চুনারুঘাটে পারিবারিক কলহে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
Published: 17th, April 2025 GMT
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে পারিবারিক বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই রুয়েল মিয়া (২৪) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ঘাতক ছোট ভাই জসিম মিয়াকে (২২) রাতেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ১৫ এপ্রিল বিকেলে বড় ভাই রুয়েল মিয়া একটি গাছ কেটে বাড়ির সামনে রাখেন। পরে সেই গাছের অংশ ব্যবহার করে জসিম মিয়া টিউবওয়েলের চারপাশে বেড়া তৈরি করতে গেলে দু’ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এই বিষয়ে রুয়েল ও জসিম ছাড়াও তাদের মা আবেদা খাতুন এবং ভাই সোহেলের স্ত্রী স্বরুপা বেগমের সঙ্গেও বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়।
এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে জসিম মিয়া একটি গাছের ঢাল দিয়ে রুয়েলের ঘাড়ের পেছনে সজোরে আঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত হন রুয়েল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা ও তার স্ত্রী তাছলিমা খাতুন তাকে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে পথেই ১৬ এপ্রিল রাতে সিলেটের নুরজাহান ক্লিনিকের মাজার গেট এলাকায় তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুর আলমের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং রাতেই সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ঘাতক জসিমকে গ্রেপ্তার করে।
ওসি নুর আলম বলেন, ঘটনার পরপরই আমরা তৎপর হয়ে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত জসিম মিয়াকে আটক করেছি। এ ঘটনায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডে চরম ক্ষোভ ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একটি গাছকে কেন্দ্র করে প্রাণহানির ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হত য
এছাড়াও পড়ুন:
হামজার হলুদ কার্ড, তিন ম্যাচ পর জয় শেফিল্ডের
চ্যাম্পিয়নশিপে টানা তিন ম্যাচ হেরে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সরাসরি ওঠার দৌড়ে বেশ পিছিয়ে পড়েছিল শেফিল্ড ইউনাইটেড। তবে সেই ধাক্কা সামলে শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়াল হামজা চৌধুরীর দল। শনিবার নিজেদের মাঠে কার্ডিফ সিটিকে ২-০ গোলে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগের স্বপ্ন আবারও জিইয়ে রাখল শেফিল্ড।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল স্বাগতিকরা। বেশ কয়েকবার প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করেও গোল পাচ্ছিল না তারা। অবশেষে ৩৩ মিনিটে গুস্তাভো হ্যামারের দুর্দান্ত এক শটে এগিয়ে যায় শেফিল্ড ইউনাইটেড। প্রথমার্ধে ১-০ গোলের লিড নিয়ে মাঠ ছাড়ে হামজারা।
দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে শেফিল্ড। মাঝমাঠে নিয়মিত দারুণ পারফর্ম করা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী ৬৯ মিনিটে ফাউল করে দেখেন হলুদ কার্ড। এরপর ৮৭ মিনিটে গোল করেন ব্রেরেটন দিয়াজ, যা নিশ্চিত করে দলের তিন পয়েন্ট। পুরো ৯০ মিনিট মাঠে থেকে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন হামজা।
এই জয়ে ৪৩ ম্যাচে ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে শেফিল্ড ইউনাইটেড। সমান ম্যাচে ৯১ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শীর্ষে আছে লিডস ইউনাইটেড। একই পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে বার্নলি।
চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে শীর্ষ দুই দল সরাসরি উঠবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা চার দল খেলবে প্লে-অফ, যেখানে একটি দল উঠবে প্রিমিয়ার লিগে। এই মৌসুমে শেফিল্ডের হাতে রয়েছে আর মাত্র তিনটি ম্যাচ। সরাসরি প্রমোশনের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে প্রতিটি ম্যাচই এখন ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ হামজাদের জন্য।