চাটমোহরে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রসচিবসহ ৩ শিক্ষক বহিষ্কার
Published: 17th, April 2025 GMT
পাবনার চাটমোহরে চলমান এসএসসি (দাখিল) পরীক্ষা কেন্দ্রে অনিয়ম করার অভিযোগে কেন্দ্রসচিবসহ তিন জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় পৌর শহরের সামাদ সওদা মহিলা দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্র পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুসা নাসের চৌধুরী। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান শাকিল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই তিনজনের প্রত্যেককে ৩৩ হাজার টাকা করে মোট ৯৯ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সামাদ সওদা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার কেন্দ্রসচিব রামচন্দ্রপুর আলিম মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত বরদানগর আব্বাছিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সাইদুল ইসলাম ও সামাদ সওদা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা মোসলেম উদ্দিন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, চলমান এসএসসি (দাখিল) পরীক্ষায় সামাদ সওদা মহিলা দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার ওএমআর শিট একরকম ও প্রশ্নপত্র অন্যরকম দেওয়ার বিষয়টি গোপন সূত্রে জানতে পারেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুসা নাসের চৌধুরী। এ সময় তিনি এসিল্যান্ড মেহেদী হাসান শাকিলকে নিয়ে ওই কেন্দ্রে অভিযান পরিচালনা করেন। বিষয়টির সত্যতা ও অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কেন্দ্র সচিবসহ ওই তিন শিক্ষককে দণ্ডাদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, ওএমআর শিট বিতরণে অনিয়ম করা হয়েছে। যে নিয়মে বিতরণ করার কথা ছিল সেটা ওই তিন জন মানেননি। এতে পরীক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হবে না। তবে আইন অমান্য ও অনিয়ম করার অভিযোগে তাদেরকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প বন স ম দ সওদ পর ক ষ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
কমলগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ছয় দোকান পুড়ে ছাই, ক্ষতি অর্ধকোটি টাকা
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সরইবাড়ি এলাকার করিমবাজারে মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ছয়টি দোকান পুড়ে গেছে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গভীর রাতে একটি দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়, যা মুহূর্তেই আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের তীব্রতায় দোকানের ভেতরের মালামাল ও মূল্যবান সামগ্রী কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দেরি হয়ে যায়, ফলে ছয়টি দোকানই সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ ফয়েজ আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আগুনের সূত্রপাতের কারণ এখনও জানা যায়নি তবে তদন্তাধীন রয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাখন চন্দ্র সূত্রধর ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল। ইউএনও জানান, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকেও যথাসম্ভব সহায়তা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে তারা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।