দুবাই ডার্মায় বিপুল অংকের রপ্তানি আদেশ পেল সিওডিল
Published: 17th, April 2025 GMT
দুবাই ডার্মায় বিপুল অংকের রপ্তানি আদেশ পেয়েছে রিমার্ক এলএলসি ইউএসএ এর মেডিকেটেড স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড সিওডিল। এর মধ্যে বাংলাদেশে উৎপাদিত সিওডিলের পণ্যের রপ্তানি আদেশ মিলেছে প্রায় ২ মিলিয়ন ডলারের। যা বাংলাদেশের স্কিন কেয়ার ইন্ডাস্ট্রির জন্য মাইলফলক।
মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের বায়ারাও সিওডিল পণ্য ক্রয়ে সম্মতি দিয়েছেন। যা প্রমাণ করে, আন্তর্জাতিক বাজারে সিওডিল পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা ও চাহিদা দুটোই বেড়েছে।
এই ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই বাংলাদেশ স্কিন কেয়ার পণ্যের অন্যতম রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে এজন্য প্রয়োজন সরকারের নীতি সহায়তা। নীতি নির্ধারকদের যথাযথ মনোযোগ দ্রুত বিকাশমান এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে শুরু হওয়া দুবাই ওয়ার্ল্ড ডার্মাটোলজি অ্যান্ড লেজার কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন-দুবাই ডার্মা এর শেষ দিনেও সিওডিলের স্টল ছিল দর্শনার্থী, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও আমদানিকারকদের ভিড়। প্রদর্শনীতে সিওডিল স্টলের ব্যতিক্রমী উপস্থাপন সাড়া ফেলেছে।
প্রায় ১০০ টিরও বেশি দেশের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ দর্শনার্থীরা সিওডিল ব্র্যান্ডের-প্রস্তাবিত ত্বকের যত্নের সমাধান নিয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এবারই প্রথম কোন বিদেশি ব্র্যান্ডের বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য নিয়ে এ ধরনের প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে রিমার্ক।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেশ কয়েকটি কোম্পানি অন স্পট আদেশে স্থানীয় বাজারে পণ্য আমদানিতে রিমার্ক প্রতিনিধির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত ছাড়াও সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন, নেপাল, ভারত এবং লিবিয়ার বায়াররাও পণ্য ক্রয়ে সম্মতি দিয়েছেন।
ঢাকা/হাসান/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কঙ্গোতে আগুন লেগে নৌকাডুবি, অন্তত ১৪৮ প্রাণহানি
মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক (ডিআর) কঙ্গোতে একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকায় আগুন লেগে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১৪৮ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কঙ্গো নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।
ডিআর কঙ্গোর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, আগুন লাগার সময় নৌকাটিতে নারী ও শিশুসহ পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিলেন। পুলিশ ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এইচ বি কঙ্গোলো নামের সেই ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি মাতানকুমু বন্দর থেকে বোলোম্বা অঞ্চলের দিকে যাচ্ছিল। পথে এমবানদাকা এলাকায় পৌঁছানোর পর নৌকাটিতে আগুন ধরে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিতে ডুবে যায়।
কঙ্গোর নদী পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কম্পেটেন্ট লোয়োকো অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, নৌকার ডেকে এক নারী রান্না চড়িয়েছিলেন। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত।
ডুবে যাওয়া সেই নৌকাটি থেকে প্রায় ১০০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের মধ্যে যাদের আগুনে পোড়ার ক্ষত রয়েছে, তাদেরকে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।
কঙ্গোতে নৌকাডুবি বিরল কোনো দুর্ঘটনা নয়। কারণ গণপরিবহন হিসেবে সেখানে যেসব নৌকা ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর অধিকাংশই পুরনো ও ত্রুটিযুক্ত। আবার অনেক সময় ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী বা মালপত্র বোঝাই করে নৌকাগুলো।
২০২৪ সালে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে কিভু হ্রদে একটি নৌকা ডুবে নিহত হয়েছিলেন ৭৮ জন। একই বছর ডিসেম্বরে পশ্চিমাঞ্চলে নদীতে নৌকাডুবে নিহত হন অন্তত ২২ জন।