৩ কার্যদিবসের মধ্যে জকসুর রোডম্যাপ চায় জবি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন
Published: 17th, April 2025 GMT
তিন কার্যদিবসের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (জকসু) নীতিমালা ও নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ এবং গত ১৫ বছরে সব নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ তদন্ত ও প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। এছাড়াও ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে শ্বেতপত্র উপস্থাপনের দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
দাবিগুলো হলো- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট হামলাকারী ও ইন্ধনদাতাদের বিচারের আওতায় আনা, আহত শিক্ষার্থীদের সব অ্যাকাডেমিক ফি মওকুফ করা, গত ১৫ বছরে সব নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ তদন্ত ও প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। এছাড়াও ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে শ্বেতপত্র উপস্থাপন করা।
দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত সম্পন্ন ও অগ্রগতির প্রকাশ এবং ২০ কার্যদিবসের মধ্যে সব দুর্নীতির শ্বেতপত্র উপস্থাপন, শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন-১৫ দিনের মধ্যে হলদ্বয় নির্মাণ কাজ আরম্ভকরণ, আবাসন বৃত্তি প্রদান ও আনুপাতিক বাজেট বরাদ্দকরণ, সমাবর্তন আয়োজন, ৩ কার্যদিবসের মধ্যে জকসুর নীতিমালা ও নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ করা।
সংবাদ সম্মেলনে জবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান বৈষম্য, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার শিক্ষার্থীরা। তবুও যথাযথ প্রতিকার পাচ্ছে না তারা। আমাদের উত্থাপিত দাবিসমূহের পুঙ্খানুপুঙ্খ বাস্তবায়ন এবং প্রশাসনের সর্বশেষ উদ্যোগের ভিত্তিতে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।
জবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জকসুর জন্য অনেক সময় দিয়েছি। আমরা আর সময় দিতে চাই না। আমাদের দাবি না মানা হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ যৌথভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে দাবি আদায় করে নেবে। এছাড়াও আমরা আগামী সোমবার শিক্ষার্থীদের আবাসন, ফ্যাসিস্টিদের বিচারের ও জকসু নির্বাচনের দাবিতে পোস্টারিং করব। বৃহত্তর স্বার্থে আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করব।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতা কিশোর সাম্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সিফাত হাসানসহ সংগঠন দুটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপস থ
এছাড়াও পড়ুন:
কঙ্গোতে আগুন লেগে নৌকাডুবি, অন্তত ১৪৮ প্রাণহানি
মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক (ডিআর) কঙ্গোতে একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকায় আগুন লেগে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১৪৮ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কঙ্গো নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।
ডিআর কঙ্গোর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, আগুন লাগার সময় নৌকাটিতে নারী ও শিশুসহ পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিলেন। পুলিশ ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এইচ বি কঙ্গোলো নামের সেই ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি মাতানকুমু বন্দর থেকে বোলোম্বা অঞ্চলের দিকে যাচ্ছিল। পথে এমবানদাকা এলাকায় পৌঁছানোর পর নৌকাটিতে আগুন ধরে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিতে ডুবে যায়।
কঙ্গোর নদী পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কম্পেটেন্ট লোয়োকো অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, নৌকার ডেকে এক নারী রান্না চড়িয়েছিলেন। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত।
ডুবে যাওয়া সেই নৌকাটি থেকে প্রায় ১০০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের মধ্যে যাদের আগুনে পোড়ার ক্ষত রয়েছে, তাদেরকে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।
কঙ্গোতে নৌকাডুবি বিরল কোনো দুর্ঘটনা নয়। কারণ গণপরিবহন হিসেবে সেখানে যেসব নৌকা ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর অধিকাংশই পুরনো ও ত্রুটিযুক্ত। আবার অনেক সময় ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী বা মালপত্র বোঝাই করে নৌকাগুলো।
২০২৪ সালে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে কিভু হ্রদে একটি নৌকা ডুবে নিহত হয়েছিলেন ৭৮ জন। একই বছর ডিসেম্বরে পশ্চিমাঞ্চলে নদীতে নৌকাডুবে নিহত হন অন্তত ২২ জন।