গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের মালিকানা কমানো হয়েছে: রিজওয়ানা হাসান
Published: 17th, April 2025 GMT
গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশে সংশোধনী এনছে সরকার। এতে সরকারের মালিকানা ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া ব্যাংকের সুবিধাভোগীদের জন্য ৯০ শতাংশ রাখা হয়েছে। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম বা অর্থনৈতিক অপরাধ যে গোষ্ঠীগুলো করেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য একটা কমিটি গঠন করা হচ্ছে। প্রাথমিক কাজগুলো হয়েছে। এখন ফিন্যান্সিয়াল অপরাধে যারা জড়িত ছিলেন তাদের ব্যাপারে তদন্ত শুরু করতে আলাদা কমিটি গঠন করেছি। এছাড়া কর্পোরেট সেক্টরে, ব্যাংকিং সেক্টরে শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা আনার জন্য ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ পাস করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমানতকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করার জন্য এই ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ আজকে আমরা পাস করেছি। আমরা আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনায় সাধারণ আমানতকারীদের পড়তে না হয় সেজন্য এক্ষেত্রে শৃঙ্খলা কেমন করে আনা হবে, বাংলাদেশ ব্যাংককে কতটুকু ক্ষমতা দেওয়া হবে, সে কোনো পর্যায়ে গিয়ে ইন্টারভেন (হস্তক্ষেপ) করবে সেগুলো এতদিন স্পষ্ট ছিল না আইনে, এখন স্পষ্ট করা হলো। একইসঙ্গে দেওয়ানী মামলার আইন ‘দ্য কোড অব সিভিল প্রসিডিউর - ১৯০৮’ (সিপিসি) তে বেশ কিছু সংশোধনী এনে আধুনিক করার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
তিনি জানান, মামলায় কতবার সময় নেওয়া যাবে এমন বিষয় সংশোধন করা হয়েছে। লিস্টে পূর্ণ শুনানি ও আংশিক শুনানির মামলা কতবার আসবে সেগুলো সুনিদিষ্ট করা হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়া অনেকাংশেই সেকেলে রয়ে গেছে। বিচার প্রক্রিয়াকে আধুনিকায়নের কথা বলা হয়েছে। এখন থেকে সমন জারি টেলিফোন, এসএমএস ও আধুনিক ডিভাইসের মাধ্যমে করা যাবে বলে জানান তিনি। এছাড়া ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্য যেসব মামলা করা হয় তার শাস্তি আগে ২০ হাজার টাকা ছিল। এখন সেটি পরিবর্তন করে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। অভিন্ন জলরাশির পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দুইটা আইন রয়েছে। এর একটিতে বাংলাদেশ অনুস্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জওয ন হ স ন র জন য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
নয় অঞ্চলের নদীবন্দরে সতর্কতা সংকেত
কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কায় বাংলাদেশের নয়টি অঞ্চলের নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানিয়েছেন, ফরিদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বর্তমানে লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত আছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপামাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
ঢাকা/হাসান/রফিক