২ উইকেটে ১৩৪ থেকে ২২৭ রানে থামলো বাংলাদেশ
Published: 17th, April 2025 GMT
প্রথম উইকেট চলে যায় ১৬ রানে। এরপর শতাধিক রানের জুটি। তবুও শেষটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ নারী দল। ২ উইকেটে ১৩৪ থেকে বাংলাদেশ থামে ২২৭ রানে।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লাহোরে বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লড়াইয়ে নামে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ২২৮ রানের লক্ষ্য দেয় নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
শুরুতেই ফেরেন সোবহানা মোস্তারি (৬)। প্রথম উইকেটের পতনের পর ১১৮ রানের জুটি গড়েন ফারজানা হক-শারমিন আক্তার। ফারজানা ৪২ রানে আউট হলে ভাঙে জুটি।
ফারজানার আউটের পর ফেরেন ফিফটি হাঁকানো শারমিন আক্তারও। তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৬৭ রান। এরপর শুরু হয় উইকেটের মিছিল। কোনো ব্যাটারই লম্বা ইনিংস খেলতে পারেননি।
শেষ দিকে নাহিদা আক্তার (২৫) ও রাবেয়া খানের (২৩) ব্যাটে ভর করে দুইশ পার করতে পারে বাংলাদেশ। অধিনায়ক জ্যোতি ৫ রান করেন। ১৫ রান আসে রিতু মণির ব্যাট থেকে। আর কোনো ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘর পেরোতে পারেনি।
উইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আলিয়াহ অ্যালিয়েন। এছাড়া ২ উইকেট করে নেন হ্যালি ম্যাথুস-আফি ফ্লেচার।
ঢাকা/রিয়াদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভিডিও বানাতে গিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক, হত্যা করলেন স্বামীকে
ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রবিনার সঙ্গে সুরেশের দেড় বছর আগে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয়। এরপর একসঙ্গে তাঁরা ভিডিও বানানো শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রবিনার সময় কাটানো আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রী রবিনার সঙ্গে প্রাভিনের ঝগড়া হতো। প্রাভিন সন্দেহ করতেন, সুরেশের সঙ্গে রবিনার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
গত ২৫ মার্চ প্রাভিন বাড়িতে ফিরে তাঁর সেই আশঙ্কার প্রমাণ পান। তিনি রবিনা ও সুরেশকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান। তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। এ ঘটনার পর থেকে প্রাভিনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এর তিন দিন পর প্রাভিনের মরদেহ পাওয়া যায় বাড়ি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায়।
ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে তিনজন ছিলেন, কিন্তু ফেরার সময় তাঁদের মধ্যে একজন অনুপস্থিত। এরপর পুলিশ তাঁদের শনাক্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিনা ও সুরেশ হত্যাকাণ্ডে নিজেদের দোষ স্বীকার করেন।
সুরেশ পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই দিন রবিনা ভিডিও বানানো শেষে ভিওয়ানির প্রেমনগরে প্রাভিনের বাড়িতে যান। সুরেশ সেখানে রবিনার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। প্রাভিন বাড়িতে ফিরে অন্তরঙ্গ অবস্থায় তাঁদের দেখতে পান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর প্রাভিনকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়।
হত্যার পর সারা দিন রবিনা স্বাভাবিক আচরণ করেন। আত্মীয়রা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, প্রাভিন কোথায় তা তিনি জানেন না। এরপর রাত নামার অপেক্ষা করেন রবিনা। রাতে সুরেশ মোটরসাইকেল নিয়ে এলে তাঁরা দুজন মিলে প্রাভিনের মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।
২৬ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুরেশ ও রবিনা মোটরসাইকেলের মাঝখানে প্রাভিনের মরদেহ বসিয়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায় ফেলে দেন। তিন দিন পর পুলিশ সেই নালা থেকে প্রাভিনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু হয়।