চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্সেনালের বিপক্ষে দুই লেগেই হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এমিরেটসের পর এবার নিজেদের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেও পরাজয়ের তেতো স্বাদ নিতে হয় ১৫ বারের ইউরোপসেরা দলটিকে। এই ব্যর্থতার পর নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন ক্লাবটির প্রধান কোচ কার্লো আনচেলত্তি।  

২০২৬ সাল পর্যন্ত রিয়ালের সঙ্গে চুক্তিতে থাকলেও চলতি মৌসুমে বেশ কয়েকবার সমালোচনার মুখে পড়েছেন ৬৫ বছর বয়সী এই ইতালিয়ান কোচ। বিশেষ করে এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনার বিপক্ষে বড় দুই ম্যাচে হারের পর সমালোচনার ঝড় আরও তীব্র হয়। এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর্সেনালের কাছে হারের পর সেই চাপ যেন দ্বিগুণ হয়েছে।  

এই ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে আনচেলত্তি জানান, যদি ক্লাব তাকে বরখাস্ত করে, তাহলেও তিনি কৃতজ্ঞতাভরেই বিদায় নেবেন। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ক্লাব চাইলে কোচ বদল করতে পারে। এটা হতে পারে এই মৌসুমেই, নাও হতে পারে। আমার এতে কোনো আপত্তি নেই। যদি আমি বিদায় নেই, তাহলে ক্লাবকে আমি শুধু ধন্যবাদ জানাব।’  

রিয়ালের সিদ্ধান্ত যেকোনো সময় আসতে পারে বলেও জানান অভিজ্ঞ এই কোচ। ‘এটা হতে পারে আগামীকাল, দশ দিন পরে কিংবা এক মাস বা এক বছরের মধ্যেও। আমি তখনও ক্লাবকে ধন্যবাদ জানাব। আমার চুক্তি রইলো কি না, সেটা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন নই’, বলেন আনচেলত্তি।  

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিলেও আনচেলত্তি এখনই সব আশা ছাড়ছেন না। তার বিশ্বাস, লা লিগা, কোপা দেল রে ও ক্লাব বিশ্বকাপে এখনও প্রতিযোগিতায় টিকে আছে তার দল। তিনি বলেন, ‘ছেলেরা নিজেদের সর্বোচ্চটুকু দিয়েছে। মানসিকতায় ঘাটতি ছিল না। কিন্তু আর্সেনাল খুব ভালোভাবেই রক্ষণ করেছে। জায়গা বের করতে আমাদের যথেষ্ট কষ্ট হয়েছে। ইনটেনসিটি ভালো থাকলেও সেটাই শেষ কথা নয়।’

এখন রিয়াল সমর্থকদের মনে একটাই প্রশ্ন, এই পারফরম্যান্সের পর ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ কী সিদ্ধান্ত নেন? রিয়াল মাদ্রিদের ভবিষ্যৎ কোচ হিসেবে এরই মধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছে বায়ার লেভারকুসেনের কোচ জাবি আলোনসো ও লিভারপুলের সাবেক কোচ জার্গেন ক্লপের নাম।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

হামজার হলুদ কার্ড, তিন ম্যাচ পর জয় শেফিল্ডের

চ্যাম্পিয়নশিপে টানা তিন ম্যাচ হেরে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সরাসরি ওঠার দৌড়ে বেশ পিছিয়ে পড়েছিল শেফিল্ড ইউনাইটেড। তবে সেই ধাক্কা সামলে শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়াল হামজা চৌধুরীর দল। শনিবার নিজেদের মাঠে কার্ডিফ সিটিকে ২-০ গোলে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগের স্বপ্ন আবারও জিইয়ে রাখল শেফিল্ড।  

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল স্বাগতিকরা। বেশ কয়েকবার প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করেও গোল পাচ্ছিল না তারা। অবশেষে ৩৩ মিনিটে গুস্তাভো হ্যামারের দুর্দান্ত এক শটে এগিয়ে যায় শেফিল্ড ইউনাইটেড। প্রথমার্ধে ১-০ গোলের লিড নিয়ে মাঠ ছাড়ে হামজারা।  

দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে শেফিল্ড। মাঝমাঠে নিয়মিত দারুণ পারফর্ম করা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী ৬৯ মিনিটে ফাউল করে দেখেন হলুদ কার্ড। এরপর ৮৭ মিনিটে গোল করেন ব্রেরেটন দিয়াজ, যা নিশ্চিত করে দলের তিন পয়েন্ট। পুরো ৯০ মিনিট মাঠে থেকে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন হামজা।  

এই জয়ে ৪৩ ম্যাচে ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে শেফিল্ড ইউনাইটেড। সমান ম্যাচে ৯১ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শীর্ষে আছে লিডস ইউনাইটেড। একই পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে বার্নলি।  

চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে শীর্ষ দুই দল সরাসরি উঠবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা চার দল খেলবে প্লে-অফ, যেখানে একটি দল উঠবে প্রিমিয়ার লিগে। এই মৌসুমে শেফিল্ডের হাতে রয়েছে আর মাত্র তিনটি ম্যাচ। সরাসরি প্রমোশনের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে প্রতিটি ম্যাচই এখন ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ হামজাদের জন্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ