এআই মডেলের প্রশিক্ষণে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের পোস্ট ব্যবহার করবে মেটা
Published: 17th, April 2025 GMT
নিজেদের এআই মডেলের প্রশিক্ষণে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বিভিন্ন দেশের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের পাবলিক পোস্ট ও মন্তব্য ব্যবহার করবে মেটা। নতুন এ পরিকল্পনার আওতায় শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের পাবলিক পোস্ট ও মন্তব্য ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ ১৮ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিদের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো তথ্য সংগ্রহ করা হবে না।
মেটার তথ্যমতে, ইউরোপের ব্যবহারকারীরা শিগগিরই একটি নোটিফিকেশন পাবেন। সেখানে জানানো হবে, কোন কোন ধরনের তথ্য এআই প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহার করা হবে। তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি জানানোর পাশাপাশি একটি লিংকও পাবেন ব্যবহারকারীরা, যা কাজে লাগিয়ে চাইলে নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহারের বিরোধিতা করা যাবে। ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের পোস্ট ও মন্তব্যের পাশাপাশি মেটা এআই চ্যাটবটকে করা বিভিন্ন প্রশ্ন বা অনুরোধও এআই মডেলের প্রশিক্ষণে ব্যবহার করা হবে।
মেটার নতুন এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে ইউরোপীয় কমিশন এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। গত বছরের জুন মাসে আয়ারল্যান্ডের ডেটা সুরক্ষা কমিশনের (ডিপিসি) সুপারিশে ইউরোপে এআই মডেল চালুর পরিকল্পনা স্থগিত করেছিল মেটা।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইনস ট গ র ম ব যবহ র কর ফ সব ক ইউর প
এছাড়াও পড়ুন:
কঙ্গোতে আগুন লেগে নৌকাডুবি, অন্তত ১৪৮ প্রাণহানি
মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক (ডিআর) কঙ্গোতে একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকায় আগুন লেগে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১৪৮ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কঙ্গো নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।
ডিআর কঙ্গোর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, আগুন লাগার সময় নৌকাটিতে নারী ও শিশুসহ পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিলেন। পুলিশ ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এইচ বি কঙ্গোলো নামের সেই ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি মাতানকুমু বন্দর থেকে বোলোম্বা অঞ্চলের দিকে যাচ্ছিল। পথে এমবানদাকা এলাকায় পৌঁছানোর পর নৌকাটিতে আগুন ধরে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিতে ডুবে যায়।
কঙ্গোর নদী পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কম্পেটেন্ট লোয়োকো অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, নৌকার ডেকে এক নারী রান্না চড়িয়েছিলেন। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত।
ডুবে যাওয়া সেই নৌকাটি থেকে প্রায় ১০০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের মধ্যে যাদের আগুনে পোড়ার ক্ষত রয়েছে, তাদেরকে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।
কঙ্গোতে নৌকাডুবি বিরল কোনো দুর্ঘটনা নয়। কারণ গণপরিবহন হিসেবে সেখানে যেসব নৌকা ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর অধিকাংশই পুরনো ও ত্রুটিযুক্ত। আবার অনেক সময় ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী বা মালপত্র বোঝাই করে নৌকাগুলো।
২০২৪ সালে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে কিভু হ্রদে একটি নৌকা ডুবে নিহত হয়েছিলেন ৭৮ জন। একই বছর ডিসেম্বরে পশ্চিমাঞ্চলে নদীতে নৌকাডুবে নিহত হন অন্তত ২২ জন।