ জন। একই বছর ডিসেম্বরে পশ্চিমাঞ্চলে নদীতে নৌকাডুবে নিহত হন অন্তত ২২ জন।