থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-গুলি দিয়ে ডাকাতি–ছিনতাই, দলনেতা গ্রেপ্তার
Published: 17th, April 2025 GMT
চট্টগ্রামে আরিফ হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, আরিফ একটি ডাকাত দলের নেতা। থানা থেকে লুট করা অস্ত্র-গুলি দিয়ে ডাকাতি, ছিনতাই করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে নগরের ডবলমুরিং থানার বারিক বিল্ডিং মোড় এলাকা থেকে আরিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁর আস্তানা থেকে ইতালির তৈরি একটি ৭.
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ডাকাত দলের নেতা আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর কাছ থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ স্বীকার করেছেন তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্র-গুলি ডবলমুরিং থানা থেকে লুট করেছিলেন। তবে এগুলোর বাইরে তাঁর কাছে আরও অস্ত্র-গুলি আছে কি না, তা কৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছেন। এ জন্য তাঁকে থানা লুটের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করা হবে আদালতে। তা মঞ্জুর হলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। রিমান্ডে হয়তো তাঁর কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নগরের ৮টি থানা ও ৮টি ফাঁড়ি লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। ওই সময় ৮১৩টি অস্ত্র ও ৪৪ হাজার ৩২৪টি গুলি লুট হয়। এসব অস্ত্রের বেশির ভাগ এখনো উদ্ধার হয়নি। সাজ্জাদ হোসেনের মতো সন্ত্রাসী লুট হওয়া গুলি ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়ায় চিন্তিত পুলিশ।
ওসি রফিক আহমেদ বলেন, গ্রেপ্তার আরিফ একজন অপরাধী। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি, ছিনতাই করে থাকেন। এই পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজির ১৩টি মামলা পাওয়া গেছে। আরও আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বারেক বিল্ডিং এলাকায় ডাকাতদের আস্তানায় অভিযান চালাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত হন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আহলাত ইবনে জামিল ও মো. নজরুল ইসলাম। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় মো. তারেক, মো. জুয়েল ও জাহেদুল ইসলাম নামের তিন ছিনতাইকারীকে। কিন্তু পলাতক ছিলেন তাঁদের দলনেতা আরিফ। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ছ নত ই
এছাড়াও পড়ুন:
থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-গুলি দিয়ে ডাকাতি–ছিনতাই, দলনেতা গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে আরিফ হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, আরিফ একটি ডাকাত দলের নেতা। থানা থেকে লুট করা অস্ত্র-গুলি দিয়ে ডাকাতি, ছিনতাই করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে নগরের ডবলমুরিং থানার বারিক বিল্ডিং মোড় এলাকা থেকে আরিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁর আস্তানা থেকে ইতালির তৈরি একটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল ও ৫০টি গুলি উদ্ধার করা হয়।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ডাকাত দলের নেতা আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর কাছ থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ স্বীকার করেছেন তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্র-গুলি ডবলমুরিং থানা থেকে লুট করেছিলেন। তবে এগুলোর বাইরে তাঁর কাছে আরও অস্ত্র-গুলি আছে কি না, তা কৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছেন। এ জন্য তাঁকে থানা লুটের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করা হবে আদালতে। তা মঞ্জুর হলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। রিমান্ডে হয়তো তাঁর কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নগরের ৮টি থানা ও ৮টি ফাঁড়ি লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। ওই সময় ৮১৩টি অস্ত্র ও ৪৪ হাজার ৩২৪টি গুলি লুট হয়। এসব অস্ত্রের বেশির ভাগ এখনো উদ্ধার হয়নি। সাজ্জাদ হোসেনের মতো সন্ত্রাসী লুট হওয়া গুলি ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়ায় চিন্তিত পুলিশ।
ওসি রফিক আহমেদ বলেন, গ্রেপ্তার আরিফ একজন অপরাধী। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি, ছিনতাই করে থাকেন। এই পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজির ১৩টি মামলা পাওয়া গেছে। আরও আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বারেক বিল্ডিং এলাকায় ডাকাতদের আস্তানায় অভিযান চালাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত হন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আহলাত ইবনে জামিল ও মো. নজরুল ইসলাম। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় মো. তারেক, মো. জুয়েল ও জাহেদুল ইসলাম নামের তিন ছিনতাইকারীকে। কিন্তু পলাতক ছিলেন তাঁদের দলনেতা আরিফ। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।