সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকাসহ ১৫ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস
Published: 17th, April 2025 GMT
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সকাল থেকে বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃষ্টিপাতের এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। এমন কী, আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকাসহ দেশের ১৫ জেলায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া সংশোধিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এসব জেলার নদীবন্দরে সতর্ক সংকেতও দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঢাকা ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেটের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ধান মাড়াইয়ের সময় বজ্রপাত, নারীর মৃত্যু
গাজীপুরে বজ্রপাতে প্রাণ গেল ২ কৃষকের
আজ বৃহস্পতিবার বিকালের মধ্যে দেশের ২৭ জেলায় বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই অবস্থায় নিরাপদ থাকতে বেশকিছু পরামর্শও দিয়েছে সংস্থাটি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বজ্রপাতের সতর্কবার্তায় এসব পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার মধ্যে নবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, জয়পুরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা, নরসিংদী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, ভোলা, বরগুনা, নোয়াখালী, সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে প্রতি ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এই অবস্থায় বজ্রপাতের সময় ১০টি বিষয়ের ওপর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এগুলো হলো- বজ্রপাত হলে ঘরের মধ্যে থাকুন। জানালা-দরজা বন্ধ রাখুন। সম্ভব হলে যাত্রা এড়িয়ে চলুন। নিরাপদ আশ্রয়ে থাকুন। গাছের নিচে আশ্রয় নেবেন না। কংক্রিটের মেঝেতে শয়ন করবেন না এবং কংক্রিটের দেয়ালে হেলান দেবেন না। বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোর প্ল্যাগ খুলে দিন। জলাশয় থেকে তাৎক্ষণিকভাবে উঠে আসুন। বিদ্যুৎ পরিবাহক বস্তু থেকে দূরে থাকুন। শিলাবৃষ্টির সময় ঘরে অবস্থান করুন।
ঢাকা/হাসান/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঝড় সহ ব ষ ট সতর ক
এছাড়াও পড়ুন:
কঙ্গোতে আগুন লেগে নৌকাডুবি, অন্তত ১৪৮ প্রাণহানি
মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক (ডিআর) কঙ্গোতে একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকায় আগুন লেগে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১৪৮ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কঙ্গো নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।
ডিআর কঙ্গোর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, আগুন লাগার সময় নৌকাটিতে নারী ও শিশুসহ পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিলেন। পুলিশ ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এইচ বি কঙ্গোলো নামের সেই ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি মাতানকুমু বন্দর থেকে বোলোম্বা অঞ্চলের দিকে যাচ্ছিল। পথে এমবানদাকা এলাকায় পৌঁছানোর পর নৌকাটিতে আগুন ধরে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিতে ডুবে যায়।
কঙ্গোর নদী পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কম্পেটেন্ট লোয়োকো অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, নৌকার ডেকে এক নারী রান্না চড়িয়েছিলেন। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত।
ডুবে যাওয়া সেই নৌকাটি থেকে প্রায় ১০০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের মধ্যে যাদের আগুনে পোড়ার ক্ষত রয়েছে, তাদেরকে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।
কঙ্গোতে নৌকাডুবি বিরল কোনো দুর্ঘটনা নয়। কারণ গণপরিবহন হিসেবে সেখানে যেসব নৌকা ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর অধিকাংশই পুরনো ও ত্রুটিযুক্ত। আবার অনেক সময় ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী বা মালপত্র বোঝাই করে নৌকাগুলো।
২০২৪ সালে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে কিভু হ্রদে একটি নৌকা ডুবে নিহত হয়েছিলেন ৭৮ জন। একই বছর ডিসেম্বরে পশ্চিমাঞ্চলে নদীতে নৌকাডুবে নিহত হন অন্তত ২২ জন।