জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে দুই বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জামালপুর ব্যাটালিয়ন (৩৫ বিজিবি) এই তথ্য নিশ্চিত করে।

এর আগে গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার সীমান্তবর্তী ১০৮৬/৪-এস পিলারের কাছে মাজারটিলা এলাকা থেকে জামালপুর ব্যাটালিয়নের (৩৫ বিজিবি) অধীন সাতানীপাড়া বিওপি ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের আটক করেন। আটক ব্যক্তিরা হলেন ভোলা সদর উপজেলার বেদুরিয়া গ্রামের খোকন গাজী (৩১) ও ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার এলংজানী গ্রামের সোহেল রানা (৩২)।

বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিজিবির সাতানীপাড়া বিওপির একটি টহল দল সীমান্তবর্তী মাজারটিলা এলাকায় নিয়মিত টহলে যায়। এ সময় তাঁদের দুজনকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে আটক করা হয়। তাঁদের দুজনকে তল্লাশি করে দুটি ভারতীয় আধার কার্ড, তিনটি মুঠোফোন, পাঁচটি সিম কার্ড, দুটি মুঠোফোন চার্জার ও বাংলাদেশি ১৬৪ টাকা পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তাঁরা কাজের উদ্দেশ্যে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। তাঁদের দুজনকে বকশীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, ভারতে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবির হাতে আটক দুজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

কঙ্গোতে আগুন লেগে নৌকাডুবি, অন্তত ১৪৮ প্রাণহানি

মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক (ডিআর) কঙ্গোতে একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকায় আগুন লেগে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১৪৮ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কঙ্গো নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।

ডিআর কঙ্গোর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, আগুন লাগার সময় নৌকাটিতে নারী ও শিশুসহ পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিলেন। পুলিশ ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এইচ বি কঙ্গোলো নামের সেই ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি মাতানকুমু বন্দর থেকে বোলোম্বা অঞ্চলের দিকে যাচ্ছিল। পথে এমবানদাকা এলাকায় পৌঁছানোর পর নৌকাটিতে আগুন ধরে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিতে ডুবে যায়।

কঙ্গোর নদী পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কম্পেটেন্ট লোয়োকো অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, নৌকার ডেকে এক নারী রান্না চড়িয়েছিলেন। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত।

ডুবে যাওয়া সেই নৌকাটি থেকে প্রায় ১০০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের মধ্যে যাদের আগুনে পোড়ার ক্ষত রয়েছে, তাদেরকে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।

কঙ্গোতে নৌকাডুবি বিরল কোনো দুর্ঘটনা নয়। কারণ গণপরিবহন হিসেবে সেখানে যেসব নৌকা ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর অধিকাংশই পুরনো ও ত্রুটিযুক্ত। আবার অনেক সময় ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী বা মালপত্র বোঝাই করে নৌকাগুলো।

২০২৪ সালে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে কিভু হ্রদে একটি নৌকা ডুবে নিহত হয়েছিলেন ৭৮ জন। একই বছর ডিসেম্বরে পশ্চিমাঞ্চলে নদীতে নৌকাডুবে নিহত হন অন্তত ২২ জন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ